রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
The Dhaka News Bangla

বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে টেলিফোনে এই নির্দেশনার বিষয়টি জানানো হয়েছে।বিদেশের বিভিন্ন মিশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্রের বরাতে ঢাকা পোস্ট আরও জানতে পেরেছে, কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইল না দিয়ে টেলিফোন কলে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এই নির্দশনার তথ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দূতদের অন্য মিশনে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের কয়েকটি মিশনের দূতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশনা এখনো তারা পাননি। তবে বিদেশের দুটি মিশন প্রধান জানিয়েছেন, তারা সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল এক কূটনীতিক জানান, ঢাকা থেকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টেলিফোনে সরকারের এই নির্দশনার কথা অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন দূতকে জানানো হয়েছে। তারা অন্য মিশনে জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে ছবি সরানোর বিষয়টি তদারকি করবেন তারা।আরেক কূটনীতিক বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে যে রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি সরাসরি আমাদের জানাননি। ওনার পক্ষে কাছাকাছি একটি মিশন থেকে একজন রাষ্ট্রদূত আমাদের এই নির্দশনার ব্যাপারে জানিয়েছেন।’
৫ ঘন্টা আগে

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়াকে পাশে চায় ঢাকা

বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের জন্য মালয়েশিয়ার প্রভাবকে কাজে লাগাতে চায়। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে মালয়েশিয়ার এই ভূমিকা ব্যবহার করতে চায় ঢাকা। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই প্রত্যাশার কথা জানান।প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ ওই সাক্ষাৎকার বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে বারনামা। এতে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়দানের অভিজ্ঞতা এবং আসিয়ানে নেতৃত্বের অবস্থান মিলিয়ে মালয়েশিয়া আঞ্চলিক এই সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে।২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দুরার রাজ, ইন্টারন্যাশনাল নিউজ সার্ভিসের সম্পাদক ভুন মিয়াও পিং ও বারনামার ইকোনমিক নিউজ সার্ভিসের সহকারী সম্পাদক কিশো কুমারী সুসেদারাম।সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়া পুরো আলোচনায় তাদের প্রভাব খাটাবে; যাতে আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারি। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি সৈন্যদের মাঝে চলমান সংঘর্ষ রোহিঙ্গা সংকটকে আরও গভীর করে তুলেছে। এর ফলে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, কেবল গত ১৮ মাসেই নতুন করে ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছেন। এর সঙ্গে আগে থেকেই পালিয়ে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আছেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। আরও ভয়াবহ হলো, যুক্তরাষ্ট্র তাদের (রোহিঙ্গাদের) তহবিল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল সমস্যা।তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে আগামী কয়েক মাসে তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। প্রথম সম্মেলনটি বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়ার আট বছর পূর্তির সময় চলতি মাসের শেষের দিকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে। আর তৃতীয়টি বছরের শেষের দিকে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।২০২১ সাল থেকে মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলেছে। দীর্ঘস্থায়ী এই মানবিক সংকট কেবল বাংলাদেশ নয়; বরং আসিয়ানের আরও কয়েকটি দেশ—যেমন মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াকেও প্রভাবিত করছে।মালয়েশিয়া ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী সনদ বা ১৯৬৭ সালের প্রোটোকলে স্বাক্ষরকারী না হলেও মানবিক দিক বিবেচনায় দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে।রোহিঙ্গা সংকটের শুরু হয় ২০১৭ সালে। ওই সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
১৯ ঘন্টা আগে

যারা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়

নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা ব্যক্তিরা গণতন্ত্র এবং দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে যুবদল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।সালাহউদ্দিন বলেছেন, খালেদা জিয়া একটি নাম এবং একটি ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বন্দিত্বের শিকার হয়েছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের কিছু সময় পরে, স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছরের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি আপসহীন দেশনেত্রী উপাধিতে ভূষিত হন। স্বৈরাচারকে উৎখাত করে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন। পরে, ১৯৯৬ সালে জনতার দাবির প্রেক্ষিতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। এভাবে, তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে করতে আজও আমাদের মাঝে বাংলাদেশের মানুষের আলোর দিশারী হিসেবে বেঁচে আছেন। তার ৮১তম জন্মদিনে আমরা প্রার্থনা করি, আল্লাহ তাকে আরও দীর্ঘায়ু করুন, যেন তিনি মানুষের সামনে আলোর দিশারী এবং পথ প্রদর্শক হিসেবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে থাকেন।খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা বাংলাদেশের মানুষের মতোই আমরা অত্যন্ত আনন্দিত-উচ্ছ্বসিত বলে মন্তব্য করেন সালাহউদ্দিন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আমরা সমস্ত বিষয়ে দিক নির্দেশনা পাচ্ছি খালেদা জিয়ার কাছ থেকে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে সহজতর করতে হবে। তার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি অনেকবার। সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে আমরা আলোচনারত। জাতি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু সুন্দর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষমাণ। সারা জাতি অপেক্ষমাণ।বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা সেই গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষমাণ যার জন্য আমাদের সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব, অন্ধত্ব বরণ করেছেন। আমরা অবিরাম ১৬-১৭ বছর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করেছি। যদি আমরা অত্যন্ত শক্তিশালী একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই সাম্যের ভিত্তিতে, তাহলে আমাদের জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।সালাহউদ্দিন দাবি করেন, আজ যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের পক্ষের শক্তি নয়। তারা হয়তো কোনো না কোনো কারণে নিজের কথাগুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছেন, যাতে করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যায় অথবা বানচাল করা যায়। নির্বাচন অনুষ্ঠান না হোক সেটা চায়। কিন্তু দেশের মানুষ গণতন্ত্র ‍ও ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সংকল্পবদ্ধ। এর বিপক্ষে যারাই থাকবে, যারাই বক্তব্য, যুক্তি উত্থাপন করে গণতন্ত্রের যাত্রাপথে বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস ও আশা করি দেশের জনগণ ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যে কোনো রকমের বাধা অতিক্রম করতে সংকল্পবদ্ধ। সুতরাং অনুরোধ করব, সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও রাজনৈতিক দল যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে, সেই একই রকম ঐক্য নিয়ে আসুন আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করতে পারি, সেভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকি।
১৯ ঘন্টা আগে
সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের কোনো ইচ্ছা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের কোনো ইচ্ছা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাই না। এমনকি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনাও নেই।মালয়েশিয়া সফরকালে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বার্তা সংস্থাটির অনলাইন ভার্সনে এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎকারে বলেন, জনগণের ইচ্ছাতেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। নির্ধারিত সময়ে সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য। মূলত জুলাই অভ্যুত্থানের উত্তাল সময় পার হওয়ার পর শান্তি পুনঃস্থাপন এবং দেশ পুনর্গঠনেই বেশি মনোযোগী সরকার। এ সময় চলতি মাসের শেষদিকে ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করা হতে পারে বলেও আভাস দেন তিনি।তিনি আরও বলেন, আসিয়ান সভাপতি হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম মালয়েশিয়া। দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় দেশটিকে পাশে চাই।প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট তিনদিনের সফরে মালয়েশিয়া যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই সফরে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
৫ ঘন্টা আগে
জাতীয়

জাতীয়

সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের কোনো ইচ্ছা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের কোনো ইচ্ছা নেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমি সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাই না। এমনকি ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনাও নেই।মালয়েশিয়া সফরকালে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বার্তা সংস্থাটির অনলাইন ভার্সনে এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎকারে বলেন, জনগণের ইচ্ছাতেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। নির্ধারিত সময়ে সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য। মূলত জুলাই অভ্যুত্থানের উত্তাল সময় পার হওয়ার পর শান্তি পুনঃস্থাপন এবং দেশ পুনর্গঠনেই বেশি মনোযোগী সরকার। এ সময় চলতি মাসের শেষদিকে ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করা হতে পারে বলেও আভাস দেন তিনি।তিনি আরও বলেন, আসিয়ান সভাপতি হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রভাব বিস্তারে সক্ষম মালয়েশিয়া। দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় দেশটিকে পাশে চাই।প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট তিনদিনের সফরে মালয়েশিয়া যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই সফরে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
৫ ঘন্টা আগে
আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প এবং পুতিনের বৈঠক আজ, শেষ হাসি কার হবে?

ট্রাম্প এবং পুতিনের বৈঠক আজ, শেষ হাসি কার হবে?

আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্করিজ শহরে হবে এ বৈঠক। তবে দুই বিশ্বনেতার এই আলোচনা থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।আলোচনা সঠিকভাবে হলে খুব শীঘ্রই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেনকে এই আলোচনায় না ডাকায় জেলেনস্কি কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার মতে, ‘আমাদের ছাড়া কোনো শান্তিচুক্তি মানে পুতিনের জয়।’ইউরোপের নেতারা চেষ্টা করছেন যেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের জন্য গ্রহণযোগ্য শর্তে যুদ্ধ শেষ করার জন্য মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এদিকে, ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, যদি রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হয়, তাহলে তাদের ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।এদিকে, রুশ বিশ্লেষকরা এখনই এই বৈঠককে পুতিনের জয় হিসেবে দেখছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা এবং বিশ্লেষকেরা শীর্ষ বৈঠকের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।পুতিনের ঘনিষ্ঠ কূটনীতিক ইউরি উশাকভ বলেন, আলাস্কা ও আর্কটিক অঞ্চলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থগুলোর মিলন ঘটে এবং এখানে বড় পরিসরের পারস্পরিক উপকারী প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়।সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, আলাস্কার এই বৈঠক প্রথমে শান্তি আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে পারে, কিন্তু এটি ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।
১৫ আগস্ট ২০২৫
ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস

লোকপ্রশাসন বিভাগকে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

লোকপ্রশাসন বিভাগকে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারে লোকপ্রশাসন বিভাগকে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীরা।বুধবার (১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি হয়।মানববন্ধনে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ অংশ নেন। তারা হাতে নেন বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লেকার্ড ও ফেস্টুন—যেমন "NTRCA open the door for Public Administration", "পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পড়ে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নাইরে" প্রভৃতি।মানববন্ধনে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পাভেল অভিযোগ করে বলেন, সারা দেশে ১৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন পড়ানো হলেও সার্ভিস সেক্টরে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তাই সরকারের কাছে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান তিনি।প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, লোকপ্রশাসন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। তবু এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার নাদিরুজ্জামান ইমন বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও পৌরনীতির পাঠ্যবিষয়গুলোর বড় অংশই লোকপ্রশাসনে পড়ানো হয়। অথচ ইকোনোমিক্স, সোশিয়োলজি পড়া শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও আমরা পারি না। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেও চাকরির বাজারে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।”প্রতি বছর প্রায় হাজার শিক্ষার্থী দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করলেও তারা বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে আলাদা কোনো প্রাধান্য পান না, স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতার সুযোগও পান না—এমন মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজিল আহমেদ। তিনি বলেন, “সোশ্যাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের অধিকাংশ বিষয়ই আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়েন। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, লোকপ্রশাসন থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা অনায়াসে স্কুল পর্যায়ে পৌরনীতি এবং কলেজ পর্যায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতে পারবেন। রাষ্ট্রের উচিত মেধাবী এই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে সুযোগ করে দেওয়া এবং পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডারে আলাদা সুযোগ রাখা। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া উচিত।”মানববন্ধনে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুর রহমান শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
১৩ আগস্ট ২০২৫
ওয়েব স্টোরি

ওয়েব স্টোরি

নির্বাচন

নির্বাচন

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

জাতীয় সংসদের সাধারণ বা উপনির্বাচনে যদি বলপ্রয়োগ বা জবর-দখলের কারণে নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা হারায়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্র বা পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে। এ ধরনের বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এ যুক্ত করে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে কমিশন। সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মোট ৩৫ সুপারিশের মধ্যে ২৫টির সঙ্গে একমত এবং বাকি ১০টির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছে ইসি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সুপারিশ কার্যকরের জন্য সরকারের আইন ও সংসদ বিভাগে এই প্রস্তাব পাঠায় ইসি। একমত হওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, সংসদ নির্বাচন শেষে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।যদি প্রার্থী তার হলফনামায় কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, তাহলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও তিনি পদে থাকার জন্য অযোগ্য হবেন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে যদি ইসির কাছে কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা সরকারের কোনো বিভাগ কর্তব্যে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। একইভাবে, নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত যে কোনো কর্মকর্তা বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রদান বা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা বা প্রতিরোধ করলে বা প্রচেষ্টা চালালে এবং ভোটারকে প্রভাবিত করলে তাকে প্রত্যাহার ও নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারবে ইসি। অন্যদিকে, দ্বিমত পোষণ করা আলোচিত ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভোটের পর যদি কেউ কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, তাহলে ইসিকে সংসদীয় কমিটির সামনে জবাবদিহি করতে হবে’—এই সুপারিশে তারা ভিন্নমত পোষণ করছে। এছাড়া, ভোটের ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু ভোটের স্বপক্ষে সার্টিফাই করা এবং স্বাধীন কমিশন গঠন করে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস করার প্রস্তাবও রয়েছে। এ ধরনের কমপক্ষে ১০টি ইস্যুর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে ইসি। কারণগুলো হচ্ছে সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব হওয়া, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া এবং আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থেকে ইসির কার্যক্রমকে সীমিত করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দীন ও তাদের দ্বিমত পোষণ করার ওই তিনটি কারণকে  নিশ্চিত করেন। এদিকে, বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের বা ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথি, চাকরির বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ করা হবে। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংস্কার কমিশনের তিন কার্যদিবসের পরিবর্তে ইসি ১০ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। প্রস্তাবে জেলার রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসাররা লিখিত নোর্টিসে ওই জেলার সব সরকারি বা বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রধানকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুত করার জন্য একটি তালিকা পাঠাবেন।এর সঙ্গে ইসি নতুন কিছু শব্দ যুক্ত করে সেখানে একই জেলার একাধিক রিটার্নিং অফিসার থাকলে তার আলোচনার ভিত্তিতে স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করে। সুপারিশে বলা হয়, নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা বা সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রে কোনো প্রকার তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা তথ্য দেননি তা প্রার্থীকেই সার্টিফাই করতে হবে।মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কমিশনে আপিল করবেন এবং আপিলে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর নির্বাচনের বিষয়ে আদালত নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিস ও শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনো আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে না।ইসির অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে ভোটকেন্দ্রে বা এর আশেপাশে নির্ধারিত চৌহদ্দির ভেতরে অন্য কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি অযথা ঘোরাফেরা করতে পারবে না। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে এলাকা থেকে অপসারণ কিংবা আটক করতে পারবেন। কমিশন তাতে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলেছে, কমিশন নির্বাচনি ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এক বা একাধিক নির্বাচনি আসনের জন্য ‘নির্বাচনি ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন করবে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের ক্ষেত্রে আইন বা বিধিমালা লঙ্ঘন করছে, তাহলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩১ জুলাই ২০২৫
ক্রিকেট

ক্রিকেট

নিউজিল্যান্ড রেকর্ড গড়ে সিরিজ জয়

নিউজিল্যান্ড রেকর্ড গড়ে সিরিজ জয়

নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয় অর্জন করেছে। বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৬০১ রান সংগ্রহের পর তাদের বড় জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে, এত বিশাল ব্যবধান কেউই হয়তো আশা করেনি। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৩৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে।টেস্ট ইতিহাসে ৩০টির বেশি ম্যাচে ৩০০ রানের বেশি ব্যবধানে জয় রয়েছে, কিন্তু ইনিংস ব্যবধান হিসেব করলে এই সংখ্যা মাত্র তিনটি। এসবের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়টি নিউজিল্যান্ডেরই, যা তাদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বকালের সবচেয়ে বড় জয়। ইনিংস ব্যবধানে সবচেয়ে বড় দুই জয় ইংল্যান্ড (১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস ও ৫৭৯ রান) এবং অস্ট্রেলিয়া (২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ও ৩৬০ রান) অর্জন করেছে।ইনিংস ও ৩৫৯ রানের ব্যবধানে জয়ী হয়ে নিউজিল্যান্ড দুই ম্যাচের সিরিজটিও নিশ্চিত করেছে। আগের টেস্টে ৯ উইকেটে জিতেছিল তারা। একই সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রেখেছে।তৃতীয় দিনে ৭ উইকেট হাতে রেখে নিউজিল্যান্ড আর ব্যাটিং করেনি, ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়। প্রথম ইনিংসে ১২৫ রানে অলআউট হওয়া জিম্বাবুয়ে আজ মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয়। এই দিনে জয় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন অভিষিক্ত জাকারি ফকস। তিনি ৩৭ রানে ৫ উইকেট নেন।নিক ওয়েলশ ছাড়া জিম্বাবুয়ের অন্য কোনো ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের পেসারদের মোকাবেলা করতে পারেনি। ওয়েলশ ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ওভারেই আউট হন ব্রায়ান বেনেট। ওয়েলশ ক্রেগ আরভিনের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি গড়েন। আরভিন ১৭ রান করেন। বাকি সবাই সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হন। ম্যাট হেনরি ও জ্যাকব ডাফি দুই করে উইকেট নেন।নিউজিল্যান্ডের একমাত্র ইনিংসে ৬০১ রান সংগ্রহে ডেভন কনওয়ে, হেনরি নিকোলস ও রাচিন রবীন্দ্রের অবদান অপরিসীম। তিনজনই ১৫০’র বেশি রান করেছেন। প্রথম দিনেই জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে নিউজিল্যান্ড প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলেছিল। কনওয়ে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। উইল ইয়ং ৭৪ রানে আউট হলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামেন জ্যাকব ডাফি।ডাফি কনওয়েকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন এবং দ্বিতীয় দিনে আরও ২৮ রান করেছেন। ডাফি আউট হওয়ার পর কনওয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১৫৩ রানে আউট হন। এরপর নিকোলস ও রবীন্দ্র দ্বিতীয় দিন শেষ করেন। রবীন্দ্র তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন, ১৬৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। নিকোলস ছিলেন ১৫০ রানে।
০৯ আগস্ট ২০২৫
সারাদেশ

সারাদেশ

নোয়াখালীতে রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার পরিবারের দাবি পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় হত্যা

নোয়াখালীতে রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার পরিবারের দাবি পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় হত্যা

নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন থেকে মো. মাহফুজ (২৫) নামের এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি বন্ধুর স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় মাহফুজকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাজির চর গ্রামের হাসমত উল্যার বাড়ির ছায়েদুল হকের ঘর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে বাড়ির রান্না ঘরের পিছনে পেয়ারা গাছের সঙ্গে বাধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।নিহত মো. মাহফুজ উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের কাজির চর গ্রামের মো. ছায়েদুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।নিহতের চাচা মো. মাফুউল্যা বলেন, আমার ভাতিজা মাহফুজের সঙ্গে প্রতিবেশী জয়নাল আবেদীনের ছেলে সোহাগ ও সবুজের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল। তিন বছর পূর্বে সোহাগ সৌদি যাওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের খোঁজখবর রাখার জন্য বন্ধু মাহফুজকে অনুরোধ করে যান। সোহাগ বিদেশ পাড়ি দেওয়ার পর মাহফুজ ও সোহাগের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী আছমা আক্তার টিকটক করতে শুরু করে। এই নিয়ে তাদের পরিবারে একাধিক বার কলহ তৈরী হয়। সাম্প্রতিক সোহাগের স্ত্রী আছমা আক্তার আমার ভাতিজা মাহফুজের ইমুতে তার করা টিকটক ও বিভিন্ন ভিডিও পাঠাতে থাকেন। গত ৫দিন পূর্বে মাহফুজের ছোট বোন তাজিনা আক্তার মাহফুজের মুঠোফোনে ওই ভিডিওগুলো দেখে পরিবারের সদস্যদের জানান।তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, পরে গতকাল শুক্রবার সকালে মাহফুজের বাবা ছায়েদুল হক সোহাগদের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সোহাগের বাবা-মাকে জানান এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে পুত্রবধূকে বিরত রাখতে বলেন। একই দিন বিকালে সোহাগের স্ত্রী আছমা আক্তার ও ভগ্নিপতি শাহীন, ভাই সবুজ প্রতিবেশী আবদুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে মাহফুজের বাবা-মাকে গালমন্দ করে তাদের ছেলে মাহফুজকে হাত-পা ভেঙে হত্যার হুমকি দেয়। তখন আছমা আক্তার স্বামী সোহাগকে ভিডিও কল করে এসব কথা বলেন। পরে ভিডিও কলে স্বামী সোহাগও মাহফুজকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।নিহতের চাচা মো. আকবর হোসেন শিপন বলেন, শনিবার রাতে আমার ভাই মাহফুজ বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার মা হাজেরা বেগম বাড়ির উত্তর দিকে রান্না ঘরের পিছনে পেয়ারা গাছের সঙ্গে মাহফুজকে বাঁধা অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মৃত অবস্থা দেখে পুলিশে খবর দেয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে।মাহফুজের বাবা ছায়েদুল হক বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে তার বন্ধু সোহাগের ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সোহাগের স্ত্রী আছমা আমার ছেলে মাহফুজকে প্রায় কু-প্রস্তাব দিতো, পরকীয়া প্রেম করতে চাইতো, খারাপ ভিডিও পাঠাতো। এসব বিষয় মাহফুজ তার ভাবিকে একাধিকবার জানিয়েছিল। এই নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করায় শুক্রবার রাতে সোহাগের দুলাভাই শাহীনের নেতৃত্বে তার স্ত্রী আছমা, ভাই সবুজসহ সংঘবদ্ধ দল আমার ছেলেকে হত্যা করে আমাদের বাড়ির রান্না ঘরের পিছনের একটি ছোট্ট পেয়ারা গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে তারা পালিয়ে যায়। মাহফুজের হত্যার সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন এই বাবা।অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রবাসী সোহাগের স্ত্রীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।  সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে লাশের সুরতহাল প্রতিবদেন করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
৩১ জুলাই ২০২৫
নির্বাচন

নির্বাচন

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

জাতীয় সংসদের সাধারণ বা উপনির্বাচনে যদি বলপ্রয়োগ বা জবর-দখলের কারণে নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা হারায়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্র বা পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে। এ ধরনের বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এ যুক্ত করে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে কমিশন। সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মোট ৩৫ সুপারিশের মধ্যে ২৫টির সঙ্গে একমত এবং বাকি ১০টির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছে ইসি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সুপারিশ কার্যকরের জন্য সরকারের আইন ও সংসদ বিভাগে এই প্রস্তাব পাঠায় ইসি। একমত হওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, সংসদ নির্বাচন শেষে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।যদি প্রার্থী তার হলফনামায় কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, তাহলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও তিনি পদে থাকার জন্য অযোগ্য হবেন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে যদি ইসির কাছে কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা সরকারের কোনো বিভাগ কর্তব্যে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। একইভাবে, নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত যে কোনো কর্মকর্তা বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রদান বা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা বা প্রতিরোধ করলে বা প্রচেষ্টা চালালে এবং ভোটারকে প্রভাবিত করলে তাকে প্রত্যাহার ও নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারবে ইসি। অন্যদিকে, দ্বিমত পোষণ করা আলোচিত ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভোটের পর যদি কেউ কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, তাহলে ইসিকে সংসদীয় কমিটির সামনে জবাবদিহি করতে হবে’—এই সুপারিশে তারা ভিন্নমত পোষণ করছে। এছাড়া, ভোটের ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু ভোটের স্বপক্ষে সার্টিফাই করা এবং স্বাধীন কমিশন গঠন করে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস করার প্রস্তাবও রয়েছে। এ ধরনের কমপক্ষে ১০টি ইস্যুর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে ইসি। কারণগুলো হচ্ছে সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব হওয়া, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া এবং আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থেকে ইসির কার্যক্রমকে সীমিত করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দীন ও তাদের দ্বিমত পোষণ করার ওই তিনটি কারণকে  নিশ্চিত করেন। এদিকে, বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের বা ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথি, চাকরির বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ করা হবে। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংস্কার কমিশনের তিন কার্যদিবসের পরিবর্তে ইসি ১০ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। প্রস্তাবে জেলার রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসাররা লিখিত নোর্টিসে ওই জেলার সব সরকারি বা বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রধানকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুত করার জন্য একটি তালিকা পাঠাবেন।এর সঙ্গে ইসি নতুন কিছু শব্দ যুক্ত করে সেখানে একই জেলার একাধিক রিটার্নিং অফিসার থাকলে তার আলোচনার ভিত্তিতে স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করে। সুপারিশে বলা হয়, নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা বা সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রে কোনো প্রকার তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা তথ্য দেননি তা প্রার্থীকেই সার্টিফাই করতে হবে।মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কমিশনে আপিল করবেন এবং আপিলে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর নির্বাচনের বিষয়ে আদালত নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিস ও শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনো আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে না।ইসির অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে ভোটকেন্দ্রে বা এর আশেপাশে নির্ধারিত চৌহদ্দির ভেতরে অন্য কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি অযথা ঘোরাফেরা করতে পারবে না। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে এলাকা থেকে অপসারণ কিংবা আটক করতে পারবেন। কমিশন তাতে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলেছে, কমিশন নির্বাচনি ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এক বা একাধিক নির্বাচনি আসনের জন্য ‘নির্বাচনি ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন করবে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের ক্ষেত্রে আইন বা বিধিমালা লঙ্ঘন করছে, তাহলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাসেদুল ইসলাম