বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, বাবুগঞ্জে হামলা চেষ্টার ঘটনায় বিএনপির ভোট একদিনেই দশ লাখ কমে গেছে। যদি আপনারা দলের এই অশালীন অংশকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে আসন্ন নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। যখন আপনারা এই অপরাধীদের নিয়ে ভোট চাইতে যাবেন, তখন এলাকাবাসী ভাববে নির্বাচনের আগেই (বিএনপি) তাদের দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে, নির্বাচিত হলে কী হবে?
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, মীরগঞ্জ সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে একটি উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে আমি কোনো দল বা ব্যক্তিকে বলিনি, বরং স্থানীয়দের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। সেই ঘটনার পর গতকাল আমাকে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তা কেবলমাত্র দৃশ্যমান অংশ। গত দুই মাস ধরে আমি নিয়মিত এমন ঘটনার শিকার হচ্ছি। আমার নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইনে মারধর করা হচ্ছে এবং বাধা দেওয়া হচ্ছে। তারা থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের আমলে যা দেখেছি, এখনো তাই দেখছি। প্রশাসন ধরে নিয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এটাই নিয়ম, প্রশাসন আওয়ামী লীগ হয়ে যায়, আর বিএনপি থাকলে বিএনপি হয়ে যায়। কোনো রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারে না।
ফুয়াদ আরও বলেন, প্রশাসন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ নির্বাচন করতে যাচ্ছে। মুলাদীর নাজিরপুরে জেলা প্রশাসকের সামনে যা ঘটেছে, সবাই দেখেছে। এসব ঘটনায় বিএনপির একাংশের আচরণ নব্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মতো মনে হচ্ছে। বিএনপিকে বলতে চাই- হাসিনার ফ্যাসিবাদের সময়ও আমরা চুপ করে থাকিনি। আপনারাও ভাববেন না যে আমরা চুপসে গিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যাব।
তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসুন, আল্লাহর ওয়াস্তে গণতন্ত্রের রাজনীতি করি। আপনারা (বিএনপি) শহীদ জিয়ার রাজনীতি করুন, বেগম জিয়ার রাজনীতি করুন। আপনারা বড় দল, ক্ষমতায় যাবেন- সুতরাং বাস্তবতা মেনে স্বচ্ছ রাজনীতি করুন। ছোট দল ও অন্যান্য প্রার্থীর নিরাপত্তা দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব। গতকাল আমাকে অনেকগুলো মিটিং বাতিল করতে হয়েছে, কারণ এলাকায় গেলে প্রচণ্ড হুমকি দেওয়া হচ্ছে হাত-পা কেটে ফেলার কথা বলা হচ্ছে, রামদা দিয়ে কোপানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এমনকি কোথায় কতটি রামদার অর্ডার দেওয়া হয়েছে তাও আমাদের জানানো হচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এই পরিস্থিতিতে ভালো নির্বাচন কীভাবে সম্ভব? দেশে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এই ডিসি-এসপি প্রশাসনের অধীনে ভালো নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। গতকাল পুরো ঘটনার সময় বাবুগঞ্জের ওসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু কেউ কোনো দায়িত্ব পালন করেননি। সরকারের কাছে আহ্বান- গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা নিশ্চুপ ছিলেন, বিশেষ করে বাবুগঞ্জের ওসিকে সাসপেন্ড করতে হবে। একইভাবে মুলাদীর ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বাবুগঞ্জের ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় এবি পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে