বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
The Dhaka News Bangla

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি দিলো ছাত্রদল নেতা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি দিলো ছাত্রদল নেতা
ছাত্রদল নেতার হুমকি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুই সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম হৃদয়।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান লিটনসহ শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদানের ছবি ও ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকদের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন জাহিদুল ইসলাম হৃদয়। তখন সময়ের আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আশরাফুল আলম পরিচয় দিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথা বললে হৃদয় তাকে ‘বেয়াদব’ বলে সম্বোধন করেন এবং থাপড়ানোর হুমকি দেন।

অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিভির প্রতিনিধি রোহান চিশতীকেও মারতে উদ্যত হন হৃদয়। এ সময় প্রক্টর, শিক্ষক এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে সরিয়ে নেন।

আশরাফুল আলম বলেন, “ছবি তোলার সময় উচ্চস্বরে সরে যেতে বললে আমি সাংবাদিক পরিচয় জানাই। তখন তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘তুই বেয়াদবি করতেছোস, তোরে এখন থাপড়াবো।’”

এনটিভির প্রতিনিধি রোহান চিশতী বলেন, “অনুষ্ঠান শেষে ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছোট ভাইকে থাপড়ানোর কথা বলছি।’ এরপর আমাকে মারতে উদ্যত হয়ে বলেন, ‘তুই কি আরও বুঝতে চাইতেছোস?’ একাধিকবার আমাকে ‘সাংঘাতিক’ বলে সম্বোধন করেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বখতিয়ার উদ্দিন জানান, হৃদয় অর্থনীতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পরিচয়ের সুবিধা নিয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। বিশেষ বিবেচনায় তিনি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছেন।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। সে যে আচরণ করেছে, তা কাম্য নয়। সাংগঠনিকভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করব।”

তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জাহিদুল ইসলাম হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা ও হুমকির ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিষয় : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫


নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি দিলো ছাত্রদল নেতা

প্রকাশের তারিখ : ০৫ আগস্ট ২০২৫

featured Image
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুই সাংবাদিককে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম হৃদয়।মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য মাহবুবুর রহমান লিটনসহ শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদানের ছবি ও ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকদের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন জাহিদুল ইসলাম হৃদয়। তখন সময়ের আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আশরাফুল আলম পরিচয় দিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথা বললে হৃদয় তাকে ‘বেয়াদব’ বলে সম্বোধন করেন এবং থাপড়ানোর হুমকি দেন।অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিভির প্রতিনিধি রোহান চিশতীকেও মারতে উদ্যত হন হৃদয়। এ সময় প্রক্টর, শিক্ষক এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে সরিয়ে নেন।আশরাফুল আলম বলেন, “ছবি তোলার সময় উচ্চস্বরে সরে যেতে বললে আমি সাংবাদিক পরিচয় জানাই। তখন তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘তুই বেয়াদবি করতেছোস, তোরে এখন থাপড়াবো।’”এনটিভির প্রতিনিধি রোহান চিশতী বলেন, “অনুষ্ঠান শেষে ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছোট ভাইকে থাপড়ানোর কথা বলছি।’ এরপর আমাকে মারতে উদ্যত হয়ে বলেন, ‘তুই কি আরও বুঝতে চাইতেছোস?’ একাধিকবার আমাকে ‘সাংঘাতিক’ বলে সম্বোধন করেন।”বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বখতিয়ার উদ্দিন জানান, হৃদয় অর্থনীতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক পরিচয়ের সুবিধা নিয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। বিশেষ বিবেচনায় তিনি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছেন।এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। সে যে আচরণ করেছে, তা কাম্য নয়। সাংগঠনিকভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করব।”তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার জাহিদুল ইসলাম হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা ও হুমকির ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত