বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি রাজশাহী বিভাগের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে, এবারের দলে সুযোগ পাননি পেস অলরাউন্ডার মুক্তার আলী।এই পরিস্থিতিতে, রাজশাহী দলের নির্বাচক হান্নান সরকার মুক্তারকে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তবে, মুক্তার আলীর প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র ও প্রশ্নবোধক। তিনি বলেন, “শান্তই কি সবকিছু? ও কি টিমের সবকিছু করে? খেলার জন্য ওর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এমন দিন চলে এসেছে ভাই? তার সাথে কেন কথা বলতে হবে? আপনারা তো নির্বাচক, আপনাদের তো একটা দায়িত্ব আছে।”মুক্তার আলী ১৯৮৯ সালের ১০ অক্টোবর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে বরিশাল বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। জাতীয় ক্রিকেট লিগে তার সর্বাধিক ১৬৮ রানের ইনিংস ও ৫ উইকেটের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষেক হলেও, পরবর্তীতে তাকে জাতীয় দলে আর দেখা যায়নি। বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স এখনও প্রশংসনীয়।রাজশাহী দলের নির্বাচক হান্নান সরকার মুক্তারকে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিলেও, মুক্তার তার প্রতিক্রিয়ায় দলের নির্বাচকদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।মুক্তার আলীর এই প্রতিক্রিয়া রাজশাহীর ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক ও নির্বাচক প্রক্রিয়ার প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এটি নির্দেশ করছে যে, রাজশাহীর ক্রিকেট দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এবং অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ বিরাজ করছে, যা শুধুমাত্র দলীয় মনোবল নয় বরং ভবিষ্যতে দলের পারফরম্যান্সেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং নির্বাচকদের আরও দায়িত্বশীল এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যেন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সুযোগ সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যায় এবং রাজশাহীর ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব হয়।