সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
The Dhaka News Bangla

হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি বলির পাঠা: টিউলিপ সিদ্দিক

হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি বলির পাঠা:  টিউলিপ সিদ্দিক
ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক এবং হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি  দাবি করেছেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি মামলায় তিনি ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলির পাঠা’ হয়েছে। তিনি বলেন, একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে এক সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।


ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন টিউলিপ।



বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক তার মায়ের, ভাইয়ের ও বোনের জন্য ঢাকার পূর্বাচলে একটি জমি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেলেন। ১১ আগস্ট তার ও আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয়েছে । তিনি ব্যক্তিগতভাবে বা ভিডিও কনফারেন্সে হাজির হবেন কিনা- এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।


টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি ব্রিটিশ আইনজীবী হুগো কিথ কেসির পরামর্শ নিচ্ছেন। এখনো তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি।


তিনি বলেন, ‘আমি যেন এক ধরনের ‘কাফকায়েস্ক দুঃস্বপ্নে’ আটকে আছি, যেখানে আমাকে বিদেশে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে অথচ আমি এখনো জানি না অভিযোগগুলো আসলে কী।’


‘কাফকায়েস্ক দুঃস্বপ্ন’ এমন পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে, দুঃস্বপ্নের মতো জটিল, উদ্ভট ও অযৌক্তিক, যা নিপীড়ক আমলাতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।


বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকলেও দোষী সাব্যস্ত হলে বিষয়টি নতুন করে পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে।


গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী টিউলিপ সিদ্দিক। টিউলিপ সিদ্দিক আর্থিক খাত পর্যালোচনায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। তবে এসময় পাঁচ হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলা তে ছিল। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন ক্ষমতা ভেঙে পড়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে। হাজারো মানুষের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা ভারত পালিয়ে যান।


টিউলিপ সিদ্দিকের নানা ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সামরিক অভ্যুত্থানে প্রায় পুরো পরিবারসহ নিহত হন। সেই ট্র্যাজেডি মাথায় রেখেই এই নারী রাজনীতিক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যেন প্রয়োজনীয় ন্যায়বিচার পায়, সেটাই চাই।আমি সাফাই গাইতে আসিনি আমার খালার পক্ষে।’


টিউলিপ সিদ্দিকের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনীতি তার জীবনে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও শেখ হাসিনার ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী’ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই, অচেনা কিছু কিছু ওয়েবসাইটে খবর ছাপা হতে থাকে যে, টিউলিপ সিদ্দিক ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ।


 ২০১৩ সালের এক ছবি সামনে আসে, যেখানে টিউলিপ সিদ্দিক মস্কোতে শেখ হাসিনা ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে  দেখা যায়। সিদ্দিক ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, টিউলিপ সিদ্দিক ও তার বোন কেবল বেড়াতে গিয়েছিলেন ও শেষ দিনে একটি আনুষ্ঠানিক চায়ের দাওয়াতে দুই মিনিটের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল।


টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো- ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রস নামক এলাকায় তাকে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনার দলের ঘনিষ্ঠ লোকজনের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর যোগাযোগ ছিল। এ বিষয়ে টিউলিপের দাবি, ওই ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নন ও তাকে ভোটও দেননি।


আগের এক সাক্ষাৎকারে ভুলবশত টিউলিপ বলেছিলেন, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনেছেন, যা নাকি বৃদ্ধ মা-বাবা ‘দুর্বল স্মৃতির’ কারণে হয়েছিল। অর্থাৎ তার মা-বাবা হয়তো কখনো ভুলবশত বলেছিলেন, ফ্ল্যাটটি তারা কিনেছিলেন।


এছাড়া প্রশ্ন ওঠে- কেনো তিনি এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেভেলপারের বাড়িতে থাকছিলেন তার ক্রিকলউডে নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও । টিউলিপ জানান, নিরাপত্তা হুমকির কারণে তাকে হঠাৎ বাড়ি বদলাতে হয়েছিল ও পরিচিত একজনের কাছ থেকে তিনি ওই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন।



বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পর তিনি নিজেই মন্ত্রীদের নৈতিক মানদণ্ডবিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেন। কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে  দুই সপ্তাহের গভীর তদন্ত শেষে ম্যাগনাস তাকে মুক্ত করেন । তবে ম্যাগনাস বলেন, পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও সচেতন না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। টিউলিপ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি জন্মসূত্রে কার ভাগনি, সেটা তো আমার হাতে নেই।’


স্টারমারের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সরকারে বিভ্রান্তি তৈরি না করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।ভবিষ্যতে ফেরার ইঙ্গিত দেন তাকে স্টারমার। তবে অভিযোগ থামেনি, আর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ থেকেও কোনো স্পষ্টতা আসেনি।


বাংলাদেশে প্রতিশ্রুত নির্বাচন এখনো হয়নি। ডোটি চেম্বার্সের আইনজীবীরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সহিংসতার প্রমাণ সংগ্রহ করছেন, যার মধ্যে পুলিশ, সাংবাদিক, সংখ্যালঘু ও সাবেক আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।


টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি যুক্তরাজ্যে সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এদিকে, যুক্তরাজ্যের অপরাধ দমন সংস্থা শেখ হাসিনা-সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির প্রায় ৯ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করে ছিলেন এবং একটিতে টিউলিপের মা বসবাস করতেন। টিউলিপ বলেন, এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

শেখ হাসিনার ভাগনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি এই হাসিনা-ইউনুস দ্বন্দ্বের বলির পাঠা মাত্র। বাংলাদেশের অবশ্যই কিছু কিছু মানুষ ভুল কাজ করেছেন ও তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু আমি তাদের কেউ নই।’

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫


হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি বলির পাঠা: টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশের তারিখ : ১১ আগস্ট ২০২৫

featured Image
যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক এবং হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি  দাবি করেছেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি মামলায় তিনি ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলির পাঠা’ হয়েছে। তিনি বলেন, একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে এক সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন টিউলিপ।বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক তার মায়ের, ভাইয়ের ও বোনের জন্য ঢাকার পূর্বাচলে একটি জমি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেলেন। ১১ আগস্ট তার ও আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয়েছে । তিনি ব্যক্তিগতভাবে বা ভিডিও কনফারেন্সে হাজির হবেন কিনা- এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি ব্রিটিশ আইনজীবী হুগো কিথ কেসির পরামর্শ নিচ্ছেন। এখনো তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি।তিনি বলেন, ‘আমি যেন এক ধরনের ‘কাফকায়েস্ক দুঃস্বপ্নে’ আটকে আছি, যেখানে আমাকে বিদেশে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে অথচ আমি এখনো জানি না অভিযোগগুলো আসলে কী।’‘কাফকায়েস্ক দুঃস্বপ্ন’ এমন পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে, দুঃস্বপ্নের মতো জটিল, উদ্ভট ও অযৌক্তিক, যা নিপীড়ক আমলাতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকলেও দোষী সাব্যস্ত হলে বিষয়টি নতুন করে পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে।গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী টিউলিপ সিদ্দিক। টিউলিপ সিদ্দিক আর্থিক খাত পর্যালোচনায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। তবে এসময় পাঁচ হাজার মাইল দূরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলা তে ছিল। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসন ক্ষমতা ভেঙে পড়ে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে। হাজারো মানুষের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা ভারত পালিয়ে যান।টিউলিপ সিদ্দিকের নানা ও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সামরিক অভ্যুত্থানে প্রায় পুরো পরিবারসহ নিহত হন। সেই ট্র্যাজেডি মাথায় রেখেই এই নারী রাজনীতিক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যেন প্রয়োজনীয় ন্যায়বিচার পায়, সেটাই চাই।আমি সাফাই গাইতে আসিনি আমার খালার পক্ষে।’টিউলিপ সিদ্দিকের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনীতি তার জীবনে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও শেখ হাসিনার ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী’ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই, অচেনা কিছু কিছু ওয়েবসাইটে খবর ছাপা হতে থাকে যে, টিউলিপ সিদ্দিক ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে । ২০১৩ সালের এক ছবি সামনে আসে, যেখানে টিউলিপ সিদ্দিক মস্কোতে শেখ হাসিনা ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে  দেখা যায়। সিদ্দিক ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন, টিউলিপ সিদ্দিক ও তার বোন কেবল বেড়াতে গিয়েছিলেন ও শেষ দিনে একটি আনুষ্ঠানিক চায়ের দাওয়াতে দুই মিনিটের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল।টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো- ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রস নামক এলাকায় তাকে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনার দলের ঘনিষ্ঠ লোকজনের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর যোগাযোগ ছিল। এ বিষয়ে টিউলিপের দাবি, ওই ব্যক্তি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নন ও তাকে ভোটও দেননি।আগের এক সাক্ষাৎকারে ভুলবশত টিউলিপ বলেছিলেন, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনেছেন, যা নাকি বৃদ্ধ মা-বাবা ‘দুর্বল স্মৃতির’ কারণে হয়েছিল। অর্থাৎ তার মা-বাবা হয়তো কখনো ভুলবশত বলেছিলেন, ফ্ল্যাটটি তারা কিনেছিলেন।এছাড়া প্রশ্ন ওঠে- কেনো তিনি এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেভেলপারের বাড়িতে থাকছিলেন তার ক্রিকলউডে নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও । টিউলিপ জানান, নিরাপত্তা হুমকির কারণে তাকে হঠাৎ বাড়ি বদলাতে হয়েছিল ও পরিচিত একজনের কাছ থেকে তিনি ওই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন।বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পর তিনি নিজেই মন্ত্রীদের নৈতিক মানদণ্ডবিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করেন। কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে  দুই সপ্তাহের গভীর তদন্ত শেষে ম্যাগনাস তাকে মুক্ত করেন । তবে ম্যাগনাস বলেন, পারিবারিক সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট সুনামের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও সচেতন না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। টিউলিপ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি জন্মসূত্রে কার ভাগনি, সেটা তো আমার হাতে নেই।’স্টারমারের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সরকারে বিভ্রান্তি তৈরি না করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।ভবিষ্যতে ফেরার ইঙ্গিত দেন তাকে স্টারমার। তবে অভিযোগ থামেনি, আর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ থেকেও কোনো স্পষ্টতা আসেনি।বাংলাদেশে প্রতিশ্রুত নির্বাচন এখনো হয়নি। ডোটি চেম্বার্সের আইনজীবীরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সহিংসতার প্রমাণ সংগ্রহ করছেন, যার মধ্যে পুলিশ, সাংবাদিক, সংখ্যালঘু ও সাবেক আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি যুক্তরাজ্যে সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এদিকে, যুক্তরাজ্যের অপরাধ দমন সংস্থা শেখ হাসিনা-সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির প্রায় ৯ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করে ছিলেন এবং একটিতে টিউলিপের মা বসবাস করতেন। টিউলিপ বলেন, এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।শেখ হাসিনার ভাগনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি এই হাসিনা-ইউনুস দ্বন্দ্বের বলির পাঠা মাত্র। বাংলাদেশের অবশ্যই কিছু কিছু মানুষ ভুল কাজ করেছেন ও তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু আমি তাদের কেউ নই।’

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত