মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
The Dhaka News Bangla

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে সৈকতে লাখো পর্যটক উপচেপড়া ভিড়, বাড়তি নজরদারিতে প্রশাসন

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে সৈকতে লাখো পর্যটক উপচেপড়া ভিড়, বাড়তি নজরদারিতে প্রশাসন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি ঘিরে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার যেন পরিণত হয়েছে উৎসবমুখর জনসমুদ্রে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতজুড়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সমুদ্রস্নান, সূর্যাস্ত উপভোগ, বিচ বাইক কিংবা ঘোড়ার পিঠে চড়ে আনন্দ উপভোগে মেতে উঠেছেন পর্যটকেরা।

সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকেই কক্সবাজার শহরে প্রবেশপথগুলোতে পর্যটকবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা গেছে মূল ভিড়। যেখানে প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রায় ৯৫ শতাংশ আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক আগেই কক্ষ বুক করে রেখেছিলেন, অনেকে আবার স্থানীয়ভাবে খুঁজে নিচ্ছেন থাকার ব্যবস্থা। পর্যটকের এই স্রোতে শুধু হোটেল-মোটেল নয়, জমে উঠেছে রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, পরিবহনসহ সব ধরনের ব্যবসা।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে বিশেষ নজরদারি টিম। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি গোলঘরে রয়েছে পুলিশ সদস্য, মোবাইল টিমের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরাও নজরদারিতে আছেন।

জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, পর্যটকদের কোনো ধরনের হয়রানি না হয়, সে লক্ষ্যে একাধিক মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। পর্যটকের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যই প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য।

এবার ঈদের ছুটিতে প্রায় ৫-৬ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটেছে কক্সবাজারে। এতে জেলার অর্থনীতিতে পড়েছে ইতিবাচক প্রভাব। স্থানীয় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, পরিবহনসহ সব খাতে লেনদেন বেড়েছে কয়েকগুণ। ধারণা করা হচ্ছে, কক্সবাজারে এই ঈদের ছুটিতে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হবে।

ঢাকা থেকে আসা এক পর্যটক জানান, সপরিবারে অনেক দিন ধরেই কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা ছিল। ভিড়ের কথা ভাবিনি, তবে পুরো পরিবেশ উপভোগ করছি। নিরাপত্তা আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সন্তুষ্ট। 

ঘুরতে আসা আরেক পর্যটক বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এখানে এসেছি। সৈকতের সৌন্দর্য, খাবার আর মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা হচ্ছে।

ঈদের এই বিশেষ সময়ে কক্সবাজারের সৈকতজুড়ে যে জনস্রোত দেখা যাচ্ছে, তা শুধু দেশের পর্যটনপ্রেমীদের আকর্ষণই নয়, বরং দেশের পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথাও নতুন করে সামনে এনে দিয়েছে।

বিষয় : কক্সবাজার

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫


ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে সৈকতে লাখো পর্যটক উপচেপড়া ভিড়, বাড়তি নজরদারিতে প্রশাসন

প্রকাশের তারিখ : ০৯ জুন ২০২৫

featured Image
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি ঘিরে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার যেন পরিণত হয়েছে উৎসবমুখর জনসমুদ্রে। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতজুড়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। সমুদ্রস্নান, সূর্যাস্ত উপভোগ, বিচ বাইক কিংবা ঘোড়ার পিঠে চড়ে আনন্দ উপভোগে মেতে উঠেছেন পর্যটকেরা।সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকেই কক্সবাজার শহরে প্রবেশপথগুলোতে পর্যটকবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা গেছে মূল ভিড়। যেখানে প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি।হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে এখন স্বস্তির হাসি। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রায় ৯৫ শতাংশ আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেক পর্যটক আগেই কক্ষ বুক করে রেখেছিলেন, অনেকে আবার স্থানীয়ভাবে খুঁজে নিচ্ছেন থাকার ব্যবস্থা। পর্যটকের এই স্রোতে শুধু হোটেল-মোটেল নয়, জমে উঠেছে রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, পরিবহনসহ সব ধরনের ব্যবসা।এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ট্যুরিস্ট পুলিশ, র‌্যাব ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে বিশেষ নজরদারি টিম। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি গোলঘরে রয়েছে পুলিশ সদস্য, মোবাইল টিমের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরাও নজরদারিতে আছেন।জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, পর্যটকদের কোনো ধরনের হয়রানি না হয়, সে লক্ষ্যে একাধিক মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। পর্যটকের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যই প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য।এবার ঈদের ছুটিতে প্রায় ৫-৬ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটেছে কক্সবাজারে। এতে জেলার অর্থনীতিতে পড়েছে ইতিবাচক প্রভাব। স্থানীয় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, পরিবহনসহ সব খাতে লেনদেন বেড়েছে কয়েকগুণ। ধারণা করা হচ্ছে, কক্সবাজারে এই ঈদের ছুটিতে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হবে।ঢাকা থেকে আসা এক পর্যটক জানান, সপরিবারে অনেক দিন ধরেই কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা ছিল। ভিড়ের কথা ভাবিনি, তবে পুরো পরিবেশ উপভোগ করছি। নিরাপত্তা আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সন্তুষ্ট। ঘুরতে আসা আরেক পর্যটক বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এখানে এসেছি। সৈকতের সৌন্দর্য, খাবার আর মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা হচ্ছে।ঈদের এই বিশেষ সময়ে কক্সবাজারের সৈকতজুড়ে যে জনস্রোত দেখা যাচ্ছে, তা শুধু দেশের পর্যটনপ্রেমীদের আকর্ষণই নয়, বরং দেশের পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথাও নতুন করে সামনে এনে দিয়েছে।

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত