
কক্সবাজারের মহেশখালীতে রশিদ হত্যাকাণ্ডের পুরনো একটি ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, নারী ফুটবলারদের সাম্প্রতিক সাফল্যের পর সেই পুরনো ঘটনার তথ্য বিকৃত করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহেশখালীর কালারমারছড়ায় সংঘটিত রশিদ হত্যাকাণ্ডের দিন স্থানীয়রা অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা বাড়ি থেকে কামরুলকে বের করার সময় তার বোন পারভীন (স্থানীয়ভাবে পরিচিত পারুল) আহত হন। পরে এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে দায়ের করা হয়।
কিন্তু সম্প্রতি নারী ফুটবলারদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে ওই পুরনো ঘটনার তথ্য বিকৃত করে নতুনভাবে প্রচার শুরু হয়। কিছু ভুয়া পোস্টে দাবি করা হয়, “ইসলামী উগ্রবাদীরা নারী ফুটবলারের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।” অথচ এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে অসংশ্লিষ্ট।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃত তথ্যবিকৃতি বলে উল্লেখ করেছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে নিহত রশিদের সন্তান শাওন ও ইমা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন, “আমাদের বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”
এ বিষয়ে জানতে মহেশখালী থানার ওসি মনজুরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়াধীন। গুজবের বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) কালারমারছড়ায় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ও তার ভাইয়ের লাঠির আঘাতে নিহত হন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রশিদ আহমেদ। ওইদিন বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত কামরুল হাসানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরদিন নিহতের পরিবার ৮ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৪ জুলাই ২০২৫
যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে