
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিয়াজ মাহমুদ এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উদ্দেশ্য মূলকভাবে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে চরঈশ্বর ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি জাহেদ খানকে তাঁর দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে দলের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে তাকে দূরে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. টুটুল উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, সাম্প্রতি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ‘হাতিয়া ছাত্রদলের সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে গাছ কেটে খাস জায়গা দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয় গত ৪জুলাই উপজেলার কাজীর বাজারের দক্ষিণ পূর্ব পাশে নিজের দলীয় লোকজন নিয়ে গাছ কেটে সরকারি একটি খাস জায়গা দখল করেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিয়াজ মাহমুদ। রাতের আধাঁরে ওই স্থানে থাকা অন্তত ৩০টি গাছ কেটে ফেলেন রিয়াজ, যার বাজার মূল্য দেড় লাখ টাকা। পরে সেখানে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে দখল উচ্ছেদ করলেও পরে সেখানে আবারও দোকান নির্মাণ করে রিয়াজের লোকজন।
পরে বিষয়টি নিয়ে দলটির উপজেলা নেতৃবৃন্দ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এটির কোনো সতত্যা পাননি। পরবর্তীতে এ ঘটনার সাথে চরঈশ্বর ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি জাহেদ খানের সংশ্লিষ্টতা পান। নেতৃবৃন্দ নিশ্চিত হন জাহেদ রাজনীতিকভাবে রিয়াজ মাহমুদকে হেওপ্রতিপন্ন করতে পরিকল্পনা করে এমন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিয়াজ মাহমুদ বলেন, গত ৩জুলাই দুপুর ১২টা থেকে আমি জেলা শহর মাইজদীতে অবস্থান করছি। আমি যেখানে হাতিয়ার বাইরে সেখানে কিভাবে আমি উপস্থিত থেকে আমার নেতৃত্বে সরকারি জায়গা দখল হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমার যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি দুই মাস আগে কাজীর বাজার পর্যটন এলাকার ছবি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার আমি। আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে ঘটনাটি তদন্ত করে যারা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
হাতিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মং এছেন বলেন, কাজীর বাজার এলাকায় আমরা কোন গাছ কাটার অভিযোগ বা ঘটনাস্থলে দেখিনি। ওই এলাকায় আগের একটি মাছ ঘাট আছে, নতুন করে অন্য একটি পক্ষ মাছ ঘাট করার জন্য সরকারি জায়গায় একটি টিনের ঘর তুলেছিলো আমরা গত ৯জুলাই সেটি ভেঙে দিয়েছি। এসব ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ আছে। তবে সরকারি জমি দখল বা ঘর নির্মাণ কে বা কারা করছে সেটি পাওয়া যায়নি। ঘর নির্মাণের সাথে স্থানীয় অনেক লোক জড়িত বলে আমরা জেনেছি।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১১ জুলাই ২০২৫
যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে