চারদিনের সফরে জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। (২৮মে) রাত ২টা ১০ মিনিটে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এই সফরে টোকিওতে অনুষ্ঠিত নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া, দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফরে বাংলাদেশের ১ লক্ষ দক্ষ জনশক্তিকে জাপানে পাঠানোর পাশাপাশি মাতাড়বাড়ি-মহেশখালীর প্রকল্পসহ দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা জাপানি প্রতিষ্ঠান জাইকার সাথে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। ঢাকা-টোকিও সম্পর্কের অমীমাংসিত সব ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে, তবে সামরিক খাত সেখানে অগ্রাধিকারে থাকবে না।জাপানের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুর বিষয়ে আলোচনা হবে, যা এয়ারক্রাফট সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টা জাপানের কাছে এক বিলিয়ন ডলার স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তার প্রস্তাব দেবেন। গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কের জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেন। এরপর নভেম্বরে আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলন এবং ডিসেম্বরে মিসরে ডি-৮ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এই বছরের জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। মার্চ মাসে তিনি চীন সফর করেন ড. ইউনূস। এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস থাইল্যান্ড, কাতার এবং সর্বশেষ ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন।