যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, শান্তিতে নোবেল পাওয়া ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো তাকে ফোন করে জানিয়েছেন যে, তিনি এই পুরস্কার ট্রাম্পের সম্মানে গ্রহণ করবেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, ‘যিনি নোবেল পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করে বললেন—‘আমি এই পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি, কারণ প্রকৃতপক্ষে আপনি-ই এটা প্রাপ্য।’ এটা খুবই সুন্দর একটি ব্যাপার। আমি তাকে বলিনি যে, ‘তাহলে আমাকেই দাও। তবে মনে হলো, চাইলে হয়তো দিতেনও।’
এর আগে হোয়াইট হাউস নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জানায়, কমিটি ‘শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছে।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চিউং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিচুক্তি করছেন, যুদ্ধ শেষ করছেন, মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছেন। তার মতো মানবিক হৃদয়ের নেতা আর কেউ নেই। নোবেল কমিটি আজ প্রমাণ করল—তারা রাজনীতিকে শান্তির ঊর্ধ্বে রেখেছে।’
নোবেল কমিটি এ বছর শান্তি পুরস্কার দিয়েছে মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে, যাকে তারা বর্ণনা করেছে ‘স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানো সাহসী স্বাধীনতার রক্ষক’ হিসেবে।
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে আসছেন। বিশেষ করে তিনি দাবি করেন, নিজের মধ্যস্থতায় একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করেছেন, যার মধ্যে সর্বশেষ গাজার যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিও রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আটটি যুদ্ধ শেষ করেছি। আমার অবদান এতটাই বড় যে, তারা চাইলেও উপেক্ষা করতে পারে না।’
তবে তিনি আগেই ধারণা করেছিলেন যে, নোবেল কমিটি এবারও তাকে পুরস্কার দেবে না।
গত মাসে মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি কি নোবেল পুরস্কার পাব? একেবারেই না। তারা সেটা দেবে এমন কাউকে, যে কিছুই করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমি না পাই, তাহলে এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অপমান হবে।’
নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে হয় প্রতি বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন ২০ জানুয়ারি, অর্থাৎ এবারের পুরস্কারের মনোনয়ন সময় তখনই প্রায় শেষ।
তবুও ট্রাম্প মনে করেন, তার অবদান এত গুরুত্বপূর্ণ যে কমিটি চাইলেই তাকে পুরস্কার দিতে পারত।
ট্রাম্প বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি তখন নির্বাচনী প্রচারে ছিলাম, কিন্তু অনেকে বলছে, আমি এত কিছু করেছি যে, নোবেল কমিটির সেটা করা উচিত ছিল।’
সূত্র:রয়টার্স

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১১ অক্টোবর ২০২৫

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে