শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
The Dhaka News Bangla

লঘুচাপের প্রভাব: খুন হওয়া নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পুলিশ

লঘুচাপের প্রভাব: খুন হওয়া নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পুলিশ
লঘুচাপের প্রভাব: খুন হওয়া নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পুলিশ

নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে আমেনা বেগম (৫০) নামে খুন হওয়া এক নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলের দিকে হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা এ কথা জানান। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার ২৮ মে রাতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামের এমরান উদ্দিনের বাড়িতে আমেনা বেগম  (৫০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয় কে বা কাহারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে একই দিন দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখে।  

ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা ছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় দিনের মত হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে লাশ থানায় কফিন করে বরফ দিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে করে লাশ পচে না যায়।  

নিহত আমেনা বেগম উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের মো.এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি ৪ মেয়ে এবং দুই ছেলের জনক ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার ৪ মেয়ে,দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী নামাজ পড়ছে।  এরপর তিনি বাজারে চলে যান। এরপর স্ত্রী ঘরে একাই ছিলেন।

বাবলু আরো জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই।  ঘরের মাঝের কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমিসহ স্থানীয় কয়েকজনকে মুঠোফোনে জানান। এরপর তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দেখতে পাই আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কাহারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বসত ঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেয়।  

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, নিহতের স্বজনেরা থানায় রয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। নৌ-চলাচল চালু হলে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

বিষয় : হত্যা

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

শনিবার, ২১ জুন ২০২৫


লঘুচাপের প্রভাব: খুন হওয়া নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পুলিশ

প্রকাশের তারিখ : ২৯ মে ২০২৫

featured Image
নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে আমেনা বেগম (৫০) নামে খুন হওয়া এক নারীর লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলের দিকে হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা এ কথা জানান। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার ২৮ মে রাতে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতফুল গ্রামের এমরান উদ্দিনের বাড়িতে আমেনা বেগম  (৫০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয় কে বা কাহারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে একই দিন দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখে।  ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর কথা ছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় দিনের মত হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে লাশ থানায় কফিন করে বরফ দিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে করে লাশ পচে না যায়।  নিহত আমেনা বেগম উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামের মো.এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি ৪ মেয়ে এবং দুই ছেলের জনক ছিলেন।স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার ৪ মেয়ে,দুই ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে লেখাপড়া করছে। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজন বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রী নামাজ পড়ছে।  এরপর তিনি বাজারে চলে যান। এরপর স্ত্রী ঘরে একাই ছিলেন।বাবলু আরো জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা, ঘরে স্ত্রী নেই।  ঘরের মাঝের কক্ষে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমিসহ স্থানীয় কয়েকজনকে মুঠোফোনে জানান। এরপর তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দেখতে পাই আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরে ভাসছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কাহারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বসত ঘরের পাশে পুকুরে ফেলে দেয়।  হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, নিহতের স্বজনেরা থানায় রয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। নৌ-চলাচল চালু হলে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত