সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
The Dhaka News Bangla

কলকাতায় রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে আওয়ামী লীগ

কলকাতায় রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে আওয়ামী লীগ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার লাগোয়ায় একটি উপনগরীর ব্যস্ততম এলাকায় বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে আওয়ামী লীগ, যা বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলের অনেক নেতাকর্মী প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।সেখানে তারা শুধু অবস্থানই করছেন না, ‌‘দলীয় কার্যালয়’ খুলে রাজনৈতিক কার্যক্রমও চালাচ্ছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে এমন কথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যারা ভারতে ছিলেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় কাজকর্ম নিজেদের বাসাবাড়িতে করতেন। আর বড় বৈঠকগুলো হতো কোনো রেস্টুরেন্ট বা ব্যাংকোয়েট হল ভাড়া করে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট পার্টি অফিসের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।

বিবিসি বলছে, একটি বাণিজ্যিক ভবনের আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সারি সারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। স্টে করিডরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। পাঁচ-ছয়শ স্কয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে। সেখানে কোনো সাইন বোর্ড কিংবা শেখ হাসিনা বা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবিও নেই।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি খুবই সচেতনভাবে। আমরা চাইনি এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় কার্যালয়ে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।’

ওই নেতা আরও বলেন, ‘৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই কার্যালয়ে করা যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনো হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো, যেখানে শ দুয়েক নেতাকর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্টুরেন্টের একটি অংশ ভাড়া নেওয়া হয়।’

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫


কলকাতায় রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশের তারিখ : ০৮ আগস্ট ২০২৫

featured Image
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার লাগোয়ায় একটি উপনগরীর ব্যস্ততম এলাকায় বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে রাজনৈতিক কার্যালয় খুলেছে আওয়ামী লীগ, যা বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলের অনেক নেতাকর্মী প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।সেখানে তারা শুধু অবস্থানই করছেন না, ‌‘দলীয় কার্যালয়’ খুলে রাজনৈতিক কার্যক্রমও চালাচ্ছেন।শুক্রবার (৮ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে এমন কথ্য জানা গেছে।এতে বলা হয়েছে, পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যারা ভারতে ছিলেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় কাজকর্ম নিজেদের বাসাবাড়িতে করতেন। আর বড় বৈঠকগুলো হতো কোনো রেস্টুরেন্ট বা ব্যাংকোয়েট হল ভাড়া করে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট পার্টি অফিসের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।বিবিসি বলছে, একটি বাণিজ্যিক ভবনের আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সারি সারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। স্টে করিডরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। পাঁচ-ছয়শ স্কয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে। সেখানে কোনো সাইন বোর্ড কিংবা শেখ হাসিনা বা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবিও নেই।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি খুবই সচেতনভাবে। আমরা চাইনি এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় কার্যালয়ে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।’ওই নেতা আরও বলেন, ‘৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই কার্যালয়ে করা যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনো হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো, যেখানে শ দুয়েক নেতাকর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্টুরেন্টের একটি অংশ ভাড়া নেওয়া হয়।’

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত