রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

পুলিশ হত্যার দায় ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: নাহিদ ইসলাম

পুলিশ হত্যার দায় ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তিনি বিবিসির একটি রিপোর্টে দেখেছেন যে, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশ হত্যার ঘটনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ হত্যার দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টায় মৌলভীবাজার শহরের বেরীর পাড় পয়েন্টে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৩ আগস্ট আমরা এক দফা দাবির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম—আমাদের আন্দোলন শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ছাত্রলীগ, পুলিশ ও সরকারপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলায় আমরা বাধ্য হই প্রতিরোধ ও অভ্যুত্থানে।’

তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে যারা পক্ষে ছিল, তারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। যারা বিরোধিতা করেছে, তারা ছিল ফ্যাসিবাদের পক্ষে।’

আঞ্চলিক রাজনীতির প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মৌলভীবাজার একটি সীমান্তবর্তী জেলা। পার্শ্ববর্তী আসাম ও ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আসামে দীর্ঘদিন ধরে বাঙালিবিরোধী আন্দোলন চলছে। নাগরিকত্ব থেকে বাঙালি হিন্দু ও মুসলমানদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছে।’

দক্ষিণ এশিয়ায় সম্প্রীতির রাজনীতি ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নতুন বাংলাদেশে নতুন ব্যবস্থা। পুরোনো আইন-শাসনে দেশ চলতে পারে না। অভ্যুত্থানের পর নানা মহল পুরোনো সিস্টেমে ফেরার চেষ্টা করছে। কিন্তু জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হতে দেওয়া যাবে না। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা চাই একটি নতুন বাংলাদেশ।’

চা-শ্রমিকদের প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চা-বাগান মৌলভীবাজারে। অথচ এখানকার শ্রমিকেরা মজুরি বৈষম্যের শিকার। শ্রীলঙ্কায় একজন শ্রমিক ৫৫০ টাকা, ভারতে ৪০০ টাকার বেশি পেলেও বাংলাদেশে দেওয়া হয় মাত্র ১৭৯ টাকা।’

নির্বাচন বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল কর্মসংস্থানের। সেই দাবি এখন নির্বাচনের ইস্যুতে পর্যবসিত হয়েছে। আমরা চাই নির্বাচন, তবে বিচার ও সংস্কার ছাড়া সেই নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে। জনগণ তা মেনে নেবে না।’

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীনসহ জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা।

বিষয় : নাহিদ ইসলাম এনসিপি

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫


পুলিশ হত্যার দায় ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের তারিখ : ২৬ জুলাই ২০২৫

featured Image
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তিনি বিবিসির একটি রিপোর্টে দেখেছেন যে, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশ হত্যার ঘটনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ হত্যার দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টায় মৌলভীবাজার শহরের বেরীর পাড় পয়েন্টে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৩ আগস্ট আমরা এক দফা দাবির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম—আমাদের আন্দোলন শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ছাত্রলীগ, পুলিশ ও সরকারপন্থী সন্ত্রাসীদের হামলায় আমরা বাধ্য হই প্রতিরোধ ও অভ্যুত্থানে।’তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে যারা পক্ষে ছিল, তারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। যারা বিরোধিতা করেছে, তারা ছিল ফ্যাসিবাদের পক্ষে।’আঞ্চলিক রাজনীতির প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মৌলভীবাজার একটি সীমান্তবর্তী জেলা। পার্শ্ববর্তী আসাম ও ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আসামে দীর্ঘদিন ধরে বাঙালিবিরোধী আন্দোলন চলছে। নাগরিকত্ব থেকে বাঙালি হিন্দু ও মুসলমানদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করেছে।’দক্ষিণ এশিয়ায় সম্প্রীতির রাজনীতি ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নতুন বাংলাদেশে নতুন ব্যবস্থা। পুরোনো আইন-শাসনে দেশ চলতে পারে না। অভ্যুত্থানের পর নানা মহল পুরোনো সিস্টেমে ফেরার চেষ্টা করছে। কিন্তু জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হতে দেওয়া যাবে না। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা চাই একটি নতুন বাংলাদেশ।’চা-শ্রমিকদের প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চা-বাগান মৌলভীবাজারে। অথচ এখানকার শ্রমিকেরা মজুরি বৈষম্যের শিকার। শ্রীলঙ্কায় একজন শ্রমিক ৫৫০ টাকা, ভারতে ৪০০ টাকার বেশি পেলেও বাংলাদেশে দেওয়া হয় মাত্র ১৭৯ টাকা।’নির্বাচন বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল কর্মসংস্থানের। সেই দাবি এখন নির্বাচনের ইস্যুতে পর্যবসিত হয়েছে। আমরা চাই নির্বাচন, তবে বিচার ও সংস্কার ছাড়া সেই নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে। জনগণ তা মেনে নেবে না।’পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীনসহ জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত