শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
The Dhaka News Bangla

বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী ফাতেমাকে নিয়ে গর্বিত এলাকাবাসী

বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী ফাতেমাকে নিয়ে গর্বিত এলাকাবাসী
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফাতেমা

স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চিন্তায় কাজের সন্ধানে ঢাকায় এসে এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে গৃহ পরিচারিকার কাজ পান। এরপর থেকে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত কাজে সহায়তা করতে করতে ফাতেমা বেগম (৪০) তার একজন বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে ওঠেন।


২০১৮ সালে স্বেচ্ছায় বেগম জিয়ার সঙ্গে কারাগারে ছিলেন তিনি। একজন কারাবন্দীর সঙ্গে গৃহপরিচারিকার কারাগারে থাকার বিষয়টি তখন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিলেও, তিনি সেখানে ছিলেন। বেগম জিয়া অসুস্থ হলে, তিনি হাসপাতালে তার সঙ্গেও ছিলেন। এর আগে, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনের সময় বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশাল কার্যালয়ের সামনে আটকে রাখা হয়েছিল। তখনও পতাকা হাতে বেগম জিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ফাতেমাকে। সম্প্রতি, বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছেন, এবং সেখানেও তার সফরসঙ্গী হিসেবে ফাতেমা তার সঙ্গে গেছেন।  ভোলার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৪০) একজন গৃহপরিচারিকা হিসেবে ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তার দুই সন্তানসহ স্থানীয়রা তার প্রতি গর্ববোধ করেন।




ফাতেমা বেগম ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন শাহ-মাদার গ্রামের রফিজল হক ও মালেকা বেগমের বড় মেয়ে। তার দুই সন্তান, জাকিয়া ইসলাম রিয়া (১৯) ও মো. রিফাত (১৬), নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। ফাতেমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের শেষের দিকে তার বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের গুড়া মিয়া গ্রামের মো. হারুন লাহাড়ির সঙ্গে, যিনি একজন কৃষক ছিলেন। তারা মেঘনা নদীর তীরে চাষাবাদ করে সংসার চালাতেন। তাদের সংসার ভালোই চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে হারুন নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভাবের সংসারে স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারেননি। পরে ২০০৮ সালের শুরুতে ছেলে রিফাতকে ২ বছর বয়সী রেখে মৃত্যুবরণ করেন ফাতেমার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর ছোট ছোটো দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দুঃখের সাগরে পড়েন ফাতেমা। একদিকে তাদের ভরণপোষণ অন্যদিকে তাদের ভবিষ্যতের চিন্তা। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ২০০৯ সালে কাজের খোঁজে ঢাকায় যান ফাতেমা। একই বছর এক আত্মীর মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবনে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন ফাতেমা। তিনি বেগম জিয়ার সার্বক্ষণিক দেখাশোনাসহ সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বেগম জিয়াকে স্মরণ করিয়ে দেন।

বিষয় : বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫


বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী ফাতেমাকে নিয়ে গর্বিত এলাকাবাসী

প্রকাশের তারিখ : ০৬ মে ২০২৫

featured Image
স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার চিন্তায় কাজের সন্ধানে ঢাকায় এসে এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে গৃহ পরিচারিকার কাজ পান। এরপর থেকে বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত কাজে সহায়তা করতে করতে ফাতেমা বেগম (৪০) তার একজন বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে ওঠেন।২০১৮ সালে স্বেচ্ছায় বেগম জিয়ার সঙ্গে কারাগারে ছিলেন তিনি। একজন কারাবন্দীর সঙ্গে গৃহপরিচারিকার কারাগারে থাকার বিষয়টি তখন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিলেও, তিনি সেখানে ছিলেন। বেগম জিয়া অসুস্থ হলে, তিনি হাসপাতালে তার সঙ্গেও ছিলেন। এর আগে, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনের সময় বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশাল কার্যালয়ের সামনে আটকে রাখা হয়েছিল। তখনও পতাকা হাতে বেগম জিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ফাতেমাকে। সম্প্রতি, বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছেন, এবং সেখানেও তার সফরসঙ্গী হিসেবে ফাতেমা তার সঙ্গে গেছেন।  ভোলার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৪০) একজন গৃহপরিচারিকা হিসেবে ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তার দুই সন্তানসহ স্থানীয়রা তার প্রতি গর্ববোধ করেন।ফাতেমা বেগম ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন শাহ-মাদার গ্রামের রফিজল হক ও মালেকা বেগমের বড় মেয়ে। তার দুই সন্তান, জাকিয়া ইসলাম রিয়া (১৯) ও মো. রিফাত (১৬), নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। ফাতেমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের শেষের দিকে তার বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের গুড়া মিয়া গ্রামের মো. হারুন লাহাড়ির সঙ্গে, যিনি একজন কৃষক ছিলেন। তারা মেঘনা নদীর তীরে চাষাবাদ করে সংসার চালাতেন। তাদের সংসার ভালোই চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে হারুন নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভাবের সংসারে স্বামীকে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারেননি। পরে ২০০৮ সালের শুরুতে ছেলে রিফাতকে ২ বছর বয়সী রেখে মৃত্যুবরণ করেন ফাতেমার স্বামী। স্বামীর মৃত্যুর পর ছোট ছোটো দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দুঃখের সাগরে পড়েন ফাতেমা। একদিকে তাদের ভরণপোষণ অন্যদিকে তাদের ভবিষ্যতের চিন্তা। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ২০০৯ সালে কাজের খোঁজে ঢাকায় যান ফাতেমা। একই বছর এক আত্মীর মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবনে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করছেন ফাতেমা। তিনি বেগম জিয়ার সার্বক্ষণিক দেখাশোনাসহ সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বেগম জিয়াকে স্মরণ করিয়ে দেন।

The Dhaka News Bangla

প্রকাশক এবং সম্পাদক : তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত