সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং: সিইসি

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং: সিইসি

একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এর আগে, এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনকে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের আয়োজনে নির্বাচন বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।

সিইসি বলেন, একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। সামনের সপ্তাহে গণভোটের আইন করা হবে। আইনটা হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন।

তিনি বলেন, আগের নির্বাচন কমিশনকে এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কারণ, আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমাদের অন্য কোনও অপশন নেই। নির্বাচন ঘিরে জনগণের প্রত্যাশা বিশাল উল্লেখ করে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২-৩ দিনে এটা (জনগণের প্রত্যাশা) বুঝতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। যে চ্যালেঞ্জই সামনেই আসুক, আমাদের মূল লক্ষ্যই জাতিকে স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। এই প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দেওয়া রয়েছে।

সিইসি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন। এর বেশিও নয়, কমও নয়। এ ব্যাপারে আমাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা খুব একটা মসৃণ নয়। তবে, স্বচ্ছ নির্বাচনের পর সকল পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আমার বিশ্বাস, আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দায়িত্ববান ও বিজ্ঞ।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ২১ লক্ষ ভোটার মারা গেলেও তাদের নাম তালিকায় রয়ে গেছে, যা ইসি শনাক্ত করেছে। বিগত তিন নির্বাচনে মৃত ভোটারদের ভোট অন্য কেউ দিয়ে গেছে। অন্য দেশের লোকেরা বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে, তাই যাচাই করা ছাড়া পাসপোর্ট দিয়ে পোস্টাল ভোটিংয়ের সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের নাগরিক নীলফামারিতে ভোটার হয়েছেন, কমিশন এমন ২০-২৫ জনকে শনাক্ত করেছে।

সিইসি বলেন, আইন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের ব্যালট কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না। চারটি পয়েন্টেই ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোট হবে। আগামী সপ্তাহে আইন হওয়ার পরই গণভোটের বিষয়ে প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আরেকটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো তথ্যপ্রযুক্তি। কমিশন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট করতে বদ্ধপরিকর।

বিষয় : সিইসি

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং: সিইসি

প্রকাশের তারিখ : ২২ নভেম্বর ২০২৫

featured Image
একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এর আগে, এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনকে।শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের আয়োজনে নির্বাচন বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।সিইসি বলেন, একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি নিতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। সামনের সপ্তাহে গণভোটের আইন করা হবে। আইনটা হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন।তিনি বলেন, আগের নির্বাচন কমিশনকে এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কারণ, আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া হচ্ছে। আমাদের অন্য কোনও অপশন নেই। নির্বাচন ঘিরে জনগণের প্রত্যাশা বিশাল উল্লেখ করে এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২-৩ দিনে এটা (জনগণের প্রত্যাশা) বুঝতে পেরেছি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। যে চ্যালেঞ্জই সামনেই আসুক, আমাদের মূল লক্ষ্যই জাতিকে স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। এই প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক দলগুলোকেও দেওয়া রয়েছে।সিইসি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন। এর বেশিও নয়, কমও নয়। এ ব্যাপারে আমাদের প্রবল আত্মবিশ্বাস রয়েছে।তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা খুব একটা মসৃণ নয়। তবে, স্বচ্ছ নির্বাচনের পর সকল পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে আমার বিশ্বাস, আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দায়িত্ববান ও বিজ্ঞ।এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ২১ লক্ষ ভোটার মারা গেলেও তাদের নাম তালিকায় রয়ে গেছে, যা ইসি শনাক্ত করেছে। বিগত তিন নির্বাচনে মৃত ভোটারদের ভোট অন্য কেউ দিয়ে গেছে। অন্য দেশের লোকেরা বিদেশে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে, তাই যাচাই করা ছাড়া পাসপোর্ট দিয়ে পোস্টাল ভোটিংয়ের সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।তিনি বলেন, মিয়ানমারের নাগরিক নীলফামারিতে ভোটার হয়েছেন, কমিশন এমন ২০-২৫ জনকে শনাক্ত করেছে।সিইসি বলেন, আইন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের ব্যালট কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না। চারটি পয়েন্টেই ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোট হবে। আগামী সপ্তাহে আইন হওয়ার পরই গণভোটের বিষয়ে প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আরেকটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো তথ্যপ্রযুক্তি। কমিশন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট করতে বদ্ধপরিকর।

The Dhaka News Bangla

সম্পাদক: তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত