রাষ্ট্র আসলে কার জন্য? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমরা দেখতে পাই, রাষ্ট্রের অস্তিত্বের মূল ভিত্তি হলো সাধারণ মানুষ। জনগণই রাষ্ট্রকে বাঁচিয়ে রাখে, আর জনগণের প্রয়োজন, নিরাপত্তা ও স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটানোই রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব।আজকের বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার, কর্মসংস্থান কিংবা নিরাপত্তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের প্রত্যাশা অনেক, কিন্তু প্রাপ্তি সব সময় সেই মানের হয় না। এখানেই রাষ্ট্রের করণীয় সবচেয়ে বেশি।রাষ্ট্রের উচিত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, যেন কেউ ক্ষুধার কষ্টে, চিকিৎসার অভাবে বা অন্যায়ের শিকার হয়ে অসহায় না হয়। একইসঙ্গে ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে এমনভাবে শক্তিশালী করতে হবে, যাতে কোনো নাগরিক আইন ও প্রশাসনের কাছে ভরসা হারিয়ে না ফেলে।আমরা যদি রাষ্ট্রকে মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ছাতা হিসেবে কল্পনা করি, তবে সেই ছাতার নিচে প্রত্যেকে সমান মর্যাদা ও সুযোগ নিয়ে দাঁড়াতে পারবে। এজন্য দরকার স্বচ্ছ প্রশাসন, জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব এবং মানুষের প্রতি আন্তরিক দায়িত্ববোধ।আমার বিশ্বাস, একটি রাষ্ট্র তখনই প্রকৃত অর্থে শক্তিশালী হয়, যখন সাধারণ মানুষ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে, নিরাপদে বাঁচতে পারে এবং সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার অনুভব করতে পারে।রাষ্ট্রের প্রতি এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করলেই আমরা গড়ে তুলতে পারব একটি সুন্দর, নিরাপদ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।