দেশের সাংবাদিক সমাজ ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এক সাহসী নাম — মো. খায়রুল আলম রফিক। সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, বরং দায়িত্ব ও নৈতিকতার পথে এক নিরলস যোদ্ধার নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে সত্য ও মানবতার পক্ষে কলম ধরে রাখা এই সাংবাদিক নেতার অবদান ও ত্যাগ আজ দেশের গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের কাছে গর্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।খায়রুল আলম রফিক বর্তমানে দৈনিক “প্রতিদিনের কাগজ”-এর প্রধান সম্পাদক। তবে সাংবাদিকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন মানবতার এক নিঃস্বার্থ কর্মী। ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়ে তিনবার কারাবরণ, চোখ বেঁধে ছবি তোলা, বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং একাধিকবার ক্রসফায়ারের হুমকির মধ্যেও থেমে থাকেননি তিনি। সত্য প্রকাশে ছিলেন অবিচল, অদম্য।সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই সাংবাদিক নেতা এখন পর্যন্ত নিজের অর্থায়নে ৬৫ জন সাংবাদিককে আইসিটি মামলায় জামিন করিয়েছেন। একইসাথে ৩৩ জন আহত ও নিহত সাংবাদিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। এছাড়াও অনলাইন সংবাদপত্রের অধিকার রক্ষায় গড়ে তুলেছেন “বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক)”।মানবসেবায় রফিকের ভূমিকা আরেকটি মহৎ অধ্যায়। ময়মনসিংহের ত্রিশালে ৬ জন এতিম মেয়েকে বিয়ে দেওয়াসহ অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে তার ঝুলিতে। শিকলে বাঁধা ও অবহেলিত ২৫ জন প্রতিবন্ধীকে তিনি চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দিয়েছেন ১১টি ঘর, ৮২টি হুইলচেয়ার, ১৭৯টি টিউবওয়েল এবং ৪টি সাব-মার্সিবল পাম্পসহ একাধিক মসজিদে ওজুখানা নির্মাণ করে দিয়েছেন।গত ৮ বছরে তিনি সরকারদলীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে ৩৪৫টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন। মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধেও তিনি ১২৩টি প্রতিবেদন করে সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে ১১টি আইসিটি মামলা, তবে আজও কোনো মামলা প্রমাণিত হয়নি।সত্য ও ন্যায়ের প্রতি তার এই অকুতোভয় অঙ্গীকারই তাকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ উপাধি এনে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই সব কর্মযজ্ঞ ভাইরাল হওয়ার পর সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।ব্যক্তিজীবনে খায়রুল আলম রফিক কোনো প্রকার বিলাসিতায় অভ্যস্ত নন। বাড়ি-গাড়ির প্রতি তার কোনো মোহ নেই। তার জীবনের মূল লক্ষ্য — সাংবাদিক, এতিম-অসহায় এবং নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে মানবতার জন্য কাজ করে যাওয়া।সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক আমাদের সময়ের এক অনন্য সাহসী কণ্ঠ। সত্য প্রকাশের জন্য তার সংগ্রাম এবং নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় তাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত করেছে। আজকের এই অস্থির সময়েও তিনি প্রমাণ করেছেন, সৎ সাংবাদিকতা ও মানবতা কখনো হার মানে না — বরং সমাজকে আলোকিত করে।