বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
The Dhaka News Bangla

হাতিয়ায় বৈরী আবহাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পাশে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল

হাতিয়ায় বৈরী আবহাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পাশে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল
হাতিয়ায় বৈরী আবহাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পাশে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল

নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৩০ মে শুক্রবার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অনার্স ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তীব্র বাতাস ও আবহাওয়ার অবনতির কারণে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি ছিল, ফলে নৌকা, সি-ট্রাক ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে উপজেলা প্রশাসন ও হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল চালু রাখা হয়। এতে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং পরীক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করেন।

চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাট পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘাটে থেকে সার্বিক সহায়তা করেন। এ সময় তারা যাত্রীদের ওঠানামায় সহায়তা করেন এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করেন।

এদিকে, হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরেফিন আলী ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে হাতিয়া উপজেলা প্রশাসন, হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব, লঞ্চ ও ঘাট কর্তৃপক্ষ, হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল, হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ ছাত্রদল, হাতিয়া পৌরসভা ছাত্রদল, নলচিরা ইউনিয়ন ছাত্রদল, রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রেস মিডিয়া ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

বৈরী আবহাওয়া এবং নৌযান চলাচলের অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেক পরীক্ষার্থীই দুশ্চিন্তায় ছিল। তবে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের এই সহযোগিতা তাদের জন্য ছিল এক শান্তির আশ্রয়।

শাখাওয়াত হোসেন নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, আমি ভেবেছিলাম হয়তো নদী পার হতে পারবো না। কিন্তু লঞ্চ চলাচল চালু রাখার উদ্যোগ এবং ঘাটে ছাত্রদল ভাইয়েরা যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে আমি সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবো। 

আরেক যাত্রী বলেন, আমি দুই দিন যাবত চেয়ারম্যান ঘাটে আটকা পড়েছিলাম—নৌকা, সি-ট্রাক, স্পিডবোট সবই বন্ধ ছিল। হঠাৎ শুনতে পাই বে-কুজার লঞ্চটি চলাচল করবে। এরপর আমি লঞ্চে উঠে পড়ি এবং নিরাপদে হাতিয়ায় আসতে পেরেছি। যারা লঞ্চটি চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন, তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরেফিন আলী বলেন, হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সকল পরীক্ষার্থী ভাই-বোনদের জন্য রইল শুভ কামনা এবং ভবিষ্যতেও এমন জনকল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। 

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫


হাতিয়ায় বৈরী আবহাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পাশে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল

প্রকাশের তারিখ : ৩১ মে ২০২৫

featured Image
নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৩০ মে শুক্রবার বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অনার্স ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।তীব্র বাতাস ও আবহাওয়ার অবনতির কারণে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি ছিল, ফলে নৌকা, সি-ট্রাক ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে উপজেলা প্রশাসন ও হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল চালু রাখা হয়। এতে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং পরীক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করেন।চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাট পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘাটে থেকে সার্বিক সহায়তা করেন। এ সময় তারা যাত্রীদের ওঠানামায় সহায়তা করেন এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করেন।এদিকে, হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরেফিন আলী ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে হাতিয়া উপজেলা প্রশাসন, হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব, লঞ্চ ও ঘাট কর্তৃপক্ষ, হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদল, হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজ ছাত্রদল, হাতিয়া পৌরসভা ছাত্রদল, নলচিরা ইউনিয়ন ছাত্রদল, রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রেস মিডিয়া ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।বৈরী আবহাওয়া এবং নৌযান চলাচলের অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেক পরীক্ষার্থীই দুশ্চিন্তায় ছিল। তবে হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের এই সহযোগিতা তাদের জন্য ছিল এক শান্তির আশ্রয়।শাখাওয়াত হোসেন নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, আমি ভেবেছিলাম হয়তো নদী পার হতে পারবো না। কিন্তু লঞ্চ চলাচল চালু রাখার উদ্যোগ এবং ঘাটে ছাত্রদল ভাইয়েরা যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে আমি সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবো। আরেক যাত্রী বলেন, আমি দুই দিন যাবত চেয়ারম্যান ঘাটে আটকা পড়েছিলাম—নৌকা, সি-ট্রাক, স্পিডবোট সবই বন্ধ ছিল। হঠাৎ শুনতে পাই বে-কুজার লঞ্চটি চলাচল করবে। এরপর আমি লঞ্চে উঠে পড়ি এবং নিরাপদে হাতিয়ায় আসতে পেরেছি। যারা লঞ্চটি চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন, তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরেফিন আলী বলেন, হাতিয়া উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সকল পরীক্ষার্থী ভাই-বোনদের জন্য রইল শুভ কামনা এবং ভবিষ্যতেও এমন জনকল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। 

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত