সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

গাজার ওপর ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস

গাজার ওপর ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস
ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের অবিরাম আগ্রাসনের ফলে হামাসের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্ব ধ্বংসের মুখে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি মদদপুষ্ট কিছু স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

বিবিসির কাছে মুখ খোলা এই হামাস কর্মকর্তা ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহেই ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হন। সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। যে কারণে, পরে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। বেশ কয়েকটি ভয়েস মেসেজে তিনি বিবিসিকে হামাসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানান।

গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের অবিরাম আগ্রাসনের ফলে হামাসের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্ব ধ্বংসের মুখে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি মদদপুষ্ট কিছু স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া ৫৭ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস নিজেদের রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মার্চে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আবারও সর্বাত্মক হামলা শুরু করলে সংগঠনটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। একেবারে শেষ। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’ তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এতই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে যে মানুষ হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনীর (আনসার) কার্যালয়ে লুটতরাজ চালিয়েছে, হামাসের কিছুই করার ছিল না। উল্লেখ্য, এই আনসার বাহিনীকেই গাজা শাসনের জন্য ব্যবহার করত হামাস।

ওই হামাস কর্মকর্তার মতে, হামাসের এমন ভেঙে পড়ার কারণে উপত্যকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন ইসরায়েলপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠী যা ইচ্ছা তাই করছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা পুরো উপত্যকায় এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করে রেখেছে। যেকোনো সময় যে কাউকে হত্যা করতে পারে। কারও বাধা দেওয়া সাহস থাকার কথা নয়। কারণ, তাদের বাধা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে বিমান হামলা করবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)'।

এসব গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে আবু শাবাব গোষ্ঠী নিয়ে। এই গোষ্ঠীর নেতা যাসের আবু শাবাবকে ইসরায়েল অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই নেতাকে হত্যার জন্য মোটা অঙ্কের পুরস্কারও ঘোষণা করেছে হামাস।

গাজার কয়েকটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, আবু শাবাব ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি যৌথ পরিষদ গঠন করে হামাসকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।

বিষয় : গাজায় হামলা নিয়ন্ত্রণ হামাস

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫


গাজার ওপর ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস

প্রকাশের তারিখ : ০৭ জুলাই ২০২৫

featured Image
গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের অবিরাম আগ্রাসনের ফলে হামাসের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্ব ধ্বংসের মুখে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি মদদপুষ্ট কিছু স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।বিবিসির কাছে মুখ খোলা এই হামাস কর্মকর্তা ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহেই ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হন। সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। যে কারণে, পরে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। বেশ কয়েকটি ভয়েস মেসেজে তিনি বিবিসিকে হামাসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানান।গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে ইসরায়েলের অবিরাম আগ্রাসনের ফলে হামাসের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্ব ধ্বংসের মুখে রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি মদদপুষ্ট কিছু স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া ৫৭ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস নিজেদের রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মার্চে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আবারও সর্বাত্মক হামলা শুরু করলে সংগঠনটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। একেবারে শেষ। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’ তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এতই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে যে মানুষ হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনীর (আনসার) কার্যালয়ে লুটতরাজ চালিয়েছে, হামাসের কিছুই করার ছিল না। উল্লেখ্য, এই আনসার বাহিনীকেই গাজা শাসনের জন্য ব্যবহার করত হামাস।ওই হামাস কর্মকর্তার মতে, হামাসের এমন ভেঙে পড়ার কারণে উপত্যকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন ইসরায়েলপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠী যা ইচ্ছা তাই করছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা পুরো উপত্যকায় এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করে রেখেছে। যেকোনো সময় যে কাউকে হত্যা করতে পারে। কারও বাধা দেওয়া সাহস থাকার কথা নয়। কারণ, তাদের বাধা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে বিমান হামলা করবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)'।এসব গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে আবু শাবাব গোষ্ঠী নিয়ে। এই গোষ্ঠীর নেতা যাসের আবু শাবাবকে ইসরায়েল অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই নেতাকে হত্যার জন্য মোটা অঙ্কের পুরস্কারও ঘোষণা করেছে হামাস।গাজার কয়েকটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, আবু শাবাব ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি যৌথ পরিষদ গঠন করে হামাসকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত