
সরকার ঘোষিত ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ যথাযথভাবে পালন না করায় কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমিতির নির্বাচিত ছয়জন সদস্য। তারা অভিযোগ করেছেন, ইতিহাস বদলে দেওয়া এ দিবসটি উপেক্ষা করে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন সমিতির শীর্ষ দুই নেতা।
সোমবার (৫ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত হয় সভা-সমাবেশ। তবে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতিতে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্বাচিত সদস্যরা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বারের কার্যকরী কমিটির সদস্য এডভোকেট সব্বির আহমদ, মোহাম্মদ আমির হোসাইন, মোহাম্মদ আখতার উদ্দিন হেলালী, আক্তার উদ্দিন ছোটন, আতাউল্লাহসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী অভিযোগ করেন। তারা বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দিবসটি পালনের বিষয়ে আগেই আইনজীবী সমিতিকে অবহিত করা হয়েছিল। এমনকি অনেক আইনজীবী ৫ আগস্ট আয়োজনে অংশ নিতে সমিতি ভবনে উপস্থিতও হয়েছিলেন। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই দিবসটি উপেক্ষা করেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার লক্ষ্যে ৬ আগস্ট দুপুর ২টায় সমিতির কনফারেন্স রুমে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ফারুকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, জাতীয় দিবস পালনের ক্ষেত্রে এই ধরনের অবহেলা শুধু দায়িত্বচ্যুতি নয়, বরং এটি সরকার ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি অসম্মান। এর মাধ্যমে আইনজীবীদের মর্যাদাকেও হেয় করা হয়েছে। আইনজীবীগণ বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সভা আহবান করেও পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়া বাস্তবায়ন না করায় আইনজীবীগণ হতাশ হয়েছেন। মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছেন। এই ধরনের কর্মে অতীতের সরকারি ঘোষণার ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত স্বাভাবিক ও স্বত্বসিদ্ধ রীতিনীতিকে অবমাননা করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, ‘পূর্বের ধারাবাহিকতায় অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলো নিয়মিত পালন করে আসছে সমিতি। এমন দিনে হঠাৎ এই বিমুখতা অসহনীয়। এর কারণে আইনজীবী সমিতির মান ক্ষুন্ন হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার বলেন, ‘সরকারিভাবে জুলাই অভ্যুত্থান দিবস পালনের বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তবে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দিবসটি ঘিরে আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, এমনকি একটি ব্যানারও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু আশঙ্কা ছিল- যথেষ্ট আইনজীবী উপস্থিত না হলে অনুষ্ঠানটি ফলপ্রসূ হবে না। তাই শেষ মুহূর্তে সেই আয়োজন আর করা হয়নি।’
তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আমাদের একটি আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী আমরা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। তবে এটি যে বাধ্যতামূলকভাবে পালন করতে হবে- এমন কোনো স্পষ্ট সরকারি নির্দেশনা আমাদের কাছে পৌঁছেনি।
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ আগস্ট ২০২৫
যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে