শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
The Dhaka News Bangla

হাতিয়ায় দলবদলকারী নিশানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের কাছে অভিযোগ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

হাতিয়ায় দলবদলকারী নিশানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের কাছে অভিযোগ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
হাতিয়ায় দলবদলকারী নিশানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের কাছে অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

হাতিয়া উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল মজিদ নিশান। তিনি হাতিয়া উপজেলাতে আওয়ামীলীগ পন্থী বিএনপির নেতা হিসাবে বেশ পরিচিত। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর নিজেকে বিএনপির বড় নেতা দাবি করে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি, জমি দখল, সহ প্রায় ১০০০ একর জমিনের ধান লুটে নেওয়া, মামলা বানিজ্য, নদী থেকে বালু উত্তোলন, ইত্যাদি ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। 

তিনি স্বৈরাচারী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর হাত ধরে ২০০০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসেন। ২০০১সালের সংসদ নির্বাচনে স্বৈরাচারী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনের পর নিশানের নেতৃত্বে জলদস্যু ও বনদস্যু দিয়ে পুরো ইউনিয়নে চলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া এবং ব্যাপক তাণ্ডব। নির্বাচনের দিন থেকে বিএনপি সরকার শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত বহু বিএনপি'র নেতাকর্মীর উপর নিশানের নেতৃত্বে চলে ব্যাপক হামলা লুট করা হয় বহু দোকান ও ঘরবাড়ী। নিশান ২০০৩ সালের ২৯শে ডিসেম্বর বিএনপিতে যোগদান করেন। ১/১১ র পর তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগে চলে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর নৌকা মার্কা নির্বাচন করেন ঋণ খেলাপির কারণে মোহাম্মদ আলীর প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা আলীর কলস মার্কা স্বতন্ত্র ভোট করেন।

 ০৮ মে ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটি এম সিরাজ উদ্দিনের ছাতা মার্কা নির্বাচন করেন। ২০১২ সালে স্বৈরাচারী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর হাতে তৈরি করা জেলে নিরাপত্তা কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন নিশান ঐ কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন হাতিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিনাজ উদ্দিন এই কমিটির মাধ্যমে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করেন।

 একই সাথে নোয়াখালী জেলা বিএনপিকে ম্যানেজ করে চলেন এবং স্বৈরাচারী সাবেক এমপির সহযোগিতায় নিশান কে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক করা হয় । ২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেন। কিন্তু তিনি উপজেলা বিএনপি'র প্রচার সম্পাদক থাকা অবস্থায় ঐ নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা আলীর নৌকা মার্কা নির্বাচন করেন এবং বিজয় উল্লাস করে জাহাজ মারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারির অ্যাডভোকেট মাসুম বিল্লার অফিসে মিষ্টি বিতরণ করেন।

২০১৫ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি'র ধানের শীষ প্রার্থী আলাউদ্দিনের  নির্বাচন না করে তিনি মনপুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (তার বড় বোন) সেলিনা চৌধুরীর নির্বাচন করেন এবং নিশানের নেতৃত্বে মনপুরা বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ঐ হামলায় মনপুরা উপজেলা যুবদলের তৎকালীন সভাপতি রাজিব চৌধুরী সহ বেশকিছু নেতা কর্মী আহত হয়। নির্বাচনের দুইদিন আগে হাতিয়ায় এসে নিশানের ইন্দনে জাহাজমারা বাজারে  হাতিয়া উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিনের  উপরে আওয়ামীলীগের ব্যাপক হামলা হয়। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে একই অবস্থায় বিএনপি'র কিছু নেতাদের সাথে সম্পর্ক রেখে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার কাজ করেছেন এরকম হাজারো অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের। 

২০০৮ সালে স্বৈরাচারী হাসিনা ক্ষমতা আসার পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি আওয়ামীলীগপন্থী বিএনপি'র নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। বির্তকৃত নেতা নিশান জীবনে কখনও ধানের শীষে ভোট দেয়নি অভিযোগ তৃণমূলের নেতাদের । আওয়ামীলীগের বহু প্রোগ্রামে তার উপস্থিতি ছিল নজরে পরার মত। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রথমে আওয়ামীলীগ থেকে নমিনেশন চান। কিন্তু আওমীলীগের সাবেক এমপি'র পরামর্শে  একটি কৌশল অবলম্বন করে কিছু নেতাদের   ম্যানেজ করে ধানের শীষের নমিনেশন নেন। ভোটের কিছু দিন আগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপির সাথে আপোসে চলে যান। তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের চেয়েও বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন স্বৈরাচারী সাবেক এমপির মোহাম্মদ আলীর  কাছ থেকে। 

নিশান তার মাছের ব্যবসা চালানোর জন্য বহুবার দুই-তিন লক্ষ টাকা করে আওয়ামীলীগের এমপি থেকে নিয়েছেন এমনকি ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আওয়ামীলীগের এমপি মোহাম্মদ আলীর মাছের আড়ৎ থেকে ২০ লাখ টাকা দাদন দিয়েছে বিএনপির এই নেতা নিশান কে। 

নিশানের ডুপ্লেস বাড়ি করার সময় আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও ৫০,০০০ ইট দেন। ২০২২ বা ২০২৩ এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও কিছু পত্র পত্রিকার নিউজের ভিত্তিতে অভিযুক্ত লুৎফুল্লা হিল মজিদ নিশানকে জেলা বিএনপির দপ্তর থেকে কারণ দর্শনের নোটিশ করা হয় কিন্তু আওয়ামীলীগের সাবেক এমপির প্রভাব বিস্তার করে শোকজটি জানাজানির আগেই জেলা থেকে গায়েব করে ফেলে। জেলা বিএনপি থেকে শোকজ করার পরেও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপির সাথে আতাত করে সংগঠন বিরোধী কার্যক্রলাপ চালিয়ে যায় নিশান।

জানা যায়- বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নিকট একটি আবেদন পাঠানো হয়। যা ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সালে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তিন মাস পার হয়ে গেলে ও কোনো আপডেট দেয়নি কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান- বিএনপির নেতা নিশান বিগত সরকারের আমলে আ.লীগের সাথে আঁতাত করে ব্যবসা বানিজ্য সহ দখল কার্যক্রম চালিয়েছিলো ঠিক ৫ আগস্টের পর ও আগের তুলনায় ব্যাপক হারে এলাকায় সন্ত্রাসী দখল বাজি কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই বিষয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের কে হামলা মামলার ভয় দেখায় যার কারণে কেউই ভয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। অন্য দিকে এইসব অনিয়ম সন্ত্রাসী দখলবাজির বিষয়ে বিএনপি কেন্দ্র পর্যন্ত জানালে ও প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত  বিএনপির নেতা নিশানের সাথে একাধিক গণমাধ্যম কর্মী যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য না দিয়ে উল্টো তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন।

এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি - এ কে এম ফজলুল হক খোকন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান “ যে কোন অপরাধের বিষয়ে দল থেকে জিরো টলারেন্স দিয়েছেন। আমিও তাই বলবো, কোন অপকর্ম কারী বিএনপি দলে থাকতে পারবে না। আপনি যে বিষয় টা বললেন যদি তার অভিযোগটা প্রমানিত হয় তবে অবশ্যই দল তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান জানান- অপকর্মে লিপ্ত কেউ বিএনপির নেতাকর্মী হতে পারে না, সুসময়ের কাউকে প্রয়োজন নেই দুঃসময় যারা দলের সাথে ছিলো এবং কোন অপকর্মে লিপ্ত নেই তারাই বিএনপিতে জায়গা পাবে। আপনি যেই বিষয়ে বললেন আমরা দল থেকে সঠিক তদন্ত করবো এবং তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো রয়েছে তা প্রমাণিত হলে দল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন বলেন- আমাদের নেতা তারেক রহমান এর নির্দেশ “অপকর্ম যারা করবে, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। অপকর্মকারীদের জাতীয়তাবাদ দল বিএনপিতে জায়গা নেই।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, যদি এমন কোন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে থাকে তাহলে দল তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। 

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫


হাতিয়ায় দলবদলকারী নিশানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের কাছে অভিযোগ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

প্রকাশের তারিখ : ০৮ মে ২০২৫

featured Image
হাতিয়া উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুল্লাহিল মজিদ নিশান। তিনি হাতিয়া উপজেলাতে আওয়ামীলীগ পন্থী বিএনপির নেতা হিসাবে বেশ পরিচিত। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর নিজেকে বিএনপির বড় নেতা দাবি করে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি, জমি দখল, সহ প্রায় ১০০০ একর জমিনের ধান লুটে নেওয়া, মামলা বানিজ্য, নদী থেকে বালু উত্তোলন, ইত্যাদি ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি স্বৈরাচারী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর হাত ধরে ২০০০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসেন। ২০০১সালের সংসদ নির্বাচনে স্বৈরাচারী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনের পর নিশানের নেতৃত্বে জলদস্যু ও বনদস্যু দিয়ে পুরো ইউনিয়নে চলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া এবং ব্যাপক তাণ্ডব। নির্বাচনের দিন থেকে বিএনপি সরকার শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত বহু বিএনপি'র নেতাকর্মীর উপর নিশানের নেতৃত্বে চলে ব্যাপক হামলা লুট করা হয় বহু দোকান ও ঘরবাড়ী। নিশান ২০০৩ সালের ২৯শে ডিসেম্বর বিএনপিতে যোগদান করেন। ১/১১ র পর তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগে চলে যান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর নৌকা মার্কা নির্বাচন করেন ঋণ খেলাপির কারণে মোহাম্মদ আলীর প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা আলীর কলস মার্কা স্বতন্ত্র ভোট করেন। ০৮ মে ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটি এম সিরাজ উদ্দিনের ছাতা মার্কা নির্বাচন করেন। ২০১২ সালে স্বৈরাচারী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর হাতে তৈরি করা জেলে নিরাপত্তা কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন নিশান ঐ কমিটির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন হাতিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিনাজ উদ্দিন এই কমিটির মাধ্যমে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করেন। একই সাথে নোয়াখালী জেলা বিএনপিকে ম্যানেজ করে চলেন এবং স্বৈরাচারী সাবেক এমপির সহযোগিতায় নিশান কে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক করা হয় । ২০১৪ সালে বিএনপি ভোট বর্জন করেন। কিন্তু তিনি উপজেলা বিএনপি'র প্রচার সম্পাদক থাকা অবস্থায় ঐ নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা আলীর নৌকা মার্কা নির্বাচন করেন এবং বিজয় উল্লাস করে জাহাজ মারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারির অ্যাডভোকেট মাসুম বিল্লার অফিসে মিষ্টি বিতরণ করেন।২০১৫ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি'র ধানের শীষ প্রার্থী আলাউদ্দিনের  নির্বাচন না করে তিনি মনপুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (তার বড় বোন) সেলিনা চৌধুরীর নির্বাচন করেন এবং নিশানের নেতৃত্বে মনপুরা বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ঐ হামলায় মনপুরা উপজেলা যুবদলের তৎকালীন সভাপতি রাজিব চৌধুরী সহ বেশকিছু নেতা কর্মী আহত হয়। নির্বাচনের দুইদিন আগে হাতিয়ায় এসে নিশানের ইন্দনে জাহাজমারা বাজারে  হাতিয়া উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিনের  উপরে আওয়ামীলীগের ব্যাপক হামলা হয়। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে একই অবস্থায় বিএনপি'র কিছু নেতাদের সাথে সম্পর্ক রেখে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার কাজ করেছেন এরকম হাজারো অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের। ২০০৮ সালে স্বৈরাচারী হাসিনা ক্ষমতা আসার পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনি আওয়ামীলীগপন্থী বিএনপি'র নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। বির্তকৃত নেতা নিশান জীবনে কখনও ধানের শীষে ভোট দেয়নি অভিযোগ তৃণমূলের নেতাদের । আওয়ামীলীগের বহু প্রোগ্রামে তার উপস্থিতি ছিল নজরে পরার মত। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রথমে আওয়ামীলীগ থেকে নমিনেশন চান। কিন্তু আওমীলীগের সাবেক এমপি'র পরামর্শে  একটি কৌশল অবলম্বন করে কিছু নেতাদের   ম্যানেজ করে ধানের শীষের নমিনেশন নেন। ভোটের কিছু দিন আগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপির সাথে আপোসে চলে যান। তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের চেয়েও বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন স্বৈরাচারী সাবেক এমপির মোহাম্মদ আলীর  কাছ থেকে। নিশান তার মাছের ব্যবসা চালানোর জন্য বহুবার দুই-তিন লক্ষ টাকা করে আওয়ামীলীগের এমপি থেকে নিয়েছেন এমনকি ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আওয়ামীলীগের এমপি মোহাম্মদ আলীর মাছের আড়ৎ থেকে ২০ লাখ টাকা দাদন দিয়েছে বিএনপির এই নেতা নিশান কে। নিশানের ডুপ্লেস বাড়ি করার সময় আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও ৫০,০০০ ইট দেন। ২০২২ বা ২০২৩ এ দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও কিছু পত্র পত্রিকার নিউজের ভিত্তিতে অভিযুক্ত লুৎফুল্লা হিল মজিদ নিশানকে জেলা বিএনপির দপ্তর থেকে কারণ দর্শনের নোটিশ করা হয় কিন্তু আওয়ামীলীগের সাবেক এমপির প্রভাব বিস্তার করে শোকজটি জানাজানির আগেই জেলা থেকে গায়েব করে ফেলে। জেলা বিএনপি থেকে শোকজ করার পরেও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপির সাথে আতাত করে সংগঠন বিরোধী কার্যক্রলাপ চালিয়ে যায় নিশান।জানা যায়- বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নিকট একটি আবেদন পাঠানো হয়। যা ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সালে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তিন মাস পার হয়ে গেলে ও কোনো আপডেট দেয়নি কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান- বিএনপির নেতা নিশান বিগত সরকারের আমলে আ.লীগের সাথে আঁতাত করে ব্যবসা বানিজ্য সহ দখল কার্যক্রম চালিয়েছিলো ঠিক ৫ আগস্টের পর ও আগের তুলনায় ব্যাপক হারে এলাকায় সন্ত্রাসী দখল বাজি কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই বিষয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের কে হামলা মামলার ভয় দেখায় যার কারণে কেউই ভয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। অন্য দিকে এইসব অনিয়ম সন্ত্রাসী দখলবাজির বিষয়ে বিএনপি কেন্দ্র পর্যন্ত জানালে ও প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।এই বিষয়ে অভিযুক্ত  বিএনপির নেতা নিশানের সাথে একাধিক গণমাধ্যম কর্মী যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য না দিয়ে উল্টো তার সাথে দেখা করার প্রস্তাব দেন।এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি - এ কে এম ফজলুল হক খোকন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান “ যে কোন অপরাধের বিষয়ে দল থেকে জিরো টলারেন্স দিয়েছেন। আমিও তাই বলবো, কোন অপকর্ম কারী বিএনপি দলে থাকতে পারবে না। আপনি যে বিষয় টা বললেন যদি তার অভিযোগটা প্রমানিত হয় তবে অবশ্যই দল তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে এতে কোন সন্দেহ নেই।নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান জানান- অপকর্মে লিপ্ত কেউ বিএনপির নেতাকর্মী হতে পারে না, সুসময়ের কাউকে প্রয়োজন নেই দুঃসময় যারা দলের সাথে ছিলো এবং কোন অপকর্মে লিপ্ত নেই তারাই বিএনপিতে জায়গা পাবে। আপনি যেই বিষয়ে বললেন আমরা দল থেকে সঠিক তদন্ত করবো এবং তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো রয়েছে তা প্রমাণিত হলে দল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন বলেন- আমাদের নেতা তারেক রহমান এর নির্দেশ “অপকর্ম যারা করবে, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। অপকর্মকারীদের জাতীয়তাবাদ দল বিএনপিতে জায়গা নেই।বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, যদি এমন কোন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে থাকে তাহলে দল তার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। 

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত