বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
The Dhaka News Bangla

বাংলাদেশে নিজের বিচার হওয়া নিয়ে যা বললেন টিউলিপ

বাংলাদেশে নিজের বিচার হওয়া নিয়ে যা বললেন টিউলিপ

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আদালতে বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি পূর্বাচলে তার মা, ভাই এবং বোনকে অনিয়মের মাধ্যমে প্লট পাইয়ে দিয়েছেন।

নিজের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিচার নিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট করেছেন টিউলিপ। সেখানে নিজেকে নির্দোষ ও এ বিচারকে প্রহসন হিসেবে দাবি করেছেন সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ভাগ্নি।

তিনি বলেছেন, “ঢাকায় এখন যে তথাকথিত বিচার চলছে তা একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি বানানো অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দ্বারা পরিচালিত।”

“গত এক বছরে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, তবুও বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ একবারও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।”

"আমি কখনও কোনো আদালতের সমন পাইনি, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পাইনি।”

তিনি আরও বলেছেন, “যদি এটি একটি প্রকৃত আইনি প্রক্রিয়া হতো, তাহলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার বা আমার আইনি দলের সাথে যোগাযোগ করত, আমাদের আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্রের জবাব দিত, এবং তাদের কাছে থাকা প্রমাণ পেশ করতএর পরিবর্তে, তারা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক অভিযোগ ছড়িয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে কিন্তু তদন্তকারীরা কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কাছে উপস্থাপন করেনি।”

৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস এতে সাড়া দেননি। এ বিষয়টি আজ আবারও উল্লেখ করেছেন তিনি।

টিউলিপ বলেছেন, "লন্ডনে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক সফরের সময় তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমি। কিন্তু এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।”

তিনি বলেন, “আমি শুরু থেকেই স্পষ্ট যে আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার কাছে উপস্থাপন করা যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের জবাব দেব।”

এদিকে দুদকের তদন্তে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের নামে মোট ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

তার মধ্যে একটি শেখ হাসিনার নিজের নামে, আরেকটি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে, অপর একটি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে।

অপরদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে ও অপরটি তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর নামে।

টিউলিপের নামে প্লট না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের মা, বোন ও ভাইকে প্লট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়েছে।

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫


বাংলাদেশে নিজের বিচার হওয়া নিয়ে যা বললেন টিউলিপ

প্রকাশের তারিখ : ১৪ আগস্ট ২০২৫

featured Image
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আদালতে বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি পূর্বাচলে তার মা, ভাই এবং বোনকে অনিয়মের মাধ্যমে প্লট পাইয়ে দিয়েছেন।নিজের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিচার নিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট করেছেন টিউলিপ। সেখানে নিজেকে নির্দোষ ও এ বিচারকে প্রহসন হিসেবে দাবি করেছেন সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ভাগ্নি।তিনি বলেছেন, “ঢাকায় এখন যে তথাকথিত বিচার চলছে তা একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি বানানো অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দ্বারা পরিচালিত।”“গত এক বছরে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, তবুও বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ একবারও আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।”"আমি কখনও কোনো আদালতের সমন পাইনি, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পাইনি।”তিনি আরও বলেছেন, “যদি এটি একটি প্রকৃত আইনি প্রক্রিয়া হতো, তাহলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার বা আমার আইনি দলের সাথে যোগাযোগ করত, আমাদের আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্রের জবাব দিত, এবং তাদের কাছে থাকা প্রমাণ পেশ করত। এর পরিবর্তে, তারা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক অভিযোগ ছড়িয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে কিন্তু তদন্তকারীরা কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কাছে উপস্থাপন করেনি।”৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস এতে সাড়া দেননি। এ বিষয়টি আজ আবারও উল্লেখ করেছেন তিনি।টিউলিপ বলেছেন, "লন্ডনে ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক সফরের সময় তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমি। কিন্তু এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।”তিনি বলেন, “আমি শুরু থেকেই স্পষ্ট যে আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার কাছে উপস্থাপন করা যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের জবাব দেব।”এদিকে দুদকের তদন্তে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের নামে মোট ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।তার মধ্যে একটি শেখ হাসিনার নিজের নামে, আরেকটি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে, অপর একটি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে।অপরদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির নামে ও অপরটি তার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর নামে।টিউলিপের নামে প্লট না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের মা, বোন ও ভাইকে প্লট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়েছে।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত