মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

চাঁদাবাজদের কবল থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করব : নাহিদ ইসলাম

চাঁদাবাজদের কবল থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করব : নাহিদ ইসলাম

দেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা সৎ ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করব।

তিনি বলেন, আগের আমলে আমরা দেখেছি-গুটি কয়েক ব্যবসায়ী মাফিয়ায় পরিণত হয়েছিল। সেই মাফিয়াদেরকে এখন একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে, সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও খেটে-খাওয়া ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের তাড়নায় বেহাল অবস্থায় রয়েছেন।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণঅভ্যুত্থান এখনও অসমাপ্ত রয়েছে, এ কথা উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা বলেছি, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের কোনো শেষ বা সমাপ্তি ছিল না। এটি ছিল নতুন বাংলাদেশের সূচনা, ছাত্র, তরুণ ও শ্রমিকদের আন্দোলনের শুরু। আমাদের এই আন্দোলনকে অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ইনসাফের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণঅভ্যুত্থানের সকল ছাত্র-তরুণ এখনও মাঠে রয়েছে। আপনারা যতই চেষ্টা করুন, যতই ষড়যন্ত্র করুন, আমাদেরকে মাঠ থেকে সরাতে পারবেন না। আমরা মাঠে থাকব, ইনশাল্লাহ।"

তিনি বলেন, শহীদ পরিবারেরা নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি সংস্কৃতি দেখতে চায়নি। শহীদরা সন্ত্রাসীদের জন্য, চাঁদাবাজির অভয়ারণ্যের জন্য জীবন দেননি। আমরা বলেছিলাম, আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। আর তারা ভেবেছিল লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছে। যদি ভেবে থাকেন লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছেন, খুবই ভুল ভাবছেন। ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে জনগণ যেভাবে রাজপথে নেমেছিল, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একইভাবে রাজপথে নামতে হবে। আপনারা প্রস্তুত হন, আমরা খুলনাবাসীকে বলছি, আপনারা প্রস্তুত হন। আমরা ৩ আগস্ট ঢাকায় আসছি, এই সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পার করছি। কিন্তু আজকে ঢাকায় এবং খুলনায় বিভৎস্য ঘটনা ঘটেছে। চোখে দেখার মতো না এই ঘটনা। শৈশবে আমরা লগি-বৈঠার তাণ্ডব দেখেছিলাম। কি বিভৎস ঘটনা। রাজনৈতিক সহিংসতা আমরা দেখেছিলাম। একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের দেখতে হচ্ছে। এটা দুঃখের এটা আমাদের জন্য কষ্টের।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা বলেছিলাম, যেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা মাফিয়া তৈরি করে, সেই ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসীদের তৈরি করে। যেই ব্যবস্থা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সেই ব্যবস্থা পুলিশ বাহিনীকে খুনি বাহিনীতে রূপান্তরিত করে। সেই ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে হবে। সেই ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গঠন করতে হবে। কিন্তু নানাভাবে ৫ আগস্ট থেকে ষড়যন্ত্র হয়েছে এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে। আমরা দেখেছিলাম, ৫ আগস্ট কারা ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছিল। অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দদের বাদ দিয়ে সরকার গঠনের পরিকল্পনা করেছিল। এই ছাত্র নেতৃবৃন্দ অনেক চেষ্টা করেছে এই সরকারকে এই সময়ের রাজনীতিকে গণঅভ্যুত্থানের দিকে আনতে। কিন্তু নানা পক্ষ যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে থাকলেও নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে নেই। তারা পুরনো বন্দোবস্তের পক্ষে আছে। পুরনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখার জন্য তারা সবকিছুই করে যাচ্ছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা আজকে ঢাকায় দেখলাম, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। জনগণকে আজকে বলতে হচ্ছে, অভ্যুত্থানকারী নাগরিকদের আজকে বলতে হচ্ছে-আপনাদের আবারও প্রস্তুতি নিতে হবে, আবারও মাঠে নামতে হবে, বাংলাদেশের জনগনকে রক্ষা করতে হবে। শহীদরা এই দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়ে গিয়েছে।

খুলনাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, খুলনা একটি ঐতিহ্যের নগরী। এই খুলনা আজকে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যুগ যুগ ধরে খুলনা এই বঙ্গ অঞ্চলে শিল্পনগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। কিন্তু সেই শিল্পগুলো একের পর এক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই সেই শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আবারও পাটকল চালু করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা পৃথিবীর অনন্য নিদর্শন সুন্দরবন আমাদের এই খুলনা অঞ্চলে অবস্থিত। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করে এই সুন্দরবনকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হয়েছিল। ভারতের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বিভিন্ন দুর্যোগে আমরা দেখেছি, এই খুলনা অঞ্চল, এই সুন্দরবন কিভাবে তার বেহাল দশায় পতিত হয়েছে। অথচ এই সুন্দরবন শত শত বছর ধরে এই ব-দ্বীপের মানুষকে ঢাল হিসেবে পাহাড়া দিয়েছে, আমাদেরকে রক্ষা করে গিয়েছে। এই সুন্দরবনকে আমাদের রক্ষা করতে হবে, এই সুন্দরবন আমাদের।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ ইসলাম বলেন, খুলনা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুয়েট দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে নেমেছে, শিক্ষকরা-ভিসিরা নিজেদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের কারণে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা দাবি জানাচ্ছি, খুলনা এলাকার মানুষ, আপনাদের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি কারও অন্তর্কোন্দলের কারণে বন্ধ থাকে, তাহলে আপনারা এটা মেনে নেবেন না।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। 


বিষয় : নাহিদ ইসলাম এনসিপি

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫


চাঁদাবাজদের কবল থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করব : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের তারিখ : ১১ জুলাই ২০২৫

featured Image
দেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা সৎ ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করব।তিনি বলেন, আগের আমলে আমরা দেখেছি-গুটি কয়েক ব্যবসায়ী মাফিয়ায় পরিণত হয়েছিল। সেই মাফিয়াদেরকে এখন একটি রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় দিচ্ছে, সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও খেটে-খাওয়া ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের তাড়নায় বেহাল অবস্থায় রয়েছেন।শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।গণঅভ্যুত্থান এখনও অসমাপ্ত রয়েছে, এ কথা উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা বলেছি, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের কোনো শেষ বা সমাপ্তি ছিল না। এটি ছিল নতুন বাংলাদেশের সূচনা, ছাত্র, তরুণ ও শ্রমিকদের আন্দোলনের শুরু। আমাদের এই আন্দোলনকে অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ইনসাফের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণঅভ্যুত্থানের সকল ছাত্র-তরুণ এখনও মাঠে রয়েছে। আপনারা যতই চেষ্টা করুন, যতই ষড়যন্ত্র করুন, আমাদেরকে মাঠ থেকে সরাতে পারবেন না। আমরা মাঠে থাকব, ইনশাল্লাহ।"তিনি বলেন, শহীদ পরিবারেরা নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি সংস্কৃতি দেখতে চায়নি। শহীদরা সন্ত্রাসীদের জন্য, চাঁদাবাজির অভয়ারণ্যের জন্য জীবন দেননি। আমরা বলেছিলাম, আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। আর তারা ভেবেছিল লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছে। যদি ভেবে থাকেন লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছেন, খুবই ভুল ভাবছেন। ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে জনগণ যেভাবে রাজপথে নেমেছিল, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একইভাবে রাজপথে নামতে হবে। আপনারা প্রস্তুত হন, আমরা খুলনাবাসীকে বলছি, আপনারা প্রস্তুত হন। আমরা ৩ আগস্ট ঢাকায় আসছি, এই সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে।নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পার করছি। কিন্তু আজকে ঢাকায় এবং খুলনায় বিভৎস্য ঘটনা ঘটেছে। চোখে দেখার মতো না এই ঘটনা। শৈশবে আমরা লগি-বৈঠার তাণ্ডব দেখেছিলাম। কি বিভৎস ঘটনা। রাজনৈতিক সহিংসতা আমরা দেখেছিলাম। একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের দেখতে হচ্ছে। এটা দুঃখের এটা আমাদের জন্য কষ্টের।তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা বলেছিলাম, যেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা মাফিয়া তৈরি করে, সেই ব্যবস্থা দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয় এবং সন্ত্রাসীদের তৈরি করে। যেই ব্যবস্থা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সেই ব্যবস্থা পুলিশ বাহিনীকে খুনি বাহিনীতে রূপান্তরিত করে। সেই ব্যবস্থার বিলোপ ঘটাতে হবে। সেই ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গঠন করতে হবে। কিন্তু নানাভাবে ৫ আগস্ট থেকে ষড়যন্ত্র হয়েছে এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে। আমরা দেখেছিলাম, ৫ আগস্ট কারা ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছিল। অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দদের বাদ দিয়ে সরকার গঠনের পরিকল্পনা করেছিল। এই ছাত্র নেতৃবৃন্দ অনেক চেষ্টা করেছে এই সরকারকে এই সময়ের রাজনীতিকে গণঅভ্যুত্থানের দিকে আনতে। কিন্তু নানা পক্ষ যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে থাকলেও নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে নেই। তারা পুরনো বন্দোবস্তের পক্ষে আছে। পুরনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখার জন্য তারা সবকিছুই করে যাচ্ছে।নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা আজকে ঢাকায় দেখলাম, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। জনগণকে আজকে বলতে হচ্ছে, অভ্যুত্থানকারী নাগরিকদের আজকে বলতে হচ্ছে-আপনাদের আবারও প্রস্তুতি নিতে হবে, আবারও মাঠে নামতে হবে, বাংলাদেশের জনগনকে রক্ষা করতে হবে। শহীদরা এই দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়ে গিয়েছে।খুলনাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, খুলনা একটি ঐতিহ্যের নগরী। এই খুলনা আজকে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যুগ যুগ ধরে খুলনা এই বঙ্গ অঞ্চলে শিল্পনগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। কিন্তু সেই শিল্পগুলো একের পর এক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই সেই শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আবারও পাটকল চালু করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে।তিনি আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা পৃথিবীর অনন্য নিদর্শন সুন্দরবন আমাদের এই খুলনা অঞ্চলে অবস্থিত। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করে এই সুন্দরবনকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হয়েছিল। ভারতের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বিভিন্ন দুর্যোগে আমরা দেখেছি, এই খুলনা অঞ্চল, এই সুন্দরবন কিভাবে তার বেহাল দশায় পতিত হয়েছে। অথচ এই সুন্দরবন শত শত বছর ধরে এই ব-দ্বীপের মানুষকে ঢাল হিসেবে পাহাড়া দিয়েছে, আমাদেরকে রক্ষা করে গিয়েছে। এই সুন্দরবনকে আমাদের রক্ষা করতে হবে, এই সুন্দরবন আমাদের।খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ ইসলাম বলেন, খুলনা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুয়েট দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে নেমেছে, শিক্ষকরা-ভিসিরা নিজেদের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের কারণে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা দাবি জানাচ্ছি, খুলনা এলাকার মানুষ, আপনাদের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি কারও অন্তর্কোন্দলের কারণে বন্ধ থাকে, তাহলে আপনারা এটা মেনে নেবেন না।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। 

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত