শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

ফিটনেস নেই, ঝুঁকি বেশি - বিআরটিসির বাস বন্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

ফিটনেস নেই, ঝুঁকি বেশি - বিআরটিসির বাস বন্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণের দাবিতে আন্দোলন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিটনেসবিহীন বাস বাতিল করে নতুন ফিটনেসযুক্ত বাস সংযোজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের নির্ধারিত বাসগুলো আটকে রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—

১. দ্রুত ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে নতুন বাস চালু করা।

২. দাবি বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারণ।

৩. পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করে রুটভাড়া ঠিক করা।

৪. ঢাকাগামী বাস চালুর ব্যবস্থা নেওয়া।

৫. সব ড্রাইভার ও হেলপারকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ইলিয়াস বলেন, “বিআরটিসির বাসগুলোর ইঞ্জিন প্রায়ই মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের মাঝেমধ্যে ঠেলে বাস স্টার্ট দিতে হয়। ঢাকামুখী চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন বাস থাকলে সুবিধা হবে।”

বিক্ষোভ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম ও প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ১৫টি বাসের মধ্যে ৯টি বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত। এগুলোর মধ্যে প্রায়ই ইঞ্জিন বিকল, চাকা ফেটে যাওয়া ও কাচ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও সমাধান পাননি।

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, “এখন থেকে নষ্ট বিআরটিসির বাসগুলো চলবে না। আমাদের নিজস্ব বাস দিয়ে শিডিউল পূরণ করা হবে। প্রাইভেট কোম্পানির বাস আনার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। কোম্পানির বাস না আসা পর্যন্ত নিজস্ব বাস চালানো হবে।”

তিনি আরও জানান, “সব বিআরটিসির বাস একসঙ্গে বন্ধ করলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে। আপাতত ৩টি বিআরটিসি বাস বন্ধ রাখা হবে এবং ৬টি চলবে। টেন্ডার শেষ হলে আরও ২টি বিআরটিসি ফেরত পাঠানো হবে।”

ক্যাম্পাস থেকে ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসকের কক্ষে আলোচনা সভা হবে বলে জানান তিনি।

বিষয় : নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫


ফিটনেস নেই, ঝুঁকি বেশি - বিআরটিসির বাস বন্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

প্রকাশের তারিখ : ২৩ জুলাই ২০২৫

featured Image
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিটনেসবিহীন বাস বাতিল করে নতুন ফিটনেসযুক্ত বাস সংযোজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের নির্ধারিত বাসগুলো আটকে রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—১. দ্রুত ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে নতুন বাস চালু করা।২. দাবি বাস্তবায়নে সময়সীমা নির্ধারণ।৩. পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করে রুটভাড়া ঠিক করা।৪. ঢাকাগামী বাস চালুর ব্যবস্থা নেওয়া।৫. সব ড্রাইভার ও হেলপারকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ইলিয়াস বলেন, “বিআরটিসির বাসগুলোর ইঞ্জিন প্রায়ই মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের মাঝেমধ্যে ঠেলে বাস স্টার্ট দিতে হয়। ঢাকামুখী চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন বাস থাকলে সুবিধা হবে।”বিক্ষোভ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম ও প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ১৫টি বাসের মধ্যে ৯টি বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত। এগুলোর মধ্যে প্রায়ই ইঞ্জিন বিকল, চাকা ফেটে যাওয়া ও কাচ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও সমাধান পাননি।এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, “এখন থেকে নষ্ট বিআরটিসির বাসগুলো চলবে না। আমাদের নিজস্ব বাস দিয়ে শিডিউল পূরণ করা হবে। প্রাইভেট কোম্পানির বাস আনার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। কোম্পানির বাস না আসা পর্যন্ত নিজস্ব বাস চালানো হবে।”তিনি আরও জানান, “সব বিআরটিসির বাস একসঙ্গে বন্ধ করলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হবে। আপাতত ৩টি বিআরটিসি বাস বন্ধ রাখা হবে এবং ৬টি চলবে। টেন্ডার শেষ হলে আরও ২টি বিআরটিসি ফেরত পাঠানো হবে।”ক্যাম্পাস থেকে ঢাকামুখী বাস সার্ভিস চালুর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসকের কক্ষে আলোচনা সভা হবে বলে জানান তিনি।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত