বাংলাদেশের অভিনয় জগতের এক নির্ভরযোগ্য নাম রুনা খান। পর্দায় তার অভিনয়ের পরিধি যেমন বিস্তৃত, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি একজন সহজ, সরল এবং মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষ। তার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টেই আবারও সেটির প্রমাণ মিলেছে।
বুধবার, ১১ জুন, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী। ছবিগুলোতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন নদীর পাড়ে ক্যাজুয়াল পোশাকে (টি-শার্ট ও শর্টস) দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। মুখভরা হাসি, চোখে প্রশান্তির ছাপ—সবমিলিয়ে এক অনন্য রুনা খান ধরা দিয়েছেন ক্যামেরার ফ্রেমে।
এই সাদামাটা লুকেই যেন নতুন করে মুগ্ধ করেছেন তার ভক্তদের। ছবিগুলোর নিচে শত শত মন্তব্যে ভক্তদের প্রশংসা ছিল উপচে পড়া। কেউ লিখেছেন, “আপনাকে এত সহজভাবে এত সুন্দর লাগছে দেখে চোখে শান্তি লাগে”, আবার কেউ বলেছেন, “সৌন্দর্য মানেই গ্ল্যামার নয়, এটা আপনি প্রমাণ করলেন।"
শুধু ব্যক্তিগত রূপেই নয়, পেশাদার ক্ষেত্রেও রুনা খান একের পর এক সফল কাজ করে চলেছেন। সর্বশেষ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’, যেখানে তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে সমালোচক এবং দর্শক উভয়ের কাছ থেকেই। এই সিরিজে রুনার চরিত্রে ছিল এক ধরণের আবেগময় জটিলতা, যা তিনি অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
এর পাশাপাশি তিনি কাজ করেছেন আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘পাপ কাহিনী’ এবং সিনেমা ‘নীলপদ্ম’-এও। প্রতিটি কাজেই রুনা খান প্রমাণ করেছেন, অভিনয় শুধু মুখাবয়বের সৌন্দর্য দিয়ে নয়, বরং দক্ষতা ও অভিব্যক্তির গভীরতা দিয়েই মুগ্ধ করা যায়।
বর্তমান সময়ে যখন সামাজিক মাধ্যমে স্টাইল ও গ্ল্যামারের ঝড় বইছে, সেখানে রুনার এই সাধারণ ও সৎ প্রকাশ এক ধরনের প্রশান্তি এনে দেয়। নিজের রুচি, আত্মবিশ্বাস ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে তিনি বারবার মনে করিয়ে দেন—সৌন্দর্য মানেই বাহ্যিক চাকচিক্য নয়, বরং সেটি হতে পারে একদম মনের গভীরতা থেকে উঠে আসা একধরনের ঔজ্জ্বল্য।
রুনা খানের এমন প্রকাশে প্রমাণ মেলে, তার অভিনয়ের মতোই তার জীবনবোধও গভীর, স্বচ্ছ ও মানবিক।
যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে