শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

নিবন্ধন ভাইভায় এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

নিবন্ধন ভাইভায় এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
লোগো

১৮তম নিবন্ধন ভাইভায় এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যহীন ফলাফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। এনটিআরসিএ নিয়ম বহির্ভুতভাবে যেমন খুশি তেমন ভাইভা নিয়েছেন এবং সংবিধান বিরোধী সিস্টেমে ফলাফল প্রকাশ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

বৈষম্যহীন ফলাফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ১৮তম নিবন্ধনে নিয়ম বহির্ভুতভাবে সিলেবাস পরিবর্তন করছে এবং প্রশ্নও কোনো বিকল্প অপশন ছিল না। এটা ছিল এনটিআরসিএ’র লিখিত নিয়মের বাইে।

তিনি বলেন, ভাইভার ২০ নম্বরের মধ্যে একাডেমিক রেজাল্টে ১২ নম্বর। বাকি ৮ নম্বর ড্রেস কোড ৪ ও মৌখিক প্রশ্নে ৪। এই ৮ নম্বরের মধ্যে ৪০% নম্বর পেতে হবে। অথচ তারা দু-এক মিনিট বা তারও কম প্রশ্ন করেছে। অনেকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে।

নিলুফা ইয়াসমিন ববলেন, এনটিআরসিএ’র সনদ মানেই চাকরি পাওয়া নয়। যেখানে সনদ পেলেই চাকরি হবে না জাতীয় মেধা তালিকা এবং শূন্যপদের বিপরীতে চাকরি হবে সেখানে কিভাবে এতো সংখ্যক ফেল করায়? বেসরকারি ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্যও এই সনদ জরুরি। তাই অযৌক্তিকভাবে ফেল করানো কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

তিনি বলেন, গত কয়েকটা নিবন্ধনে দুই হাজারের বেশি ফেলের নজির নেই। সেখানে এতো ফেল কেনো? যেখানে হাজার হাজার শূন্যপদ রয়েছে৷ যারা রিটেন দিয়ে এতোদূর এসেছে এবং ভাইবায় সঠিক উত্তর দিয়েছে তারা কিভাবে ফেল করে?

নিবন্ধন ভাইভায় বারবার জুলুমের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছেন কে. এম. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের মেইন পয়েন্ট এটাই এনটিআরসিএ সরাসরি চাকরি দেয় না। নাম্বারের ভিত্তিতে চাকরি হয় তাহলে ভাইভাতে ফেল করানোর অধিকার তাদের নাই৷  মাত্র ৪ নাম্বারের ভিত্তিতে কিভাবে একজন প্রার্থীকে তারা অযোগ্য বলে? আমরা তো চাকরি চাচ্ছি না। সার্টিফিকেট চাচ্ছি। এরপর ভালো নাম্বার পেলে চাকরি হবে। নাম্বার কম হলে হবে না। কিন্তু এতো সংখ্যক কেনো ফেল করাবে? আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি৷  এই দেশের প্রতিটা নাগরিকের এ অধিকার রয়েছে।

আজিজুর রহমান বলেন, আমরা বারবার একটা কথাই বলতে চাই যারা লিখিত পাস করেছে তাদের সার্টিফিকেট ইস্যু না থাকলে অবশ্যই পাস দিতে হবে। সেটা সে সর্বনিম্ন কাটমার্ক পেলেও দিতে হবে। কেননা এতে চাকরি পাবার নিশ্চয়তা দেয়া হয় না। শুধুমাত্র সার্টিফিকেটই দেয়া হয়। এরপর নাম্বারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান  চয়েজ দিলেই চাকরি হয়৷ কেউ জোর করে চাকরি নেয় না।  তাহলে একটা সার্টিফিকেট দিতে এতো কাহিনী কেনো? এক্ষেত্রে কি আমরা প্রশ্ন করতে পারি না অন্যায়ভাবে আমাদের মাইনাস করে অন্যদের সুবিধে দেয়া হচ্ছে?

তিনি বলেন, ইন্টারিম সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য আওয়ামী দোসররা এ রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামে। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই বৈষম্য বন্ধ না করলে এনটিআরসিএ’র মধ্যে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসর কর্তৃপক্ষের পরিণতি হবে আওয়ামীদের মতো।

শুভ্র/

বিষয় : বাংলাদেশ

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫


নিবন্ধন ভাইভায় এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

প্রকাশের তারিখ : ০৮ জুন ২০২৫

featured Image
১৮তম নিবন্ধন ভাইভায় এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যহীন ফলাফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। এনটিআরসিএ নিয়ম বহির্ভুতভাবে যেমন খুশি তেমন ভাইভা নিয়েছেন এবং সংবিধান বিরোধী সিস্টেমে ফলাফল প্রকাশ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।বৈষম্যহীন ফলাফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ১৮তম নিবন্ধনে নিয়ম বহির্ভুতভাবে সিলেবাস পরিবর্তন করছে এবং প্রশ্নও কোনো বিকল্প অপশন ছিল না। এটা ছিল এনটিআরসিএ’র লিখিত নিয়মের বাইে।তিনি বলেন, ভাইভার ২০ নম্বরের মধ্যে একাডেমিক রেজাল্টে ১২ নম্বর। বাকি ৮ নম্বর ড্রেস কোড ৪ ও মৌখিক প্রশ্নে ৪। এই ৮ নম্বরের মধ্যে ৪০% নম্বর পেতে হবে। অথচ তারা দু-এক মিনিট বা তারও কম প্রশ্ন করেছে। অনেকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে।নিলুফা ইয়াসমিন ববলেন, এনটিআরসিএ’র সনদ মানেই চাকরি পাওয়া নয়। যেখানে সনদ পেলেই চাকরি হবে না জাতীয় মেধা তালিকা এবং শূন্যপদের বিপরীতে চাকরি হবে সেখানে কিভাবে এতো সংখ্যক ফেল করায়? বেসরকারি ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্যও এই সনদ জরুরি। তাই অযৌক্তিকভাবে ফেল করানো কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।তিনি বলেন, গত কয়েকটা নিবন্ধনে দুই হাজারের বেশি ফেলের নজির নেই। সেখানে এতো ফেল কেনো? যেখানে হাজার হাজার শূন্যপদ রয়েছে৷ যারা রিটেন দিয়ে এতোদূর এসেছে এবং ভাইবায় সঠিক উত্তর দিয়েছে তারা কিভাবে ফেল করে?নিবন্ধন ভাইভায় বারবার জুলুমের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছেন কে. এম. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের মেইন পয়েন্ট এটাই এনটিআরসিএ সরাসরি চাকরি দেয় না। নাম্বারের ভিত্তিতে চাকরি হয় তাহলে ভাইভাতে ফেল করানোর অধিকার তাদের নাই৷  মাত্র ৪ নাম্বারের ভিত্তিতে কিভাবে একজন প্রার্থীকে তারা অযোগ্য বলে? আমরা তো চাকরি চাচ্ছি না। সার্টিফিকেট চাচ্ছি। এরপর ভালো নাম্বার পেলে চাকরি হবে। নাম্বার কম হলে হবে না। কিন্তু এতো সংখ্যক কেনো ফেল করাবে? আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি৷  এই দেশের প্রতিটা নাগরিকের এ অধিকার রয়েছে।আজিজুর রহমান বলেন, আমরা বারবার একটা কথাই বলতে চাই যারা লিখিত পাস করেছে তাদের সার্টিফিকেট ইস্যু না থাকলে অবশ্যই পাস দিতে হবে। সেটা সে সর্বনিম্ন কাটমার্ক পেলেও দিতে হবে। কেননা এতে চাকরি পাবার নিশ্চয়তা দেয়া হয় না। শুধুমাত্র সার্টিফিকেটই দেয়া হয়। এরপর নাম্বারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান  চয়েজ দিলেই চাকরি হয়৷ কেউ জোর করে চাকরি নেয় না।  তাহলে একটা সার্টিফিকেট দিতে এতো কাহিনী কেনো? এক্ষেত্রে কি আমরা প্রশ্ন করতে পারি না অন্যায়ভাবে আমাদের মাইনাস করে অন্যদের সুবিধে দেয়া হচ্ছে?তিনি বলেন, ইন্টারিম সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য আওয়ামী দোসররা এ রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামে। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই বৈষম্য বন্ধ না করলে এনটিআরসিএ’র মধ্যে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসর কর্তৃপক্ষের পরিণতি হবে আওয়ামীদের মতো।শুভ্র/

The Dhaka News Bangla


কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত