সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

প্রকৌশলী দিদারুলের হাত ধরে হাতিয়ায় শিক্ষার নতুন ভোর

প্রকৌশলী দিদারুলের হাত ধরে হাতিয়ায় শিক্ষার নতুন ভোর
হাতিয়ার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে কৃতি সন্তান প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম। তার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম শিক্ষা ট্রাস্ট বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫”, যা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ এবং যোগ্য প্রতিভা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

হাতিয়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় এমন বেসরকারি উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, এটি কেবল একটি বৃত্তি পরীক্ষা নয়, বরং হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে স্বপ্ন, আগ্রহ ও প্রতিভার নতুন দিগন্ত। 

জানা গেছে, হাতিয়ার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি সেন্টারবাজার এলাকায়। শিক্ষাজীবনে তিনি ডিপ্লোমা অর্জন করেন নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে, বিএসসি (টেক্সটাইল) করেছেন অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, এবং এমবিএ (টেক্সটাইল) করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি কেডি সোর্সিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও এডামস অ্যাপারেলস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই বৃত্তি পরীক্ষায় হাতিয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির প্রায় ১৫০০ মতো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। মোট ১০০টি বৃত্তি বিতরণ করা হবে, যেখানে প্রতি শ্রেণিতে ২০ জন বৃত্তিপ্রাপ্তি নিশ্চিত। এর মধ্যে ৫ জন নির্বাচিত হবেন ট্যালেন্টপুলে, যা তাদের জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ এনে দেবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ওছখালী কে এস এস উচ্চ বিদ্যালয় এবং শহর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-এ।

জানা যায়,  হাতিয়া উপজেলায় বিগত কয়েক বছর আগেও বেশ কয়েকটি শিক্ষা বৃত্তি চালু ছিল নোয়াখালী ফাউন্ডেশন শিক্ষা বৃত্তি, জনকল্যাণ শিক্ষা বৃত্তি, আল আমিন শিক্ষা বৃত্তি থাকলেও সেগুলো ম্যানেজমেন্ট ও ফান্ডের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক একই করনে যেন এই প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম শিক্ষা ট্রাস্ট বৃত্তি বন্ধ হয়ে না যায় এটাই দাবী ও আশা করছেন শিক্ষক সমাজ। 

হাতিয়ার সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক দ্যা ঢাকা নিউজকে  বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে এগিয়ে নেবে। তারা কেবল বইপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং নিজেদের মেধা প্রমাণের সুযোগ পাবে।

ওছখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির রাকিব দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, এটি আমাদের মতো প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিরল সুযোগ। আমরা এখানে নিজেদের মেধা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারব যে হাতিয়ার শিক্ষার্থীরাও জাতীয় মানের।

অভিভাবক মাইনুদ্দিন দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন প্রশংসনীয়। এর ফলে গরিব-মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা স্বীকৃতি পাবে এবং পড়াশোনায় উৎসাহ বাড়বে।

বুড়িরচর শহীদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাকের হোসেন তোফা দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, দিদারুল ইসলাম ট্রাস্টের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মান বাড়াবে। এটি তাদের মেধা ও আত্মবিশ্বাস উভয়ই উন্নত করবে। আমরা আশা করি এই বৃত্তি পরীক্ষা হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

বুড়িরচর শহীদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জহির উদ্দিন মিশু দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, এ ধরনের বেসরকারি উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী করবে। পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু বইপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না, বরং নিজের মেধার পরিচয় জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে পারবেন।

এম সি এস উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য সুযোগ। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উদ্যম ও প্রেরণা জাগাবে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি স্বপ্নপূরণের সুযোগ।

হাতিয়া শহর বালিকা  উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী  শিক্ষক দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, দিদারুল ইসলাম ট্রাস্টের উদ্যোগ শুধু মেধা যাচাই নয়, এটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার একটি প্রক্রিয়া। আমরা চাই এই ধরনের উদ্যোগ হাতিয়ায় নিয়মিত হোক।

হাতিয়া চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরেফিন আলী দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, দিদারুল ইসলাম শিক্ষা ট্রাস্ট বৃত্তি পরীক্ষা হাতিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য এক অসাধারণ উদ্যোগ। এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবীরা এই সুযোগের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের প্রমাণ করার সাহস পাবে। আমি বিশ্বাস করি, এ উদ্যোগ হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে এক স্থায়ী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এই বিষয়ে দ্যা ঢাকা নিউজকে প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম বলেন, আমার লক্ষ্য, প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন তার মেধা অনুযায়ী সুযোগ পায়। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে হাতিয়ার শিক্ষার্থীদের জাতীয় মানের প্রতিযোগিতায় প্রস্তুত করতে চাই।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, এ ধরনের বৃত্তি শুধু শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার মান বাড়াবে না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও তৈরি করবে। ধারাবাহিকভাবে এমন উদ্যোগ চললে হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বিশেষ করে, প্রান্তিক ও প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে পরিচয় গড়ে তুলতে পারবে।

বিষয় : নোয়াখালী শিক্ষার্থী মেধাবী শিক্ষার্থী

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫


প্রকৌশলী দিদারুলের হাত ধরে হাতিয়ায় শিক্ষার নতুন ভোর

প্রকাশের তারিখ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

featured Image
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে কৃতি সন্তান প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম। তার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম শিক্ষা ট্রাস্ট বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫”, যা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ এবং যোগ্য প্রতিভা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।হাতিয়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় এমন বেসরকারি উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, এটি কেবল একটি বৃত্তি পরীক্ষা নয়, বরং হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে স্বপ্ন, আগ্রহ ও প্রতিভার নতুন দিগন্ত। জানা গেছে, হাতিয়ার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন ১৯৯০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরবিরি সেন্টারবাজার এলাকায়। শিক্ষাজীবনে তিনি ডিপ্লোমা অর্জন করেন নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে, বিএসসি (টেক্সটাইল) করেছেন অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, এবং এমবিএ (টেক্সটাইল) করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে তিনি কেডি সোর্সিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও এডামস অ্যাপারেলস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই বৃত্তি পরীক্ষায় হাতিয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির প্রায় ১৫০০ মতো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। মোট ১০০টি বৃত্তি বিতরণ করা হবে, যেখানে প্রতি শ্রেণিতে ২০ জন বৃত্তিপ্রাপ্তি নিশ্চিত। এর মধ্যে ৫ জন নির্বাচিত হবেন ট্যালেন্টপুলে, যা তাদের জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ এনে দেবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ওছখালী কে এস এস উচ্চ বিদ্যালয় এবং শহর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-এ।জানা যায়,  হাতিয়া উপজেলায় বিগত কয়েক বছর আগেও বেশ কয়েকটি শিক্ষা বৃত্তি চালু ছিল নোয়াখালী ফাউন্ডেশন শিক্ষা বৃত্তি, জনকল্যাণ শিক্ষা বৃত্তি, আল আমিন শিক্ষা বৃত্তি থাকলেও সেগুলো ম্যানেজমেন্ট ও ফান্ডের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক একই করনে যেন এই প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম শিক্ষা ট্রাস্ট বৃত্তি বন্ধ হয়ে না যায় এটাই দাবী ও আশা করছেন শিক্ষক সমাজ। হাতিয়ার সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক দ্যা ঢাকা নিউজকে  বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে এগিয়ে নেবে। তারা কেবল বইপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং নিজেদের মেধা প্রমাণের সুযোগ পাবে।ওছখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির রাকিব দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, এটি আমাদের মতো প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিরল সুযোগ। আমরা এখানে নিজেদের মেধা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারব যে হাতিয়ার শিক্ষার্থীরাও জাতীয় মানের।অভিভাবক মাইনুদ্দিন দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন প্রশংসনীয়। এর ফলে গরিব-মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা স্বীকৃতি পাবে এবং পড়াশোনায় উৎসাহ বাড়বে।বুড়িরচর শহীদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাকের হোসেন তোফা দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, দিদারুল ইসলাম ট্রাস্টের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মান বাড়াবে। এটি তাদের মেধা ও আত্মবিশ্বাস উভয়ই উন্নত করবে। আমরা আশা করি এই বৃত্তি পরীক্ষা হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।বুড়িরচর শহীদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জহির উদ্দিন মিশু দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, এ ধরনের বেসরকারি উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী করবে। পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু বইপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না, বরং নিজের মেধার পরিচয় জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে পারবেন।এম সি এস উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে এমন উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য সুযোগ। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন উদ্যম ও প্রেরণা জাগাবে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি স্বপ্নপূরণের সুযোগ।হাতিয়া শহর বালিকা  উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী  শিক্ষক দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, দিদারুল ইসলাম ট্রাস্টের উদ্যোগ শুধু মেধা যাচাই নয়, এটি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার একটি প্রক্রিয়া। আমরা চাই এই ধরনের উদ্যোগ হাতিয়ায় নিয়মিত হোক।হাতিয়া চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরেফিন আলী দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, দিদারুল ইসলাম শিক্ষা ট্রাস্ট বৃত্তি পরীক্ষা হাতিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য এক অসাধারণ উদ্যোগ। এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবীরা এই সুযোগের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের প্রমাণ করার সাহস পাবে। আমি বিশ্বাস করি, এ উদ্যোগ হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে এক স্থায়ী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।এই বিষয়ে দ্যা ঢাকা নিউজকে প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম বলেন, আমার লক্ষ্য, প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন তার মেধা অনুযায়ী সুযোগ পায়। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে হাতিয়ার শিক্ষার্থীদের জাতীয় মানের প্রতিযোগিতায় প্রস্তুত করতে চাই।হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন দ্যা ঢাকা নিউজকে বলেন, এ ধরনের বৃত্তি শুধু শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার মান বাড়াবে না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাসও তৈরি করবে। ধারাবাহিকভাবে এমন উদ্যোগ চললে হাতিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বিশেষ করে, প্রান্তিক ও প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে পরিচয় গড়ে তুলতে পারবে।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত