সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন স্টেট ডিফেন্সের

গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন স্টেট ডিফেন্সের

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রতিবেদন থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন। সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে এ আবেদন করেন তিনি।

এ সময় স্টেট ডিফেন্স আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের “রাজাকারের বাচ্চা” বলেননি। অপব্যখ্যা করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

এদিকে অভিযোগ গঠনের শুনানিকে ঘিরে ইতোমধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) জুলাই গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এছাড়া আসামিদের পক্ষে সেদিন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আলোচিত এ মামলার শুনানিটি ওইদিন বিটিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।

গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার এবং মিজানুল ইসলাম। এই তথ্য বিটিভিসহ দেশের সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।

তারও আগে গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত এ আদেশ দেন।

অন্যদিকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।


বিষয় : শেখ হাসিনা

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫


গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন স্টেট ডিফেন্সের

প্রকাশের তারিখ : ০৭ জুলাই ২০২৫

featured Image
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রতিবেদন থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন। সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে এ আবেদন করেন তিনি।এ সময় স্টেট ডিফেন্স আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের “রাজাকারের বাচ্চা” বলেননি। অপব্যখ্যা করা হয়েছে।’শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।এদিকে অভিযোগ গঠনের শুনানিকে ঘিরে ইতোমধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।এর আগে গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) জুলাই গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।এছাড়া আসামিদের পক্ষে সেদিন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আলোচিত এ মামলার শুনানিটি ওইদিন বিটিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার এবং মিজানুল ইসলাম। এই তথ্য বিটিভিসহ দেশের সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।তারও আগে গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত এ আদেশ দেন।অন্যদিকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে।

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত