হজ বা ওমরাহর সময় বাধাপ্রাপ্ত হলে যা করবেন
প্রকাশের তারিখ : ১৫ মে ২০২৫
হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। হজ ও ওমরাহকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা মক্কায় আসেন। কারণ, এই দুই ইবাদতের জন্য মক্কায় সফর করা আবশ্যক। তবে, যদি কেউ পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হন এবং হজে যেতে না পারেন, তাহলে ইসলামের নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়াকে ‘ইহসার’ বলা হয়। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, 'যদি (হজ ও ওমরাহ সফরে) বাধাপ্রাপ্ত হও, তবে যা সম্ভব কোরবানি দেবে এবং কোরবানি যথাস্থানে না পৌঁছা পর্যন্ত নিজেদের মাথা মুণ্ডন করো না।' (সুরা বাকারা: ১৯৬)।
প্রিয় নবী (সা.)-এর জীবনেও পবিত্র সফরে বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সপ্তম হিজরিতে তিনি মদিনা থেকে বায়ান্নাহর উদ্দেশে বের হন।কিন্তু ঐতিহাসিক হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছানোর পর মক্কার কাফেরদের বাধার কারণে থেমে যেতে হয়। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত আয়াত নাজিল হয়। এরপর নবীজি (সা.) কোরবানি দেন এবং মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলেন।
হানাফি মাজহাব মতাবলম্বী গবেষকদের মতে , ইহরাম বাঁধার পর যেকোনো কারণে আরাফাহর ময়দানে অবস্থান এবং তাওয়াফ করতে বাধাপ্রাপ্ত হলে , তা ইহসার বলে গণ্য হবে । বাধাগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য পশু কোরবানি করা আবশ্যক হবে ।যতক্ষণ প্রেরিত পশু হারামে না পৌঁছাবে অথবা তার নামে সেখানে পশু কোরবানি না হবে , ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ইহরাম ত্যাগ করবেন না । আর হজ বা ওমরাহর বাধা দূর হওয়ার পর পুনরায় তা আদায় করে নেবেন । অন্য তিন মাজহাবের গবেষকদের মতে , একমাত্র শত্রু দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলেই তাকে ‘ ইহসার ’ বলা হবে ।অসুস্থতা , দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে হজ - ওমরাহ করতে যেতে না পারলে তাঁরা তাকে ‘ ইহসার ’ বলে গণ্য করেন না । তাই তাঁদের মত হলো , শত্রু দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে অন্য কারণে হজ ও ওমরাহ করতে যেতে না পারলে , তার ওপর কোনো কিছু ওয়াজিব হবে না ।
প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ
কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে