বাজেটে সিগারেট, ব্লেড, নাট-বোল্টের দাম বাড়তে পারে।
নিজের তৈরি করা বাজেটে অর্থ উপদেষ্টা ডক্টর সালেহউদ্দিন আহমেদ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট ছাড় দিয়েছেন। এর ফলে ওষুধ, কৃষিপণ্য এবং দেশীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম কমতে পারে। তবে কিছু পণ্যের কর বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে ভোক্তাদের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।বাজেট মানেই ধুমপায়ীদের জন্য খারাপ খবর। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেট পেপার আমদানিতে থাকা সম্পূরক শুল্কহার ১৫০ বেড়ে দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে। এর ফলে সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। ব্লেডের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে সাড়ে সাত শতাংশ হতে পারে, যা ব্লেডের দাম বাড়ানোর কারণ হতে পারে। এছাড়া, তারকাটা, স্ক্রু, নাট, বোল্ট, ইলেকট্রনিক লাইন হার্ডওয়্যার ও পোল ফিটিংসের উপর আড়াই শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এসব পণ্য কেনার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে।অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাট তিনগুণ বাড়ছে, যা ঘরে বসে কেনাকাটায় অভ্যস্তদের জন্য দুঃসংবাদ। আগে একশ টাকা পণ্যে ৫ টাকা ভ্যাট দিতে হতো, কিন্তু নতুন অর্থবছরে তা বেড়ে ১৫ টাকা হবে। নতুন বাজেটে নির্মাণ সংস্থার সেবায় ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ডেভেলপার কোম্পানির মাধ্যমে বাড়ি বানালে এখন বাড়তি খরচ হিসেবে ভোক্তাদের সাড়ে তিন শতাংশ বেশি দিতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও দুঃসংবাদ, কারণ প্লাস্টিকের গৃহস্থালী পণ্যের দাম বাড়বে, যেমন প্লাস্টিকের টেবিলওয়্যার, কিচেন ওয়্যার, গৃহস্থালী সামগ্রী এবং টয়লেট সামগ্রী। দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাটও বাড়ানো হয়েছে, ফলে দেশীয় সুতায় তৈরি গামছা, লুঙ্গি এবং পোশাকের দামও বাড়তে পারে।আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ছাড় দেয়ার ফলে এলএনজি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, মোড়কজাত তরল দুধ এবং কলমের দাম কমছে। নতুন বাজেটে কৃষি ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক ছাড় দেয়ার কারণে ওষুধের দামও কমতে পারে, যা কৃষকদের জন্য স্বস্তির কারণ হতে পারে।