পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক’।ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা খবরটি শুনলাম, ঠিক ওভাল অফিসে ঢোকার সময়।” তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি চাই এটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হোক।  তার এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বন্দ্ব মার্কিন নেতৃত্বের দৃষ্টি এড়াচ্ছে না এবং তারা পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। এই ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নতুন এক মোড় নিয়েছে, যা গোটা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ভারত সরকার পূর্বে দাবি করেছে যে, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে পাকিস্তানি জঙ্গিদের হাতে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার পর তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সুনির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। তবে ভারতের মতে, হামলাগুলো ছিল ‘সুনির্দিষ্ট’, ‘মাপা’ এবং ‘উস্কানিমূলক নয়’। তারা জানিয়েছে যে, কোনো সামরিক স্থাপনার ওপর আঘাত হানা হয়নি। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, ভারতের হামলায় কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাঘ ও মুজাফফরাবাদে বেসামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে এবং ১২ জন আহত হয়েছে।তিনি আরও দাবি করেন, একটি পরিবার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তান দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। কাশ্মীর সীমান্তে গোলাবিনিময় চলছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ ও যুদ্ধবিমান চলাচলের কারণে আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই নতুন অধ্যায় শুধু অঞ্চল নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি তৈরি করতে পারে। তাই বিশ্ব নেতাদের কূটনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করার সময় এখনই।