বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১২১ টাকা ৬০ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।
রোববার (২৫ মে) নগরীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।ইআরডি জানায়, প্রকল্পটিতে মন্ত্রণালয়-বিভাগভিত্তিক ৫টি কম্পোনেন্ট রয়েছে। প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) বাস্তবায়ন করবে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে এটি।প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো গত আগস্টে বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, বাঁধ মেরামত এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তা ও পুনর্বাসন করা।বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে ঋণ নেওয়া হবে এবং এই ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। ঋণের তোলা অর্থের জন্য বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ এবং ১.২৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে। উত্তোলন না করা অর্থের জন্য বার্ষিক সর্বোচ্চ ০.৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে।তবে, বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি মওকুফ করে আসছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪৩.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করেছে।বর্তমানে, বিশ্বব্যাংক ৪৭টি চলমান প্রকল্পের জন্য ১৩.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জ্বালানি খাতের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে।