বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যদি দেশে গণতন্ত্র থাকে, তবে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু গণতন্ত্রের অভাবে হাসিনা সকলের অধিকার এবং ধর্ম পালনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। অথচ সেই সময়ে কিছু আলেম হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দিয়েছিল। পূর্ববর্তী সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছিল।’
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেয়ারটেকারগণদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি দল পিআরের জন্য সোচ্চার ছিল। এখন সুর নরম করে নির্বাচনের দিকে হাঁটছে। মানুষকে বোকা বানানো ইসলামের শিক্ষা নয়। জান্নাতের টিকেট বিক্রির কথা বলে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।’
তিনি বলেন, ‘হাসিনাবিরোধী দৃশ্যমান কোনো আন্দোলনে তাদের দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগের আড়ালে অবস্থান করেছে তারা। বিএনপি কখনও আড়ালের রাজনীতিতে করেনি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র দেশে থাকলে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা থাকে। কিন্তু সেটা না থাকায় হাসিনা সব মানুষের অধিকারে পাশাপাশি ধর্ম পালনের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশে কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছেন। সংস্কারের জন্য অনেক পণ্ডিত বিদেশ থেকে এসেছেন। ৮-৯ মাস সংস্কারের সবশেষে যেটা বলেছে পিআর, সেটা আমরাই ঠিকমতো বুঝি না, সাধারণ মানুষের জন্য আরও কঠিন। গণভোট করবেন একটি ব্যালটে চারটি প্রশ্ন, এখনও মানুষ বুঝতে পারছে না, শেষদিন পর্যন্তও বুঝতে পারবে না।’
একই আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নতুন না, এ যুদ্ধ অবিরাম করতে হবে। ভারতের আধিপত্যবাদ পাকাপোক্ত করতেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সংকট এখনও কাটেনি, গণতন্ত্র এখনও ফিরেনি, মানুষ এখনও মুক্তি ফিরে পায়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত না তারেক রহমানকে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে পারব ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের বিজয় হবে না।’
বিষয় : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২২ নভেম্বর ২০২৫

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে