সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

সততা ত্যাগ আর নেতৃত্বগুণে মাহবুবের রহমান শামীম এখন হাতিয়ার সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক

সততা ত্যাগ আর নেতৃত্বগুণে মাহবুবের রহমান শামীম এখন হাতিয়ার সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক
নোয়াখালী ৬ (হাতিয়া) বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। দীর্ঘ কয়েক যুগের বঞ্চনা, নদীভাঙন, কর্মসংস্থানের অভাব আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত এ অঞ্চলের মানুষ কয়েক যুগ ধরেই উন্নয়ন ও সৎ যোগ্য নেতৃত্বের তৃষ্ণায় কাতর। জাতীয় রাজনীতির বড় বড় খেলোয়াড়রা এ দ্বীপকে ভোটের সময়ে গুরুত্ব দিলেও উন্নয়ন থমকে আছে একই জায়গায়। তবে এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। হাতিয়ার রাজনীতির  আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই একজন থাকেলও জনপ্রিয়তা ও হাতিয়ার সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠে এসেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম - যাকে স্থানীয়রা এখন “বিশ্বস্ত নেতা” এবং “জনগণের আস্থার প্রতীক” হিসেবে উল্লেখ করছেন বলে জানা যায়। 

হাতিয়া সবসময় নোয়াখালীসহ সারাদেশের রাজনীতিতে কৌশলগত একটি এলাকা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাও মনে করেন পুরো দেশের রাজনীতি এক দিকে হাতিয়ার রাজনীতি আরেক দিকে। বাংলাদেশের অন্য কোন অঞ্চলের সাথে হাতিয়ার রাজনীতি মিলে না। তবে এই আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি লড়াই নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপবাসীর

প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। নদীভাঙনে ঘর হারানো মানুষ, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত তরুণরা, এবং জীবিকার অনিশ্চয়তায় জেলেরা—সবাই চায় একজন দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব, যিনি শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তব উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন।

জানা যায়, হাতিয়ার বিএনপিকে মাঠে আরো সক্রিয় ও উজ্জ্বল করতে দিন-রাত ছুটছেন শামীম। গ্রামের হাট- বাজার, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নতুন করে সুসংগঠিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলেও জানা যায়। 

দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাতিয়ায় মাহবুবের রহমান শামীমের সভা, মতবিনিময় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বিশেষ করে গ্রামের হতদরিদ্র, প্রান্তিক কৃষক ও তরুণদের মাঝে বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে হাতিয়ার মাঠে বিএনপির উপস্থিতি অনেকটা উজ্জীবিত প্রাণ সঞ্চার  হয়েছে মাহবুবুর রহমান শামীমের প্রচেষ্টার কারণে। আগে যে কর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন, তারাও এখন নতুন উদ্যমে সংগঠনে যুক্ত হচ্ছেন। গ্রামের বাজারে বসা চায়ের আড্ডায় বিএনপির আলোচনাই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু রাজনৈতিক প্রচারেই নয়, সামাজিক যোগাযোগেও এগিয়ে আসছেন মাহবুবের রহমান শামীম। বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, বেকার তরুণদের উৎসাহিত করা, কিংবা দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ায় তিনি আলোচনায় এসেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন নিবিড় যোগাযোগ তাকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতিয়া (নোয়াখালী -৬) আসন থেকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পদপ্রার্থী, এছাড়াও বিএনপি থেকে আরো ৬ থেকে ৭ জন মনোনয়ন পদপ্রার্থী রয়েছেন।

হাতিয়া হরনী ইউনিয়নের কৃষক মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, আমরা মাটির মানুষ। আমাদের অনেক গুলো সমস্যার মধ্যে একটা হলো নদী ভাঙন, এটার কোন প্রতিকার নেই। শামীম যদি সত্যিই নদী ভাঙন রোধে হাতিয়ার মানুষের পাশে থাকেন, তবে আমরা তার পাশে আছি।

কাজির বাজার ঘাটের জেলে রশিদ বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে জীবন নিয়ে ফিরতে পারব কিনা, সেই চিন্তা থাকে সব সময়। জেলেদের জন্য নিরাপত্তা ও প্রনোধনার ব্যাবস্থা করেন তাহলে সকল জেলেরা ও শামীম ভাইয়ের পাশে থাকবে। 

সোনাদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা চায়ের দোকানদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন চায়ের দোকানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে। শামীম ভাইয়ের নাম এখন সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। ওনাকে নিয়ে বেশি আলোচনা হয় মানুষ বলে ‘এইবার হাতিয়ার বদলাবে।

তরুণ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম প্রতিদিনের কাগজকে বলেন, আমরা নতুন প্রজন্ম কাজ চাই। দ্বীপে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ নেই। পর্যটন খাত যদি কাজে লাগানো যায়, আমাদের বেকারত্ব কমবে। উন্নয়নের আশ্বাস তো সবাই দেন ভোটের পরে কেউ রাখে না ওনিও যে রাখবেন তার গ্যারান্টি কি?

হাতিয়ার সনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, হাতিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা এখনও বহু পিছিয়ে রয়েছে। কলেজ, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট দরকার। শামীম সাহেব চাইলে এখন থেকে হাতিয়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে নজর দিতে পারেন।

নিঝুম দ্বীপের এক গৃহিণী ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের জন্য হাসপাতালে ভালো ডাক্তার নেই, সন্তান অসুস্থ হলে নদী পার হয়ে শহরে দৌড়াতে হয়। তাও আবার নদীর যাতায়াতের যেই অবস্থা। যদি স্বাস্থ্যসেবায় উন্নতি সহ এসব বিষয়ে নজর দেন হাতিয়ার মানুষ এমনিতেই খুঁজে নিবে। 

একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, শামীমের শক্তি হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা।  জনগণ এখন শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ চায়।।

বিষয় : বিএনপি নোয়াখালী রাজনীতি হাতিয়া

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫


সততা ত্যাগ আর নেতৃত্বগুণে মাহবুবের রহমান শামীম এখন হাতিয়ার সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক

প্রকাশের তারিখ : ২০ অক্টোবর ২০২৫

featured Image
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। দীর্ঘ কয়েক যুগের বঞ্চনা, নদীভাঙন, কর্মসংস্থানের অভাব আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত এ অঞ্চলের মানুষ কয়েক যুগ ধরেই উন্নয়ন ও সৎ যোগ্য নেতৃত্বের তৃষ্ণায় কাতর। জাতীয় রাজনীতির বড় বড় খেলোয়াড়রা এ দ্বীপকে ভোটের সময়ে গুরুত্ব দিলেও উন্নয়ন থমকে আছে একই জায়গায়। তবে এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। হাতিয়ার রাজনীতির  আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই একজন থাকেলও জনপ্রিয়তা ও হাতিয়ার সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠে এসেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম - যাকে স্থানীয়রা এখন “বিশ্বস্ত নেতা” এবং “জনগণের আস্থার প্রতীক” হিসেবে উল্লেখ করছেন বলে জানা যায়। হাতিয়া সবসময় নোয়াখালীসহ সারাদেশের রাজনীতিতে কৌশলগত একটি এলাকা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাও মনে করেন পুরো দেশের রাজনীতি এক দিকে হাতিয়ার রাজনীতি আরেক দিকে। বাংলাদেশের অন্য কোন অঞ্চলের সাথে হাতিয়ার রাজনীতি মিলে না। তবে এই আসন থেকে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি লড়াই নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বীপবাসীরপ্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। নদীভাঙনে ঘর হারানো মানুষ, শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত তরুণরা, এবং জীবিকার অনিশ্চয়তায় জেলেরা—সবাই চায় একজন দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব, যিনি শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তব উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন।জানা যায়, হাতিয়ার বিএনপিকে মাঠে আরো সক্রিয় ও উজ্জ্বল করতে দিন-রাত ছুটছেন শামীম। গ্রামের হাট- বাজার, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নতুন করে সুসংগঠিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলেও জানা যায়। দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাতিয়ায় মাহবুবের রহমান শামীমের সভা, মতবিনিময় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বিশেষ করে গ্রামের হতদরিদ্র, প্রান্তিক কৃষক ও তরুণদের মাঝে বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে হাতিয়ার মাঠে বিএনপির উপস্থিতি অনেকটা উজ্জীবিত প্রাণ সঞ্চার  হয়েছে মাহবুবুর রহমান শামীমের প্রচেষ্টার কারণে। আগে যে কর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন, তারাও এখন নতুন উদ্যমে সংগঠনে যুক্ত হচ্ছেন। গ্রামের বাজারে বসা চায়ের আড্ডায় বিএনপির আলোচনাই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।শুধু রাজনৈতিক প্রচারেই নয়, সামাজিক যোগাযোগেও এগিয়ে আসছেন মাহবুবের রহমান শামীম। বিভিন্ন সময়ে অসুস্থ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, বেকার তরুণদের উৎসাহিত করা, কিংবা দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ায় তিনি আলোচনায় এসেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন নিবিড় যোগাযোগ তাকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতিয়া (নোয়াখালী -৬) আসন থেকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পদপ্রার্থী, এছাড়াও বিএনপি থেকে আরো ৬ থেকে ৭ জন মনোনয়ন পদপ্রার্থী রয়েছেন।হাতিয়া হরনী ইউনিয়নের কৃষক মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, আমরা মাটির মানুষ। আমাদের অনেক গুলো সমস্যার মধ্যে একটা হলো নদী ভাঙন, এটার কোন প্রতিকার নেই। শামীম যদি সত্যিই নদী ভাঙন রোধে হাতিয়ার মানুষের পাশে থাকেন, তবে আমরা তার পাশে আছি।কাজির বাজার ঘাটের জেলে রশিদ বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে জীবন নিয়ে ফিরতে পারব কিনা, সেই চিন্তা থাকে সব সময়। জেলেদের জন্য নিরাপত্তা ও প্রনোধনার ব্যাবস্থা করেন তাহলে সকল জেলেরা ও শামীম ভাইয়ের পাশে থাকবে। সোনাদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা চায়ের দোকানদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন চায়ের দোকানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে। শামীম ভাইয়ের নাম এখন সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। ওনাকে নিয়ে বেশি আলোচনা হয় মানুষ বলে ‘এইবার হাতিয়ার বদলাবে।তরুণ ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম প্রতিদিনের কাগজকে বলেন, আমরা নতুন প্রজন্ম কাজ চাই। দ্বীপে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ নেই। পর্যটন খাত যদি কাজে লাগানো যায়, আমাদের বেকারত্ব কমবে। উন্নয়নের আশ্বাস তো সবাই দেন ভোটের পরে কেউ রাখে না ওনিও যে রাখবেন তার গ্যারান্টি কি?হাতিয়ার সনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, হাতিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা এখনও বহু পিছিয়ে রয়েছে। কলেজ, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট দরকার। শামীম সাহেব চাইলে এখন থেকে হাতিয়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে নজর দিতে পারেন।নিঝুম দ্বীপের এক গৃহিণী ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের জন্য হাসপাতালে ভালো ডাক্তার নেই, সন্তান অসুস্থ হলে নদী পার হয়ে শহরে দৌড়াতে হয়। তাও আবার নদীর যাতায়াতের যেই অবস্থা। যদি স্বাস্থ্যসেবায় উন্নতি সহ এসব বিষয়ে নজর দেন হাতিয়ার মানুষ এমনিতেই খুঁজে নিবে। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, শামীমের শক্তি হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা।  জনগণ এখন শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ চায়।।

The Dhaka News Bangla

সম্পাদক: তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত