সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

শিক্ষার্থীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক শিক্ষা অ্যাপ ‘স্মার্ট সহায়’

শিক্ষার্থীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক শিক্ষা অ্যাপ ‘স্মার্ট সহায়’
স্মার্ট সহায়

পরীক্ষার আগে অনেক শিক্ষার্থী সময়মতো সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে না। কারও টিউটর বা কোচিং সুবিধা থাকে না, আবার কেউ কেউ নির্দিষ্ট টপিক বুঝতে না পেরে দুশ্চিন্তায় ভোগে। এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে দেশের প্রথম এআই-ভিত্তিক শিক্ষা সহায়ক অ্যাপ ‘স্মার্ট সহায়’।

বাংলাদেশে পরীক্ষার প্রস্তুতি মূলত একই ধরনের নোট, প্রশ্নব্যাংক ও টেস্টপেপারের ওপর নির্ভরশীল। এতে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত দুর্বলতাগুলো কাটানো কঠিন হয়। কিন্তু ‘স্মার্ট সহায়’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর দুর্বল দিক শনাক্ত করে ব্যক্তিগত পরিকল্পনা তৈরি করে। ফলে অল্প সময়ে বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যায়।

অ্যাপটিতে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি স্মার্ট ফিচার—

- টপিক অ্যানালাইসিস ও এআই সাজেশন: গুরুত্বপূর্ণ টপিক সাজেস্ট করা হয়, পূর্ববর্তী প্রশ্নের বিশ্লেষণসহ।

- ফ্ল্যাশকার্ড: বারবার ভুল হওয়া প্রশ্ন আলাদা করে রিভিশনের সুযোগ দেয়।

- পার্সোনালাইজড এক্সাম: দুর্বল টপিক নিয়ে আলাদা মডেল টেস্ট দেওয়া যায়।

- স্মার্ট ডাউট সল্ভ: যেকোনো প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ উত্তর পাওয়া যায়—টাইপ করে, বাংলিশে লিখে, ছবি তুলে বা বইয়ের ছবি দিয়েও।

- প্রশ্নব্যাংক: এসএসসি, এইচএসসি, ভর্তি ও চাকরি পরীক্ষার পূর্ববর্তী প্রশ্ন সমৃদ্ধ ডেটাবেজ।

ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা:

অ্যাপ উন্মুক্ত হওয়ার আগে শতাধিক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী এটি ব্যবহার করেন। দেখা গেছে, তারা গড়ে ১০–১৫% দ্রুত প্রস্তুতি শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন, পরীক্ষায় বেড়েছে ৫–১০ নম্বর। অনেকে জানিয়েছেন, সাজেস্ট করা টপিক থেকে পরীক্ষায় এসেছে ৬০–৮০% প্রশ্ন। উদ্যোক্তা মো. আব্দুল্লাহ আল নাসিম বলেন, “প্রতিটি শিক্ষার্থীর দুর্বল দিক চিহ্নিত করে আমরা তার জন্য আলাদা সমাধান তৈরি করি, যাতে প্রস্তুতি হয় সঠিক ও কার্যকর।”

শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্যাকেজ রয়েছে:

-বিভাগভিত্তিক: বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও ইংলিশ ভার্সন।

- পরীক্ষাভিত্তিক: এসএসসি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও চাকরি প্রস্তুতি।

- সময়ভিত্তিক: এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস ও এক বছরের সাবস্ক্রিপশন।

- ফিচার অ্যাকসেস: সর্বোচ্চ ছয়টি স্মার্ট ফিচার একসাথে ব্যবহার করা যায়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: 

বর্তমানে অ্যাপটি এমসিকিউ ও সৃজনশীল প্রশ্নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। শিগগিরই HSC ও চাকরি পরীক্ষার লিখিত প্রশ্নে কাজ শুরু হবে। এছাড়া iOS সংস্করণও প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। “আমার ই-স্কুল” এবং “পাইওনিয়ার আলফা” এর প্রযুক্তি দল এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের শেখাকে আরও ব্যক্তিগতকৃত ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলা।


বিষয় : শিক্ষার্থী মেধাবী শিক্ষার্থী

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫


শিক্ষার্থীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক শিক্ষা অ্যাপ ‘স্মার্ট সহায়’

প্রকাশের তারিখ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

featured Image
পরীক্ষার আগে অনেক শিক্ষার্থী সময়মতো সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে না। কারও টিউটর বা কোচিং সুবিধা থাকে না, আবার কেউ কেউ নির্দিষ্ট টপিক বুঝতে না পেরে দুশ্চিন্তায় ভোগে। এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে দেশের প্রথম এআই-ভিত্তিক শিক্ষা সহায়ক অ্যাপ ‘স্মার্ট সহায়’।বাংলাদেশে পরীক্ষার প্রস্তুতি মূলত একই ধরনের নোট, প্রশ্নব্যাংক ও টেস্টপেপারের ওপর নির্ভরশীল। এতে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত দুর্বলতাগুলো কাটানো কঠিন হয়। কিন্তু ‘স্মার্ট সহায়’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর দুর্বল দিক শনাক্ত করে ব্যক্তিগত পরিকল্পনা তৈরি করে। ফলে অল্প সময়ে বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যায়।অ্যাপটিতে যুক্ত হয়েছে কয়েকটি স্মার্ট ফিচার—- টপিক অ্যানালাইসিস ও এআই সাজেশন: গুরুত্বপূর্ণ টপিক সাজেস্ট করা হয়, পূর্ববর্তী প্রশ্নের বিশ্লেষণসহ।- ফ্ল্যাশকার্ড: বারবার ভুল হওয়া প্রশ্ন আলাদা করে রিভিশনের সুযোগ দেয়।- পার্সোনালাইজড এক্সাম: দুর্বল টপিক নিয়ে আলাদা মডেল টেস্ট দেওয়া যায়।- স্মার্ট ডাউট সল্ভ: যেকোনো প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ উত্তর পাওয়া যায়—টাইপ করে, বাংলিশে লিখে, ছবি তুলে বা বইয়ের ছবি দিয়েও।- প্রশ্নব্যাংক: এসএসসি, এইচএসসি, ভর্তি ও চাকরি পরীক্ষার পূর্ববর্তী প্রশ্ন সমৃদ্ধ ডেটাবেজ।ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা:অ্যাপ উন্মুক্ত হওয়ার আগে শতাধিক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী এটি ব্যবহার করেন। দেখা গেছে, তারা গড়ে ১০–১৫% দ্রুত প্রস্তুতি শেষ করতে সক্ষম হয়েছেন, পরীক্ষায় বেড়েছে ৫–১০ নম্বর। অনেকে জানিয়েছেন, সাজেস্ট করা টপিক থেকে পরীক্ষায় এসেছে ৬০–৮০% প্রশ্ন। উদ্যোক্তা মো. আব্দুল্লাহ আল নাসিম বলেন, “প্রতিটি শিক্ষার্থীর দুর্বল দিক চিহ্নিত করে আমরা তার জন্য আলাদা সমাধান তৈরি করি, যাতে প্রস্তুতি হয় সঠিক ও কার্যকর।”শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্যাকেজ রয়েছে:-বিভাগভিত্তিক: বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক ও ইংলিশ ভার্সন।- পরীক্ষাভিত্তিক: এসএসসি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও চাকরি প্রস্তুতি।- সময়ভিত্তিক: এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস ও এক বছরের সাবস্ক্রিপশন।- ফিচার অ্যাকসেস: সর্বোচ্চ ছয়টি স্মার্ট ফিচার একসাথে ব্যবহার করা যায়।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: বর্তমানে অ্যাপটি এমসিকিউ ও সৃজনশীল প্রশ্নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। শিগগিরই HSC ও চাকরি পরীক্ষার লিখিত প্রশ্নে কাজ শুরু হবে। এছাড়া iOS সংস্করণও প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। “আমার ই-স্কুল” এবং “পাইওনিয়ার আলফা” এর প্রযুক্তি দল এই অ্যাপটি ডেভেলপ করেছে, যার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের শেখাকে আরও ব্যক্তিগতকৃত ও প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলা।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত