জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে জমজমাট নাট্যোৎসব। ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে এই উৎসব শুরু হয়েছে গত রোববার। নয় দিনের এই উৎসবের পর্দা নামবে আগামী সোমবার।উৎসবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাট্য নির্দেশনা (ব্যবহারিক) পরীক্ষার অংশ হিসেবে মঞ্চস্থ হচ্ছে ১৮টি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ও ৭টা ৩০ মিনিটে দুটি করে নাটক প্রদর্শিত হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার বলেন, “এই উৎসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের মেধা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও থিয়েটার অনুশীলনের একটি বড় প্রকাশমাধ্যম হয়ে উঠেছে। নবীন নির্দেশকেরা তাদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতায় প্রযোজনাগুলো মঞ্চে উপস্থাপন করছেন নান্দনিকভাবে।”উৎসবের প্রথম দিনে মঞ্চস্থ হয় ব্রজেন্দ্র কুমার দে’র লেখা ‘ইতি বিনোদিনী’ ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘কোকিলারা’। যথাক্রমে নির্দেশনা দেন তৃপ্তি রাণী রায় ও মনিসা সাহা।পরদিন আফিয়া জাহান প্রার্থনার নির্দেশনায় মঞ্চে আসে ‘তেজ’। একই দিন ‘ভার্সেস অব ব্লাড এন্ড ফায়ার’ নাটকের নির্দেশনা দেন মো. শাকিল আহমেদ।তৃতীয় দিনে মঞ্চস্থ হয় ‘কোয়েশ্চান মার্ক’ (রচনা ও নির্দেশনা: জাফরিন হক তরু) এবং ইউকিও মিশিমার লেখা ‘লেডি আওই’ (নির্দেশনা: পিপাসা সাহা গৌরী)।চতুর্থ দিনে মঞ্চে ওঠে মন্মথ রায়ের ‘বীক্ষণ’ (নির্দেশনা: পরাগ বর্মণ) ও মনোজ মিত্রের ‘পাখি’ (নির্দেশনা: ইশরাত জান্নাত)।পঞ্চম দিনে পাওলো কোয়েলহোর উপন্যাস অবলম্বনে মঞ্চস্থ হয় ‘ভেরোনিকার নতুন জীবন’, নির্দেশনা দেন রাফেল আফ্রাদ। একই দিন মঞ্চে আসে ‘অতসী মামী’, নির্দেশনায় ফারহানা আমবেরীন লিওনা।ষষ্ঠ দিনে ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’ (নির্দেশনা: পল্লব কুমার বিশ্বাস) এবং ‘জিনের বাদশা’ (নির্দেশনা: ফাতেমা তুজ যাহরা) প্রদর্শিত হয়।শনিবার মঞ্চস্থ হয় মো. শাহীন আলমের নির্দেশনায় ‘লবিং’ এবং সামিয়া সুলতানা চারুর নির্দেশনায় ‘মৃত্যুঞ্জয়’।রোববার মঞ্চে ওঠে হেনরিক ইবসেনের ‘ডলস হাউজ’ (নির্দেশনা: প্রিয়াংকা রাণী দাস) ও ‘গেম অব গ্রিড’ (নির্দেশনা: লাবণী রাণী পন্ডিত)।উৎসবের শেষ দিন সোমবার মঞ্চস্থ হবে ‘দ্য স্টেশনারি শপ অব তেহরান’, নির্দেশনায় সুমাইয়া খান কানিজ। একই দিন ‘মুক্তি’ নাটকের নির্দেশনা দেবেন হাবিবা আক্তার পিংকী।সংস্কৃতিমনা এই আয়োজনের মাধ্যমে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার চর্চা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।