রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস
ছবি- সংগৃহীত

আমরা অনেকেই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু হওয়ার, কিন্তু সেই স্বপ্ন রাঙাতে সাহায্য করেন যাঁরা, তাঁরা আমাদের শিক্ষক। কোনো শিক্ষক হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় অভিভাবক, কেউ বা বন্ধুসম পথপ্রদর্শক। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষকদের নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাবনা জানাচ্ছেন তানজিদ শুভ্র...

 

শিক্ষকতার মর্যাদা ও সময়ের দাবি

সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশা হলো শিক্ষকতা। শিক্ষকের হাত ধরেই সমাজ এগিয়ে যায় উন্নয়নের পথে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকেই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। এর প্রধান কারণ হলো বেতন কাঠামোর অপ্রতুলতা।

একজন মানুষের পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য থাকে একটি সম্মানজনক ও সচ্ছল চাকরি পাওয়া, যাতে তিনি তাঁর জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় অনেকেই এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। বিশেষ করে মেধাবী প্রার্থীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহ হারান।

মেধাবীরা যদি শিক্ষাদান থেকে দূরে সরে যায়, তবে সমাজে অন্ধ প্রজন্ম তৈরি হবে। তাই সময়ের দাবি হলো শিক্ষকদের প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং তাদের উপযুক্ত বেতন কাঠামো প্রদান।

 

সাব্বির হাসান নিরব 

শিক্ষার্থী, বাজিতপুর সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

 

শিক্ষক এক অন্যতম কারিগরের নাম

অন্যতম এক মহান পেশা হলো শিক্ষকতা। একজন শিক্ষক হচ্ছেন দেশ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর। শিক্ষক দিনরাত পরিশ্রম করে গড়ে তোলেন নিখুঁত কারিগরের ফুটন্ত ইমারত। শিক্ষকের হাত ধরে গড়ে ওঠে একেকজন আদর্শ সন্তান, দেশ তথা বিশ্ববাসীর জন্য একেকটি আলোকবর্তিকা। পেশাকে মিশন হিসেবে বেছে নেওয়া শিক্ষক খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, একজন শিক্ষক যতটুকু মর্যাদা, সম্মান, শ্রদ্ধা পাওয়ার কথাতার ন্যূনতমও পান না। বর্তমানের কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষকের কারণে শিক্ষার মান যেমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকের প্রতি সম্মান, ভক্তি ও শ্রদ্ধা। এতেই কি শেষ! টাকার নেশায় পড়ে শিক্ষকেরা হারাচ্ছেন নিজস্ব নৈতিকতা, নিজস্ব আত্মসম্মান।

আমার জীবনে তিনজন শিক্ষক পেয়েছি, যাদের অবদান আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মনছুরুল আলম ইরশাদ স্যার, মাধ্যমিক পর্যায়ে মোহাম্মদ জোনাইদ স্যার, প্রাথমিক পর্যায়ে রিনা মল্লিক ম্যাম। তাঁদের প্রত্যেকটি কথা আমাকে ভাবিয়ে তুলত, ভাবতে বাধ্য করত। স্যাররা আমাকে খুব কাছে থেকে শাসন করতেন। স্যারের কড়া শাসন যেমন আমাকে ভারাক্রান্ত করত, তেমনি বন্ধুসুলভ আচরণ এক ঝলক হাসিয়ে দিত। স্যারের প্রত্যেকটি কথা ছিল আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়ার একেকটি ধাপ পেরোনোর মূলমন্ত্র।

 

মুহিবুল হাসান রাফি

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ।

 

একজন শিক্ষকের সফলতা

শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। এটি জ্ঞান আহরণ এবং  মানুষকে তার লক্ষ্য ও সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। একজন গর্বিত শিক্ষক তার জ্ঞানের আলো দিয়ে অসংখ্য মানুষকে গড়ে তোলেন, গড়ে তুলেন আধুনিক পৃথিবী গড়ার নতুন কারিগর। পৃথিবীর প্রতিটি সফল মানুষ কোনো না কোনো ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে বা কোনো শিক্ষক, অভিজ্ঞ ব্যক্তি কিংবা প্রকৃতি থেকে প্রেরণা পেয়েছে। একজন শিক্ষক নিজে হয়তো বড় সফল না হলেও তার দেওয়া শিক্ষা যখন ছাত্রকে সফল করে, সেটাই তার প্রকৃত সফলতা। শিক্ষাবিহীন মানুষ অজ্ঞতায় নিমজ্জিত থাকে। একজন ছাত্রের কাছে তার শিক্ষক সর্বদা শ্রদ্ধার স্থান অধিকার করে, কারণ পরিবারের বাইরে শিক্ষকের ছোঁয়ায় যে পরিবর্তন ঘটে, তা অনন্য। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষকেরই ক্ষমতা রয়েছে একটি জাতি, একটি প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার। একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে শিক্ষকের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি করতে হবে, পৃথিবীর যত বিখ্যাত ব্যক্তি আছে তাদের সবারই একজন গর্বিত শিক্ষক রয়েছে।


মোহাম্মদ ছরোয়ার

শিক্ষার্থী, সরকারি আলাওল কলেজ, চট্টগ্রাম।

 

শিক্ষক মানবসভ্যতার আলোকবর্তিকা

শিক্ষক মানবসভ্যতার আলোকবর্তিকা। তাঁদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও ত্যাগ ছাড়া কোনো জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না। শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখান না, তিনি চরিত্রগঠন, মূল্যবোধ ও মানবিকতার দীক্ষা দেন। শিক্ষক একটি জাতি বা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং মানুষ গড়ার কারিগর। তাই শিক্ষক সমাজের সম্মান রক্ষা করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য।

এ বছরের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো: শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা। শিক্ষককে যত বেশি সৃজনশীল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ দেওয়া যাবে, ততই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে।

বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর যুগে শিক্ষকদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই সরকার ও সমাজকে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষক একটি প্রজন্মকে বদলে দিতে পারেন।

সুতরাং শিক্ষক দিবস শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং শিক্ষা ও শিক্ষকের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণের দিন।

 

গৌরাঙ্গ উংকুর

শিক্ষার্থী, সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা।

 

শিক্ষকদের স্বাধীনতা প্রয়োজন

শিক্ষক হলেন শিক্ষার মূল স্তম্ভ। কিন্তু অনেক সময় পরিচালনাগত নিয়মকানুনের কারণে তারা তাদের সৃজনশীলতা পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেন না। শিক্ষাদানের পদ্ধতি ও পাঠক্রমে স্বাধীনতা দিলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কার্যকর ও মানসম্মত শিক্ষা দিতে সক্ষম হবেন।

শিক্ষকরা যদি স্বাধীনভাবে কৌশল নির্ধারণ করতে পারেন, তবে তারা শিক্ষার্থীর সক্ষমতা অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা করতে পারবেন। এটি শুধু শিক্ষার মান বৃদ্ধি করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও বাড়াবে।

কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষকদের প্রতি আস্থা রাখা এবং তাদের প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দেওয়া। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা আরও উদ্ভাবনী ও প্রেরণাদায়ক হয়ে উঠবেন। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

তানভীর আহমদ রাহী 

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫


শিক্ষার্থীদের ভাবনায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস

প্রকাশের তারিখ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫

featured Image
আমরা অনেকেই স্বপ্ন দেখি বড় কিছু হওয়ার, কিন্তু সেই স্বপ্ন রাঙাতে সাহায্য করেন যাঁরা, তাঁরা আমাদের শিক্ষক। কোনো শিক্ষক হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় অভিভাবক, কেউ বা বন্ধুসম পথপ্রদর্শক। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষকদের নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাবনা জানাচ্ছেন তানজিদ শুভ্র... শিক্ষকতার মর্যাদা ও সময়ের দাবিসমাজের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশা হলো শিক্ষকতা। শিক্ষকের হাত ধরেই সমাজ এগিয়ে যায় উন্নয়নের পথে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকেই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। এর প্রধান কারণ হলো বেতন কাঠামোর অপ্রতুলতা।একজন মানুষের পড়াশোনার মূল উদ্দেশ্য থাকে একটি সম্মানজনক ও সচ্ছল চাকরি পাওয়া, যাতে তিনি তাঁর জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। কিন্তু শিক্ষকদের বেতন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় অনেকেই এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। বিশেষ করে মেধাবী প্রার্থীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহ হারান।মেধাবীরা যদি শিক্ষাদান থেকে দূরে সরে যায়, তবে সমাজে অন্ধ প্রজন্ম তৈরি হবে। তাই সময়ের দাবি হলো শিক্ষকদের প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং তাদের উপযুক্ত বেতন কাঠামো প্রদান। সাব্বির হাসান নিরব শিক্ষার্থী, বাজিতপুর সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ। শিক্ষক এক অন্যতম কারিগরের নামঅন্যতম এক মহান পেশা হলো শিক্ষকতা। একজন শিক্ষক হচ্ছেন দেশ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর। শিক্ষক দিনরাত পরিশ্রম করে গড়ে তোলেন নিখুঁত কারিগরের ফুটন্ত ইমারত। শিক্ষকের হাত ধরে গড়ে ওঠে একেকজন আদর্শ সন্তান, দেশ তথা বিশ্ববাসীর জন্য একেকটি আলোকবর্তিকা। পেশাকে মিশন হিসেবে বেছে নেওয়া শিক্ষক খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, একজন শিক্ষক যতটুকু মর্যাদা, সম্মান, শ্রদ্ধা পাওয়ার কথা—তার ন্যূনতমও পান না। বর্তমানের কিছু সুবিধাবাদী শিক্ষকের কারণে শিক্ষার মান যেমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকের প্রতি সম্মান, ভক্তি ও শ্রদ্ধা। এতেই কি শেষ! টাকার নেশায় পড়ে শিক্ষকেরা হারাচ্ছেন নিজস্ব নৈতিকতা, নিজস্ব আত্মসম্মান।আমার জীবনে তিনজন শিক্ষক পেয়েছি, যাদের অবদান আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মনছুরুল আলম ইরশাদ স্যার, মাধ্যমিক পর্যায়ে মোহাম্মদ জোনাইদ স্যার, প্রাথমিক পর্যায়ে রিনা মল্লিক ম্যাম। তাঁদের প্রত্যেকটি কথা আমাকে ভাবিয়ে তুলত, ভাবতে বাধ্য করত। স্যাররা আমাকে খুব কাছে থেকে শাসন করতেন। স্যারের কড়া শাসন যেমন আমাকে ভারাক্রান্ত করত, তেমনি বন্ধুসুলভ আচরণ এক ঝলক হাসিয়ে দিত। স্যারের প্রত্যেকটি কথা ছিল আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়ার একেকটি ধাপ পেরোনোর মূলমন্ত্র। মুহিবুল হাসান রাফি শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ। একজন শিক্ষকের সফলতাশিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। এটি জ্ঞান আহরণ এবং  মানুষকে তার লক্ষ্য ও সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। একজন গর্বিত শিক্ষক তার জ্ঞানের আলো দিয়ে অসংখ্য মানুষকে গড়ে তোলেন, গড়ে তুলেন আধুনিক পৃথিবী গড়ার নতুন কারিগর। পৃথিবীর প্রতিটি সফল মানুষ কোনো না কোনো ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে বা কোনো শিক্ষক, অভিজ্ঞ ব্যক্তি কিংবা প্রকৃতি থেকে প্রেরণা পেয়েছে। একজন শিক্ষক নিজে হয়তো বড় সফল না হলেও তার দেওয়া শিক্ষা যখন ছাত্রকে সফল করে, সেটাই তার প্রকৃত সফলতা। শিক্ষাবিহীন মানুষ অজ্ঞতায় নিমজ্জিত থাকে। একজন ছাত্রের কাছে তার শিক্ষক সর্বদা শ্রদ্ধার স্থান অধিকার করে, কারণ পরিবারের বাইরে শিক্ষকের ছোঁয়ায় যে পরিবর্তন ঘটে, তা অনন্য। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষকেরই ক্ষমতা রয়েছে একটি জাতি, একটি প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার। একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে শিক্ষকের মর্যাদা অনেক বৃদ্ধি করতে হবে, পৃথিবীর যত বিখ্যাত ব্যক্তি আছে তাদের সবারই একজন গর্বিত শিক্ষক রয়েছে। মোহাম্মদ ছরোয়ারশিক্ষার্থী, সরকারি আলাওল কলেজ, চট্টগ্রাম। শিক্ষক মানবসভ্যতার আলোকবর্তিকাশিক্ষক মানবসভ্যতার আলোকবর্তিকা। তাঁদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও ত্যাগ ছাড়া কোনো জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে না। শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখান না, তিনি চরিত্রগঠন, মূল্যবোধ ও মানবিকতার দীক্ষা দেন। শিক্ষক একটি জাতি বা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং মানুষ গড়ার কারিগর। তাই শিক্ষক সমাজের সম্মান রক্ষা করা আমাদের নৈতিক কর্তব্য।এ বছরের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো: শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করা। শিক্ষককে যত বেশি সৃজনশীল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ দেওয়া যাবে, ততই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে।বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর যুগে শিক্ষকদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই সরকার ও সমাজকে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে। একজন আদর্শ শিক্ষক একটি প্রজন্মকে বদলে দিতে পারেন।সুতরাং শিক্ষক দিবস শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং শিক্ষা ও শিক্ষকের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণের দিন। গৌরাঙ্গ উংকুরশিক্ষার্থী, সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা। শিক্ষকদের স্বাধীনতা প্রয়োজনশিক্ষক হলেন শিক্ষার মূল স্তম্ভ। কিন্তু অনেক সময় পরিচালনাগত নিয়মকানুনের কারণে তারা তাদের সৃজনশীলতা পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেন না। শিক্ষাদানের পদ্ধতি ও পাঠক্রমে স্বাধীনতা দিলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কার্যকর ও মানসম্মত শিক্ষা দিতে সক্ষম হবেন।শিক্ষকরা যদি স্বাধীনভাবে কৌশল নির্ধারণ করতে পারেন, তবে তারা শিক্ষার্থীর সক্ষমতা অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা করতে পারবেন। এটি শুধু শিক্ষার মান বৃদ্ধি করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও বাড়াবে।কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষকদের প্রতি আস্থা রাখা এবং তাদের প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দেওয়া। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা আরও উদ্ভাবনী ও প্রেরণাদায়ক হয়ে উঠবেন। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তানভীর আহমদ রাহী  শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত