আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি মানবেন না, তাদের জন্য ২০২৬ সালের নির্বাচন না। ছাব্বিশের নির্বাচন দেখতে হলে, আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে আট দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, রমজান শুরুর আগেই, সম্ভব হলে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। এ বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো প্রবণতা গ্রহণযোগ্য নয়। গণভোটের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হলে আগে গণভোট আয়োজন করতেই হবে। এই আইনগত ভিত্তি ছাড়া জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে নির্বাচনের পূর্বে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়াই যুক্তিযুক্ত। সঠিক আইনগত ভিত্তি তৈরি হলে ভবিষ্যৎ নির্বাচনে আর কোনো সন্দেহ বা বিতর্কের অবকাশ থাকবে না।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি প্রশ্ন রাখেন জুলাই ঘোষণাকে যদি রাজনৈতিকভাবে সম্মান না দেওয়া হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনে জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন কীভাবে নিশ্চিত হবে?
উল্লেখ্য, পাঁচ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে একত্রে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলো হল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত आंदोलन, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি:
১. জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি বৈধতা দিতে সাংবিধানিক আদেশ জারি এবং নভেম্বরের মধ্যেই এ বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত করা।
২. জাতীয় নির্বাচনে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট ব্যবস্থার (উচ্চ কক্ষসহ) জন্য পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩. সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন।
৪. গত সরকারের সকল নির্যাতন, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করা।
৫. স্বৈরশাসনের সহযোগী হিসেবে পরিচিত রাজনৈতিক দলসমূহের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ৭ নভেম্বর দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেও যথাযথ সাড়া না পেয়ে আজকের সমাবেশ ঘোষণা করা হয়।

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১১ নভেম্বর ২০২৫

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে