রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

বঞ্চনার দ্বীপে পরিবর্তনের শপথ নিয়ে তৃণমূলে সাড়া ফেলেছেন প্রকৌশলী তানভীর রাজিব

বঞ্চনার দ্বীপে পরিবর্তনের শপথ নিয়ে তৃণমূলে সাড়া ফেলেছেন প্রকৌশলী তানভীর রাজিব
বঞ্চনার দ্বীপে পরিবর্তনের শপথ নিয়ে তৃণমূলে সাড়া ফেলেছেন প্রকৌশলী তানভীর রাজিব

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা, নদীভাঙন আর বঞ্চনার শিকার। এখানে ভোট এলে নেতাদের পদচারণা দেখা যায়, কিন্তু বছরজুড়ে সাধারণ মানুষ পড়ে থাকেন অবহেলায়। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই রাজনৈতিক মাঠে নতুন সাড়া ফেলেছেন নোয়াখালী ৬ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পদপ্রার্থী, হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিব। 

“প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ”—এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিব ইতিমধ্যে হাতিয়ার রাজনীতিতে আলাদা বার্তা ছড়াতে শুরু করেছেন। প্রতিশ্রুতির বর্ণিল বুলি নয়, বরং দৃশ্যমান পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি গ্রামের পথে পথে ঘুরছেন, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনছেন, সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন।

তিনি শুধু শহরকেন্দ্রিক রাজনীতি করছেন না; বরং প্রত্যন্ত গ্রাম, নদীভাঙন কবলিত চরে, জেলেপাড়ায় এবং কৃষকের খেতখামারে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। এই প্রত্যক্ষ যোগাযোগই রাজিবকে দিন দিন তৃণমূলের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে।

সম্প্রতি শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হাতিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাজিব। শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, তাদের সামাজিক সমস্যার কথা শোনেন, আশ্বাস দেন পাশে থাকার। তার এই মানবিক পদক্ষেপ রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আলোড়ন তুলেছে।

রাজিবকে নিয়ে এখন হাতিয়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে গ্রামীণ হাট-বাজার, তরুণদের আড্ডা—সব জায়গায় আলোচনা। তিনি একজন প্রকৌশলী হয়েও জনগণের নেতা হিসেবে যেভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন, তা অনেকের কাছে হাতিয়ার রাজনীতিতে “নতুন সমীকরণ” তৈরি করছে।

কৃষক সোলেমান মাঝি বলেন, “আমরা নেতাদের দেখি শুধু নির্বাচনের সময়। কিন্তু রাজিব ভাই মাঠে ছিলেন। শামীম ভাই ও কেন্দ্রীয় নেতা। আমাদের কথা হলো বিএনপি যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা তার ভোট করবো। 

এক জেলে, রুহুল আমিনের ভাষায়, “নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাসে আমরা বারবার নিঃস্ব হই। নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন লড়বেন আমাদের অধিকার নিয়ে কিন্তু তাদেরকে আর পাওয়া যায় না। ভোট আসলেই নেতাদের দেখা যায়। 

পূজা মণ্ডপের আয়োজক বিমল দত্ত বলেন, রাজনীতি ধর্মের ভেদাভেদ নয়—রাজিব ভাই ও শামীম ভাই আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেটা প্রমাণ করেছেন। এতে আমরা অভিভূত। 

তরুণ ছাত্র সোহাগ জানায়, “রাজিব ভাইকে আমরা নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি মনে করি। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে চিন্তা করেন এটা আমাদের কাছে বড় অনুপ্রেরণা।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাতিয়ার রাজনীতিতে যেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব সবসময় তীব্র, সেখানে রাজিবের সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি ভিন্নমাত্রা যোগ করছে। তৃণমূলের মানুষের হৃদয়ে তিনি ধীরে ধীরে জায়গা তৈরি করছেন।

বিষয় : বিএনপি রাজনীতি হাতিয়া

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫


বঞ্চনার দ্বীপে পরিবর্তনের শপথ নিয়ে তৃণমূলে সাড়া ফেলেছেন প্রকৌশলী তানভীর রাজিব

প্রকাশের তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

featured Image
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা, নদীভাঙন আর বঞ্চনার শিকার। এখানে ভোট এলে নেতাদের পদচারণা দেখা যায়, কিন্তু বছরজুড়ে সাধারণ মানুষ পড়ে থাকেন অবহেলায়। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই রাজনৈতিক মাঠে নতুন সাড়া ফেলেছেন নোয়াখালী ৬ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পদপ্রার্থী, হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিব। “প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ”—এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিব ইতিমধ্যে হাতিয়ার রাজনীতিতে আলাদা বার্তা ছড়াতে শুরু করেছেন। প্রতিশ্রুতির বর্ণিল বুলি নয়, বরং দৃশ্যমান পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি গ্রামের পথে পথে ঘুরছেন, মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনছেন, সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন।তিনি শুধু শহরকেন্দ্রিক রাজনীতি করছেন না; বরং প্রত্যন্ত গ্রাম, নদীভাঙন কবলিত চরে, জেলেপাড়ায় এবং কৃষকের খেতখামারে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। এই প্রত্যক্ষ যোগাযোগই রাজিবকে দিন দিন তৃণমূলের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে।সম্প্রতি শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হাতিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাজিব। শুধু শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, তাদের সামাজিক সমস্যার কথা শোনেন, আশ্বাস দেন পাশে থাকার। তার এই মানবিক পদক্ষেপ রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আলোড়ন তুলেছে।রাজিবকে নিয়ে এখন হাতিয়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে গ্রামীণ হাট-বাজার, তরুণদের আড্ডা—সব জায়গায় আলোচনা। তিনি একজন প্রকৌশলী হয়েও জনগণের নেতা হিসেবে যেভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন, তা অনেকের কাছে হাতিয়ার রাজনীতিতে “নতুন সমীকরণ” তৈরি করছে।কৃষক সোলেমান মাঝি বলেন, “আমরা নেতাদের দেখি শুধু নির্বাচনের সময়। কিন্তু রাজিব ভাই মাঠে ছিলেন। শামীম ভাই ও কেন্দ্রীয় নেতা। আমাদের কথা হলো বিএনপি যাকে মনোনয়ন দিবেন আমরা তার ভোট করবো। এক জেলে, রুহুল আমিনের ভাষায়, “নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাসে আমরা বারবার নিঃস্ব হই। নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন লড়বেন আমাদের অধিকার নিয়ে কিন্তু তাদেরকে আর পাওয়া যায় না। ভোট আসলেই নেতাদের দেখা যায়। পূজা মণ্ডপের আয়োজক বিমল দত্ত বলেন, রাজনীতি ধর্মের ভেদাভেদ নয়—রাজিব ভাই ও শামীম ভাই আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেটা প্রমাণ করেছেন। এতে আমরা অভিভূত। তরুণ ছাত্র সোহাগ জানায়, “রাজিব ভাইকে আমরা নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি মনে করি। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে চিন্তা করেন এটা আমাদের কাছে বড় অনুপ্রেরণা।”রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাতিয়ার রাজনীতিতে যেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রভাব সবসময় তীব্র, সেখানে রাজিবের সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি ভিন্নমাত্রা যোগ করছে। তৃণমূলের মানুষের হৃদয়ে তিনি ধীরে ধীরে জায়গা তৈরি করছেন।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত