মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে সাধারণ মানুষের ঢল

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে সাধারণ মানুষের ঢল

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমান বিধ্বস্তে আহতদের রক্ত দিতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়স ও পেশার নারী-পুরুষ দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসে রক্তদানের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রক্তদাতাদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করছেন। জানা গেছে, ঢাকার বাইরে থেকে যারা রক্ত দিতে এসেছেন তাদের বেশিরভারেই রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ। নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের সংকট থাকায় নিজ তাগিদে তারা ঢাকায় ছুটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।

রোভার স্কাউটের সদস্য মো. হাসান বলেন, আমরা এখন নাম এন্ট্রি করছি। ৮ম তলা থেকে সংকেত এলে একে একে ব্লাড নেওয়া হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে বুথ প্রস্তুত হবে।

মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন খালেদ আহমেদ নামে এক ডেইরি ব্যবসায়ী।

তিনি বললেন, আমার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ। শুনেছি, এই গ্রুপের রক্তের খুব প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলে এসেছি। শিশুরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে, এই প্রার্থনায় রক্ত দিতে এসেছি।

কেরানিগঞ্জের একটি মাদরাসা থেকে বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন সালমান।

তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে এসেছিনাম এন্ট্রি হয়ে গেছেডাক পেলেই রক্ত দেবোকোনো শিশু যেন রক্তের অভাবে মারা না যায়

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা বিন ইয়ামিন বলেন, রক্ত না পেয়ে কেউ কষ্টে থাকবে আর আমরা বসে থাকবো- এটা হতে পারে নাতাই ছুটে এসেছি

নারীরাও এসেছেন রক্ত দিতেকেরানীগঞ্জের নজরগঞ্জ থেকে আসা আজিজা বলেন, আমিআমার এক আত্মীয় এসেছি রক্ত দিতেআরও কয়েকজন রওনা দিয়েছেন। আমরা চাই, শিশুরা বাঁচুক, সুস্থ হয়ে উঠুক।

বিষয় : রক্ত সাধারণ মানুষ

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫


উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে সাধারণ মানুষের ঢল

প্রকাশের তারিখ : ২২ জুলাই ২০২৫

featured Image
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমান বিধ্বস্তে আহতদের রক্ত দিতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়স ও পেশার নারী-পুরুষ দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসে রক্তদানের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে দেখা যায়, ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রক্তদাতাদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করছেন। জানা গেছে, ঢাকার বাইরে থেকে যারা রক্ত দিতে এসেছেন তাদের বেশিরভারেই রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ। নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের সংকট থাকায় নিজ তাগিদে তারা ঢাকায় ছুটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।রোভার স্কাউটের সদস্য মো. হাসান বলেন, আমরা এখন নাম এন্ট্রি করছি। ৮ম তলা থেকে সংকেত এলে একে একে ব্লাড নেওয়া হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে বুথ প্রস্তুত হবে।মৌলভীবাজার থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন খালেদ আহমেদ নামে এক ডেইরি ব্যবসায়ী।তিনি বললেন, আমার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ। শুনেছি, এই গ্রুপের রক্তের খুব প্রয়োজন। তাই দেরি না করে চলে এসেছি। শিশুরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে, এই প্রার্থনায় রক্ত দিতে এসেছি।কেরানিগঞ্জের একটি মাদরাসা থেকে বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন সালমান।তিনি বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে এসেছি। নাম এন্ট্রি হয়ে গেছে। ডাক পেলেই রক্ত দেবো। কোনো শিশু যেন রক্তের অভাবে মারা না যায়।যাত্রাবাড়ী থেকে আসা বিন ইয়ামিন বলেন, রক্ত না পেয়ে কেউ কষ্টে থাকবে আর আমরা বসে থাকবো- এটা হতে পারে না। তাই ছুটে এসেছি।নারীরাও এসেছেন রক্ত দিতে। কেরানীগঞ্জের নজরগঞ্জ থেকে আসা আজিজা বলেন, আমি ও আমার এক আত্মীয় এসেছি রক্ত দিতে। আরও কয়েকজন রওনা দিয়েছেন। আমরা চাই, শিশুরা বাঁচুক, সুস্থ হয়ে উঠুক।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত