শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

বন কর্মকর্তার যোগসাজশে ৩০ হাজার আকাশমনি গাছ সাবাড় দূর্নীতির মহানায়ক রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান

বন কর্মকর্তার যোগসাজশে ৩০ হাজার আকাশমনি গাছ সাবাড় দূর্নীতির মহানায়ক রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান

কক্সবাজারের পেকুয়ায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জে টৈটং বিটের মালিকানাধীন সংরক্ষিত বনের সামাজিক বনায়ন থেকে প্রায় ৩০ হাজার গাছ কর্তন করে বিক্রি করে দিয়েছে বনদস্যুরা।

গত একমাস থেকে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ও টৈটং বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বনদস্যুরা এ গাছ কর্তন করছে বলে জানান সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীরা। 

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের সংগ্রামের জুম এর উপরে যোগীর ছাড়া, দুইছড়ি, তকতার ছড়া, নাপিতার ছড়া,ডেনার ছড়া,বদির জিরি ৮০ হেক্টর বাগানের প্রায় ৩০ হাজার গাছ কর্তন করে ফেলেছে বনদস্যুরা। নিয়মিত গাছ কর্তন অব্যাহত রয়েছে। ট্রলি গাড়ী ও কাটা পিকাপ সহ বিভিন্ন গাড়ী যোগে ওই গাছ টৈটং ডালারমুখ রাস্তা দিয়ে ও চকরিয়ার হারবাং রাস্তা দিয়ে বের করা হচ্ছে। গাছের গোড়ালি ভাগ ও উপরের অংশ নিচ্ছে না তারা। শুধু মূল্যবান অংশটুকু নিয়ে যাচ্ছে। 


 গাছের গোড়ালি দেখলে স্পর্শ বোঝা যাচ্ছে এটা কয়েক দিনের মধ্যে কাটা হয়েছে। এরা যেভাবে গাছ কর্তন করছে আগামী ১৫/২০দিনের মধ্যে এ বাগান সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যাবে। কোন বাঁধাবিপত্তি ছাড়াই গাছ কর্তন করছে বনদস্যুরা। 


২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৮০ হেক্টর জায়গায় প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার আকাশ মনি গাছের ছারা রোপণ করেছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ। এটা বানায়ন হিসাবে ২০০জনকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেওয়া হয়। এ গাছ প্রায় সাড়ে সাত বছর অক্ষত থাকলেও গত ২০/২৫ দিন থেকে বিনাবাধায় গাছ গুলো বনদস্যুরা কর্তন করছে। 


বাগানের উপকারভোগী খালেক, জুয়েল(ছদ্মনাম) বলেন, আমাদেরকে বনবিভাগ ২০১৭ সালে দিয়েছিল আমরা দেখাশুনো করেছি, প্রতিমাসে টাকা দিয়ে প্রহরী নিয়োগ করেছিলাম। ৮০ হেক্টর বানের আমরা ২০০জন অংশিদার। আমরা অফিসের মাধ্যমে জনপ্রতি ১০হাজার টাকা করে তিনজনকে ৩০হাজার টাকা দিয়ে গার্ড নিয়োগ করেছিলাম। গাছ বড় বড় হয়েছে। এতদিন এ বাগান সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল ২০-২৫দিন থেকে কিছু প্রভাবশালী বনদস্যুরা এ গাছ গুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রায় ৩০হাজারের মত গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পরবর্তীতে জানতে পারলাম তাদের যোগসাজশে গাছ কর্তন করা হচ্ছে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে কে এ বাগান রক্ষা করবে?

যদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী ১৫/২০দিনের মধ্যে বাগান সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যাবে। 

এই বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জমান বলেন, আমি এখন শুনেছি, যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যোগসাজশে বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,আমি যতদূর জানি, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান হয়েছিল।

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫


বন কর্মকর্তার যোগসাজশে ৩০ হাজার আকাশমনি গাছ সাবাড় দূর্নীতির মহানায়ক রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান

প্রকাশের তারিখ : ২৯ জুন ২০২৫

featured Image
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জে টৈটং বিটের মালিকানাধীন সংরক্ষিত বনের সামাজিক বনায়ন থেকে প্রায় ৩০ হাজার গাছ কর্তন করে বিক্রি করে দিয়েছে বনদস্যুরা।গত একমাস থেকে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ও টৈটং বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে বনদস্যুরা এ গাছ কর্তন করছে বলে জানান সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীরা। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের সংগ্রামের জুম এর উপরে যোগীর ছাড়া, দুইছড়ি, তকতার ছড়া, নাপিতার ছড়া,ডেনার ছড়া,বদির জিরি ৮০ হেক্টর বাগানের প্রায় ৩০ হাজার গাছ কর্তন করে ফেলেছে বনদস্যুরা। নিয়মিত গাছ কর্তন অব্যাহত রয়েছে। ট্রলি গাড়ী ও কাটা পিকাপ সহ বিভিন্ন গাড়ী যোগে ওই গাছ টৈটং ডালারমুখ রাস্তা দিয়ে ও চকরিয়ার হারবাং রাস্তা দিয়ে বের করা হচ্ছে। গাছের গোড়ালি ভাগ ও উপরের অংশ নিচ্ছে না তারা। শুধু মূল্যবান অংশটুকু নিয়ে যাচ্ছে।  গাছের গোড়ালি দেখলে স্পর্শ বোঝা যাচ্ছে এটা কয়েক দিনের মধ্যে কাটা হয়েছে। এরা যেভাবে গাছ কর্তন করছে আগামী ১৫/২০দিনের মধ্যে এ বাগান সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যাবে। কোন বাঁধাবিপত্তি ছাড়াই গাছ কর্তন করছে বনদস্যুরা। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ৮০ হেক্টর জায়গায় প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার আকাশ মনি গাছের ছারা রোপণ করেছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ। এটা বানায়ন হিসাবে ২০০জনকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেওয়া হয়। এ গাছ প্রায় সাড়ে সাত বছর অক্ষত থাকলেও গত ২০/২৫ দিন থেকে বিনাবাধায় গাছ গুলো বনদস্যুরা কর্তন করছে। বাগানের উপকারভোগী খালেক, জুয়েল(ছদ্মনাম) বলেন, আমাদেরকে বনবিভাগ ২০১৭ সালে দিয়েছিল আমরা দেখাশুনো করেছি, প্রতিমাসে টাকা দিয়ে প্রহরী নিয়োগ করেছিলাম। ৮০ হেক্টর বানের আমরা ২০০জন অংশিদার। আমরা অফিসের মাধ্যমে জনপ্রতি ১০হাজার টাকা করে তিনজনকে ৩০হাজার টাকা দিয়ে গার্ড নিয়োগ করেছিলাম। গাছ বড় বড় হয়েছে। এতদিন এ বাগান সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল ২০-২৫দিন থেকে কিছু প্রভাবশালী বনদস্যুরা এ গাছ গুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রায় ৩০হাজারের মত গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাকে জানিয়েছি তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পরবর্তীতে জানতে পারলাম তাদের যোগসাজশে গাছ কর্তন করা হচ্ছে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে কে এ বাগান রক্ষা করবে?যদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী ১৫/২০দিনের মধ্যে বাগান সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যাবে। এই বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জমান বলেন, আমি এখন শুনেছি, যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যোগসাজশে বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,আমি যতদূর জানি, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান হয়েছিল।

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত