মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

দাঁড়িয়ে রিকশাচালকদের স্যালুট জানালেন দুই উপদেষ্টা ও শতাধিক নারী

দাঁড়িয়ে রিকশাচালকদের স্যালুট জানালেন দুই উপদেষ্টা ও শতাধিক নারী

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত রিকশা র‍্যালি অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার রিকশাচালকদের প্রতি বিশেষ সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

তারা রিকশাচালকদের এই আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য স্যালুট জানান। এ সময় উপস্থিত নারীরাও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে চালকদের সম্মান জানান।

সোমবার (১৪ জুলাই) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে রিকশা র‍্যালি অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে উঠে আসে।

র‍্যালি শেষে জাতীয় সংসদ প্লাজার দক্ষিণ পাশে মানিক মিয়া এভিনিউতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জুলাই মানে অত্যাচারের অবসান, জুলাই মানে মেয়েদের সম্মান আর মাথা উচু করে দাঁড়ানো।

তিনি বলেন, ইতিহাস সবসময় মেয়েদের আড়ালে ফেলে রাখে। মেয়েরা হবে সেই ইতিহাসের লেখক। সমাজে যে ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান, মেয়েরা যে অন্যায়, অত্যাচার, হুমকি এবং সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, তা মনে হচ্ছে যুদ্ধের অবসান ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, মেয়েদের নিরাপত্তায় যা যা করার দরকার, আমার মন্ত্রণালয় করবে। ৫৪ বছরের ইতিহাস বলে দেয় রাষ্ট্র পারেনি। যদি পারতো তাহলে ২৪ অভুত্থান হতো না। কারণ, রাষ্ট্র তোমাদের ছাড়া নয়। নারী ও শিশু নির্যাতন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তোমরা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখা রিকশাচালকদের সম্মান জানিয়ে সালাম জানান নারীরা। অনুষ্ঠানে নারীদের শপথ পাঠ করানো হয়। দাঁড়িয়ে রিকশাচালকদের স্যালুট জানালেন দুই উপদেষ্টা ও শতাধিক নারী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, রিকশাচালকের অবদান আমরা ভুলব না। তাদেরকে স্যালুট জানাই।

তিনি বলেন, যদি মেয়েদের নিরাপত্তা না দিতে পারি, তাহলে ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে। প্রগতিশীল যারা নারীদের ঘরে ফেরাতে চায়, আমরা আবারও জুলাইতে ফিরে আসবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, আন্দোলনে ১১ জন নারী শহীদদের স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে। সারা দেশে যেসব নারীরা আন্দোলন করেছে, সব মেয়ে ও নারীদের একযোগে আনতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় মেয়েদের হ্যারাজমেন্টের বিচারের দাবি তোলেন তিনি।

পরে শহীদ নাঈমা সুলতানার মা বলেন, আমার মেয়েকে টার্গেট করে স্নাইপার দিয়ে মারা হয়। আমি চাই না আমার মেয়ের মতো কাউকে মারা না হয়। 

শহীদ নাফিসার বাবা বলেন, জুলাই-আগস্ট আমাদের জন্য কষ্টের মাস। নাফিসা ৫ আগস্ট শহীদ হয়। সব শহীদদের জন্য দোয়া চাই। এই দেশটা যেন শান্তিপ্রিয় হয়। রাষ্ট্রের কাছে এটাই চাওয়া। 

বিষয় : উপদেষ্টা জুলাই অভ্যুত্থান

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫


দাঁড়িয়ে রিকশাচালকদের স্যালুট জানালেন দুই উপদেষ্টা ও শতাধিক নারী

প্রকাশের তারিখ : ১৪ জুলাই ২০২৫

featured Image
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত রিকশা র‍্যালি অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার রিকশাচালকদের প্রতি বিশেষ সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।তারা রিকশাচালকদের এই আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য স্যালুট জানান। এ সময় উপস্থিত নারীরাও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে চালকদের সম্মান জানান।সোমবার (১৪ জুলাই) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে রিকশা র‍্যালি অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে উঠে আসে।র‍্যালি শেষে জাতীয় সংসদ প্লাজার দক্ষিণ পাশে মানিক মিয়া এভিনিউতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জুলাই মানে অত্যাচারের অবসান, জুলাই মানে মেয়েদের সম্মান আর মাথা উচু করে দাঁড়ানো।তিনি বলেন, ইতিহাস সবসময় মেয়েদের আড়ালে ফেলে রাখে। মেয়েরা হবে সেই ইতিহাসের লেখক। সমাজে যে ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান, মেয়েরা যে অন্যায়, অত্যাচার, হুমকি এবং সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে, তা মনে হচ্ছে যুদ্ধের অবসান ঘটেনি।তিনি আরও বলেন, মেয়েদের নিরাপত্তায় যা যা করার দরকার, আমার মন্ত্রণালয় করবে। ৫৪ বছরের ইতিহাস বলে দেয় রাষ্ট্র পারেনি। যদি পারতো তাহলে ২৪ অভুত্থান হতো না। কারণ, রাষ্ট্র তোমাদের ছাড়া নয়। নারী ও শিশু নির্যাতন মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তোমরা ইতিহাস হয়ে থাকবে।অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখা রিকশাচালকদের সম্মান জানিয়ে সালাম জানান নারীরা। অনুষ্ঠানে নারীদের শপথ পাঠ করানো হয়। দাঁড়িয়ে রিকশাচালকদের স্যালুট জানালেন দুই উপদেষ্টা ও শতাধিক নারী।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, রিকশাচালকের অবদান আমরা ভুলব না। তাদেরকে স্যালুট জানাই।তিনি বলেন, যদি মেয়েদের নিরাপত্তা না দিতে পারি, তাহলে ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে। প্রগতিশীল যারা নারীদের ঘরে ফেরাতে চায়, আমরা আবারও জুলাইতে ফিরে আসবে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, আন্দোলনে ১১ জন নারী শহীদদের স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে। সারা দেশে যেসব নারীরা আন্দোলন করেছে, সব মেয়ে ও নারীদের একযোগে আনতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।এ সময় মেয়েদের হ্যারাজমেন্টের বিচারের দাবি তোলেন তিনি।পরে শহীদ নাঈমা সুলতানার মা বলেন, আমার মেয়েকে টার্গেট করে স্নাইপার দিয়ে মারা হয়। আমি চাই না আমার মেয়ের মতো কাউকে মারা না হয়। শহীদ নাফিসার বাবা বলেন, জুলাই-আগস্ট আমাদের জন্য কষ্টের মাস। নাফিসা ৫ আগস্ট শহীদ হয়। সব শহীদদের জন্য দোয়া চাই। এই দেশটা যেন শান্তিপ্রিয় হয়। রাষ্ট্রের কাছে এটাই চাওয়া। 

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত