জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকারের ভেতরে থাকা কিছু লোকের খারাপ পরামর্শের কারণে একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি অবিলম্বে এই গেজেট বাতিল করার দাবি জানিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন, বলেছেন, কোনো দলের ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে নতুন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তা প্রতিরোধ করা হবে। আন্দোলনরত আটটি দল সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং অনেক দল ইতিমধ্যে তাদের নতুন জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।রবিবার বিকালে রাজশাহী নগরীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আন্দোলনরত ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ৫ দফা দাবিতে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা সরকারকে সংকটে ফেলতে চাই না। একটি দল এখনো নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। খুলনায় প্রকাশ্য আদালতে দুইজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। জামায়াতের নারী কর্মীদের ওপর হামলার হচ্ছে। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর মধ্যে আবার দলের পছন্দমত প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এই প্রশাসনকে দিয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, আগামীতে আমরা এমন বাংলাদেশ আনতে চাই, এমন সরকার আমরা গড়তে চাই, যেখানে আমরা দুর্নীতিকে ‘না’ বলব, লাল কার্ড দেখাবো। দুর্নীতি চলবে না, সন্ত্রাস চলবে না, ভিন্নমতের ওপরে দমন-পীড়ন চলবে না। আমরা নৈতিক, উৎপাদনমুখী ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমাদের বিপ্লবী তরুণ সমাজকে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে এই বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকাকে দুনিয়ার সামনে সমুন্নত করব। আমরা বারবার প্রধান উপদেষ্টা এবং কমিশনের প্রধানের সঙ্গে দেখা করে বলেছিলাম, একই দিনে নির্বাচন হলে কী কী সংকট তৈরি হতে পারে। জুলাই সনদে যে ৪৮টি সাংবিধানিক সংস্কার হয়েছে এবং আরও অনেক বিষয়ে যে আমরা একমত হয়েছি সাংবিধানিক, বিচার বিভাগীয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত পদের ব্যাপারে অনেক সংস্কার হয়েছে। এই সংস্কারের বিষয়গুলো দেশবাসীকে আগে জানাতে হবে। আট দলের নেতারা বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। তাহলে আগামীর হবে ইসলামের বাংলাদেশ ইনসাফের বাংলাদেশ সৎ লোকের বাংলাদেশ।সমাবেশে জামাতে নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানসহ আন্দোলনরত ৮ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।