বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, পানিবন্দি ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, পানিবন্দি ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

জানা গেছে, ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর ৪টি ও পরশুরামে সিলোনিয়া নদীর ৭টা স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ।

পরশুরামের উত্তর মনিপুর এলাকার রহমান মিয়া বলেন, গেল বছরে বল্লামুখা বাঁধের ভাঙন স্থলের একটি স্থানে এখনো মেরামত কাজ শেষ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকদের গাফিলতির কারণে এমনটি ঘটেছে। সেই জায়গা দিয়ে আজ আবারও পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে না আনলে প্রতিবছরই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১১টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। মাঠপর্যায়ে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, একাডেমি, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। তবে বিকেল থেকে এ পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


বিষয় : বন্যা ফেনী পানিবন্দি

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫


ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন, পানিবন্দি ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ

প্রকাশের তারিখ : ০৯ জুলাই ২০২৫

featured Image
ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।জানা গেছে, ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর ৪টি ও পরশুরামে সিলোনিয়া নদীর ৭টা স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ।পরশুরামের উত্তর মনিপুর এলাকার রহমান মিয়া বলেন, গেল বছরে বল্লামুখা বাঁধের ভাঙন স্থলের একটি স্থানে এখনো মেরামত কাজ শেষ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকদের গাফিলতির কারণে এমনটি ঘটেছে। সেই জায়গা দিয়ে আজ আবারও পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে না আনলে প্রতিবছরই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১১টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। মাঠপর্যায়ে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।এদিকে টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, একাডেমি, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। তবে বিকেল থেকে এ পানি ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে।ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত