জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী নজরুল জয়ন্তী উৎসব।রোববার (২৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে আয়োজিত নজরুল জয়ন্তী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “কোলকাতায় যেমন বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন রয়েছে, তেমনি আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে চাই নজরুল নিকেতন হিসেবে। নজরুলের জীবনদর্শন, সাহিত্য ও সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করে একটি অনন্য গবেষণা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখতে চাই।”তিনি আরও বলেন, “ত্রিশাল শুধু ভৌগোলিক নয়, নজরুলের স্মৃতিতে ঋদ্ধ একটি আবেগঘন নাম। এই অঞ্চলের প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে আছে তাঁর পদচিহ্ন, যা আমাদের জন্য এক গৌরবের বিষয়। সেই উত্তরাধিকারকে সম্মান জানিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই ভবিষ্যতের দিকে।”উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। তিনি নজরুলের সাহিত্যকীর্তি ও আদর্শের প্রশংসা করে বলেন, “নজরুল ছিলেন একটি বহুমাত্রিক সত্তা—দ্রোহ, প্রেম, সাম্য ও মানবতার কবি। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে আমাদের তরুণ প্রজন্ম একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে।”এছাড়া তিনি উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রচেষ্টা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়েও বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. জেহাদ উদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-প্রশাসকবৃন্দ।উৎসবের অংশ হিসেবে আলোচনা সভা, বইমেলা, আন্তর্জাতিক নজরুল বক্তৃতামালা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন প্রবন্ধ উপস্থাপনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষক ও গবেষকেরা।