নোয়াখালীর হাতিয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ও জাতীয়তাবাদী যুবদল। সংগঠনবিরোধী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পৃথক দুই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুই নেতাকে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।প্রথম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল নোয়াখালী জেলাধীন হাতিয়া উত্তর সাংগঠনিক থানা শাখার আহ্বায়ক মোঃ হুমায়ূন কবির-কে দলীয় শৃঙ্খলা ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল-এর যৌথ নির্দেশে কার্যকর করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি প্রেরণ করেন কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের দফতর সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম।দ্বিতীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাতিয়া উপজেলার ১নং হরণী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ সোহেল উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে পেশী শক্তি প্রদর্শন, জনমনে ভীতি সৃষ্টি এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ যুবদলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত হাতিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ইসমাইল হোসেন ইলিয়াছ ও সদস্য সচিব মোঃ ফাহিম উদ্দিন কর্তৃক ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। দলীয়ভাবে আরও জানানো হয়, বহিষ্কৃত ব্যক্তির কোনো কর্মকাণ্ডের দায় দল বহন করবে না এবং সকল নেতাকর্মীদেরকে তার সঙ্গে সাংগঠনিক কোনো যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।দুই নেতার বিরুদ্ধে নেওয়া এই সিদ্ধান্তগুলো স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতিমালার বাইরে গিয়ে কেউ দায়িত্ব পালন করলে, তার বিরুদ্ধেও একই রকম কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।গত বুধবার (৪ জুন) দুপুরে হাতিয়া হরনী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জেলেদের চাল বিতরণ কালে নিজেদের পছন্দের লোককে সিলিপ না দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে পেটানোর অভিযোগ উঠে স্থানীয় কৃষকদল ও যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রনে আনে।পরে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিদের্শে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। প্রতিদিনের কাগজে "হাতিয়ায় ইউপি সচিবকে পেটালেন কৃষকদল ও যুবদল নেতা" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠে।