বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
The Dhaka News Bangla

ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে গ্রামে নিয়ন্ত্রণ কেবল শহরে

একসময় যাকে ‘শহুরে রোগ’ বলা হতো, সেই ডেঙ্গু এখন শহরের সীমানা ছাড়িয়ে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে। চলতি ২০২৫ সালে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ঢাকার বাইরের, অর্থাৎ গ্রাম ও মফস্বল এলাকায়। অথচ প্রতিরোধের পরিকল্পনা, জরিপ, ও নজরদারি— সবকিছুই সীমাবদ্ধ রাজধানী ও কিছু নগর এলাকায়।সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তার পাঁচগুণ বেড়েছে। তবে, এটি এবার গ্রামে বেশি আতঙ্ক ছড়ালেও প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এখনও মূলত নগরকেন্দ্রিক, বিশেষ করে ঢাকা শহর ঘিরে। ফলে একদিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্যদিকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে ডেঙ্গু রোগীর ভৌগোলিক বিস্তারে পরিবর্তন ঘটেছে। ২০২১ সালেও যেখানে ডেঙ্গু ছিল মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক— সেবার রোগীর ৮৩.০৭ শতাংশই রাজধানীতে ছিল। সেই চিত্র এখন সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। ২০২২ সালে ঢাকার রোগীর হার কমে দাঁড়ায় ৬২.৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ঢাকার বাইরের রোগী বেড়ে হয় ৩৭.১৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো রাজধানীর বাইরে রোগীর সংখ্যা ঢাকাকে ছাড়িয়ে যায়। সেবার ঢাকায় ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ, আর ঢাকার বাইরে ছিল ৬৬.১৫ শতাংশ।২০২৪ সালে এই পার্থক্য আরও বেড়ে দাঁড়ায় ঢাকায় ৩৯.৩০ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে ৬০.৭০ শতাংশ। চলতি বছরের (২০২৫ সাল) ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১০ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে আট হাজার ৬২ জন (৭৮.৩ শতাংশ) রোগী রাজধানী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে শনাক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শনাক্ত হন দুই হাজার ২৩০ জন (২১.৭ শতাংশ) রোগী।পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছরে ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বাইরে পাঁচগুণ বেড়েছে। অথচ ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারি পরিকল্পনা ও মনোযোগ এখনও ঢাকাকেন্দ্রিক রয়ে গেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি গ্রামীণ বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেওয়া না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।বরিশালে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী, ঢাকাতেও উচ্চ ঝুঁকিস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের সর্বাধিক সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগের সিটি কর্পোরেশনের বাইরের এলাকাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৫৯১ জন রোগী, যা দেশের সব বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের সিটি কর্পোরেশনের বাইরের এলাকা থেকে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫২৬ জন। ঢাকা বিভাগের বাইরের অংশেও এক হাজার ৮ জন রোগী পাওয়া গেছে।রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনেও রোগীর সংখ্যা কম নয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এক হাজার ৪০৩ জন, আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৮৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। খুলনা বিভাগের বাইরে ৩৪৩ জন, রাজশাহীতে ৪০১ জন, ময়মনসিংহে ১৩৬ জন, সিলেটে ৩০ জন এবং রংপুর বিভাগে মাত্র ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২৪ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে যথাক্রমে ১৫৭, ১১৮, ৭৪, ১০৭, ১৪১, ১৩৬ ও ১৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে একই সময়ে ৫৮, ৪৩, ৮, ১১, ৪০, ৫৫ ও ৫৭ জনের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। রাজশাহীতে গত সপ্তাহে ৪৪, ২৯, ১৮, ৬, ৩৩ ও ৫৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৮, ১৬, ৬, ৪১ ও ২১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫, ২, ৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। সিলেট বিভাগে ১, ৩, ২ ও ৩ জনের ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।এছাড়া গত এক সপ্তাহে ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) যথাক্রমে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৩৫, ৪৩, ৩০, ১২, ১৮, ৪৮ ও ৬১ জনের। সেইসঙ্গে এই সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৫০, ৪৫, ৩২, ৬, ৪০, ২৮ ও ৪৫ জনের এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে যথাক্রমে ৪২, ২৬, ২৪, ১৫, ৮, ৩২ ও ৪২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।বরগুনার গ্রামাঞ্চলের ৬৫ ভাগ বাড়িতেই এডিসের লার্ভাচলতি বছর ঢাকার বাইরে তিন সিটি কর্পোরেশন এলাকা এবং ছয় জেলায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপস্থিতি জানতে জরিপ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। জরিপে একটি মাত্র জেলা বরগুনার গ্রামাঞ্চলেও এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অন্য জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায়ও জরিপ হয়।  বরগুনা জেলার জরিপে পৌর এলাকায় ৩১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের ৭৬ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর বাইরে  মাগুরার পৌর এলাকায় ৩৫.৫৬ শতাংশ, ঝিনাইদহে ৩২.৯৬ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ১৮.১৫ শতাংশ, পিরোজপুরে ১৪.৪৪ শতাংশ এবং কুষ্টিয়ার পৌর এলাকার ৭.২৯ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।লার্ভা পাওয়ার শতকরা হার বা হাউজ ইনডেক্স ১০-এর বেশি হলে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বিবেচনা করা হয়।ঢাকার বাইরে ‘মশার নিয়ন্ত্রণ নেই’ বললেই চলেসংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ধারণা করা হয়, আগামী ৩০-৪০ বছর ডেঙ্গু হতে থাকবে। কারণ, ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সীমিত আকারে কিছু উদ্যোগ রয়েছে। ঢাকার বাইরে মশার নিয়ন্ত্রণ বা অন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ নেই বললেই চলে। এর মধ্যে আবার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিধি না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।’ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে। এরপর গত ২৫ বছরে আমরা ঢাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আরও যে কত বছর লাগবে সেটাও জানা নেই। ঢাকার বাইরে পাঁচগুণ মানুষ বসবাস করেন। সুতরাং, মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রোগটি আগামী ৩০ বছর থাকবে, এটা খুব সহজে অনুমান করা যায়।শহর ছেড়ে কেন গ্রামে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গুশহর ছেড়ে কেন গ্রামে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এডিস ইজিপ্টি ও অ্যালবোপিকটাস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। ইজিপ্টি শহর এবং অ্যালবোপিকটাস গ্রামাঞ্চলের মশা। অ্যালবোপিকটাস মশা বন-জঙ্গল, বাঁশের ঝাড়, গাছের বাকলের মতো স্থানে থাকে।এ মশা আগে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। এখন তারাও ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে। আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীকে কামড় দিয়ে তারাও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে নগরে ডেঙ্গু ছড়ানো ইজিপ্টি মশা যে কোনোভাবে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এখন দুই প্রজাতির মশাই সমান তালে ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে। এছাড়া বিরূপ পরিবেশেও টিকে থাকার (অভিযোজন) সক্ষমতা তৈরি করছে এসব মশা।ড. গোলাম ছারোয়ারের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সঠিক ‘কন্টাক ট্রেসিং’ (রোগী ও তার অবস্থান শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা) অতি জরুরি। কিন্তু এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে মশা নির্মূলের উদ্যোগ নেই। সে কারণে অন্য কোনো অঞ্চল থেকে আক্রান্ত হয়ে এলেও রোগী যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন, সেই জায়গার তালিকা করা হচ্ছে। এতে আক্রান্ত মশাকে আড়াল করে তাদের বংশবিস্তারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।সুপেয় পানির সংকটই আসল কারণআইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন জানান, সুপেয় পানির সংকটের কারণে বরগুনা জেলায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার প্রচলন আছে। আর এডিস মশার লার্ভা তৈরি হয় জমিয়ে রাখা পরিষ্কার পানিতে। এসব পানির আধারই হলো এডিসের বিস্তারের বড় ক্ষেত্র। বাড়িতে রাখা প্লাস্টিকের ড্রামের পানি ঢেকে রাখা হয় কাপড় দিয়ে। এটার চর্চা গ্রামে বেশি। এসব কাপড়ে ব্যাপক মাত্রায় লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ঢাকার বাইরে বরগুনার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। এ পরিস্থিতি যে শুধু বরগুনার গ্রামে, তা এখন বলা যায় না। দেশের অন্যত্রও যদি জরিপ করা হয়, তবে এমন বা এর কাছাকাছি চিত্র পাওয়া যেতে পারে।
২ ঘন্টা আগে

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযান, কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ’র কমান্ডারসহ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত অপরজন কেএনএ সদস্য বলে জানা গেছে।বুধবার (৩ জুলাই) গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান এখনও চলছে। অভিযানে ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
২ ঘন্টা আগে

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেবল হক (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।  নিহত জেবল হক কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের গনু মিয়ার ছেলে।  ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।
০২ জুলাই ২০২৫
যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, তাদের জন্য দুঃখ হয়: বাঁধন

যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, তাদের জন্য দুঃখ হয়: বাঁধন

জুলাই গণঅভুত্থ্যানে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরও দেশের বিভিন্ন ঘটনার প্রতি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী।যদিও বিভিন্ন সময় বাঁধন বলেছেন, জুলাইয়ের আন্দোলনের পর কিছু ঘটনা তাকে হতাশ করেছে। তাই বলে, যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে তাদের পক্ষে নন তিনি।বিষয়টি নিয়ে বুধবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী লিখেছেন, যারা বলে জুলাই বিপ্লব ভুল ছিল — সত্যি বলতে, তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়। ওই সময় ওই বিপ্লব একদম প্রয়োজনীয় ছিল। মানুষ যে পরিমাণ অবিচার, অন্যায় এবং দমন-পীড়নের মুখোমুখি হচ্ছিল, তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সরকার তো একদিনে ফ্যাসিস্ট হয়ে যায়নি — ধাপে ধাপে মানুষের অধিকার আর কণ্ঠস্বর কেড়ে নিতে নিতে তারা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিল। তখন আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না।জুলাই গণঅভুত্থ্যানে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরও দেশের বিভিন্ন ঘটনার প্রতি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী।সবশেষ বাঁধন লিখেছেন, হ্যাঁ, বিপ্লবের পরে অনেক কিছু ঘটেছে, এবং সবকিছু সুখকর হয়নি। কিন্তু এক জিনিস স্পষ্ট: জুলাই বিপ্লব সঠিক সময়ে, সঠিক কাজ ছিল।
৬ মিনিট আগে
জাতীয়

জাতীয়

রাত পোহালে জুলাই : ঘোষণাপত্র ও সনদ কি অধরাই রয়ে যাবে?

রাত পোহালে জুলাই : ঘোষণাপত্র ও সনদ কি অধরাই রয়ে যাবে?

ঘটনার শুরু ৫ জুন, ২০২৪। হাইকোর্ট ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে। এর ফলে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবার কার্যকর হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সেদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিখ্যাত স্লোগান উঠেছিল—‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা।’প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম। দাবি ছিল— ২০১৮ সালের সরকারি প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল করতে হবে।এরপর আন্দোলনে আন্দোলনে জুলাইয়ের প্রথমার্ধে ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের অবরোধ-বিক্ষোভ জোরদার হয়। ১১ জুলাই হাইকোর্ট জানান, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতি পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারে। আন্দোলন যখন আরও তীব্র হয়, পুলিশ সতর্কবার্তা দেয় আর মন্ত্রীরা আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়— শুরু দেশের ইতিহাসে অভুতপূর্ব আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’। কয়েকটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও ঘটে।১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা হামলা চালালে আন্দোলন আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এরপর ১৬ জুলাই রংপুরে আবু সাইদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরদিন ১৭ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ চলতে থাকে। স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একের পর এক ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়। এর ফলে বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। কোটা পুনর্বহালের দাবি তখন সরকারের পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশ-বিজিবি-র‌্যাব এমনকি সেনাবাহিনী দিয়ে ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালায় হাসিনা সরকার। দেশব্যাপী রক্ত ঝরে হাজারো ছাত্র-জনতার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি স্বৈরাচার খুনি শাসকদের। প্রায় দুই হাজার শহীদ ও ১০ হাজারের বেশি আহতের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অবশেষে ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট ২০২৪ সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান। এতে পতন ঘটে রক্তপিপাসু শেখ হাসিনা সরকারের।এক বছর পর আবারও জুলাই এসে হাজির। আজ সোমবারের রাতটি পোহালেই কাল সকাল থেকে শুরু হবে সেই ঐতিহাসিক জুলাই মাস। এক বছর পর এই মাসে ছাত্র-জনতার কাঙ্ক্ষিত জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার- এই আশায় আছেন জুলাই অভ্যুত্থানের শরিক সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে, সরকারের সাম্প্রতিক তৎপরতায় এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে, জুলাইয়ের মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র বা সনদ পাওয়া যাবে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির সংগঠকেরা।নিজেরাই জুলাই সনদ ঘোষণা করব : নাহিদ ইসলামজুলাই আন্দোলনের একটি লিখিত দলিল ‘ঘোষণাপত্র ও সনদ’ চেয়ে বারবার দাবি জানিয়ে আসছে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো।সনদ ঘোষণার দাবিতে সবচেয়ে জোরালো অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, শহীদদের অবদান, নেতৃত্বের ভূমিকা ও রাজনৈতিক নিরাপত্তার সংজ্ঞায়ন। এটি একটি জাতীয় দলিল হয়ে সংবিধানিক ভিত্তি পাবে।তিনি জানান, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রনেতৃত্ব ঘোষণাপত্র দিতে চাইলেও সরকার সব পক্ষের সম্মতিতে তা জারি করতে চায় বলে উদ্যোগটি স্থগিত রাখা হয়। সরকার একাধিকবার সময় বেঁধে দিলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে খসড়া দলিল দেওয়া হলেও সমন্বিত একটি দলিল এখনো আসেনি।নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার যদি আর উদ্যোগ না নেয়, তবে আমরা নিজ উদ্যোগে ইশতেহার প্রকাশ করব। চাই, সব পক্ষ নিজেদের খসড়া তৈরি করুক— সবার সম্মিলনে রাষ্ট্রীয় ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করতে সরকার বাধ্য হবে।তিনি জানান, শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।সনদ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা থাকবে। সংবিধানে কোথায় পরিবর্তন আসবে, তা নির্ধারণে রাজনৈতিক ঐকমত্যের দলিল হবে এই সনদ। গণভোট, গণপরিষদ অথবা সংসদীয় প্রক্রিয়ায় তা কার্যকর হতে পারে।তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের (৩৬ জুলাই) মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ প্রকাশ করতে না পারলে সরকারের পক্ষে জুলাই উদযাপন করার নৈতিক অধিকার থাকবে না।রাষ্ট্রীয় জায়গা থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমানে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের একটি স্বীকৃতিপত্রের দরকার আছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও জুলাই ঘোষণাপত্রের কোনো নাম-নিশানা আমরা দেখি না। তারা একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমরা আন্দোলন করেছি, আবার একটি জুলাই চলে এসেছে কিন্তু জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনো আশার আলো দেখিনি।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে একত্রিতভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা বারবার দেখেছি একটি গোষ্ঠী বা একটি রাজনৈতিক দল সেটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। এটি না হলে আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসলে যারা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল সবার গলায় ফাঁসি ঝুলবে। অনেকগুলো রাজনৈতিক দল এটাকে গণঅভ্যুত্থান বলে স্বীকৃতি দিতে চায় না। রাষ্ট্রীয় জায়গা থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে।ইনকিলাব মঞ্চের বক্তব্যজুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ দাবি করে সবচেয়ে বেশি সরব থাকা অরাজনৈতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। তাদের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, একটি বছর কেটে গেলেও রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্বীকৃতি এখনো আসেনি। রক্ত, জীবন, শারীরিক পঙ্গুত্ব, দুঃস্বপ্ন— সবকিছুর মূল্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতা ও কাঠামোগত পরিবর্তনের স্বীকৃতি যদি না আসে, তবে নতুন বাংলাদেশ গড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।তিনি বলেন, জুলাইয়ে আমরা যেটা আশা করেছিলাম, তা হলো নতুন বাংলাদেশ, ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র, যেখানে কেউ আর স্বৈরাচার হতে পারবে না। সেই কাঙ্ক্ষিত রূপরেখা হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র— যেটি এখনো অধরা। মানুষ আবারও অধিকার আদায়ের জন্য প্রস্তুত।ছাত্রনেতাদের প্রশ্ন এখন একটাই— ঘোষণাপত্র ও সনদ কি শুধু প্রতিশ্রুতির ফাঁদেই পড়ে রইবে নাকি ৫ আগস্টের আগে জাতিকে সেই সুস্পষ্ট দলিল, পথচলার সেই নতুন দিকনির্দেশনাটি উপহার দেওয়া হবে।
৩০ জুন ২০২৫
আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তুরস্ক

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে তুরস্ক

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির প্রদেশে ভয়াবহ দাবানল চলছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) সমুদ্র তীরবর্তী এই প্রদেশের বনাঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসের তীব্রতায় মুহূর্তের মধ্যে আশেপাশের এলাকায় আগুন ছড়িয়ে যায়।ঘণ্টায় ১শ’ কিলোমিটার বাতাসের বেগ থাকায়, আগুনের লেলিহান শিখা ছড়ায় তুরস্কের জনপ্রিয় পর্যটন নগরী ম্যান্ডেরেস-এ। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় ইজমির আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর।জঙ্গলের কাছাকাছি ৬টি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে ১ হাজারের বেশি ফায়ার সার্ভিস কর্মী। এছাড়া ১১টি বিমান ও ২৭টি হেলিকপটার থেকে ছিটানো হচ্ছে রাসায়নিক। দাবানলের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
৩০ জুন ২০২৫
ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস

শুরু হয়েছে ন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম

শুরু হয়েছে ন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম

সরকারি তিতুমীর কলেজে শুরু হয়েছে ‘ন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’-এর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। গত ২২ জুন, রবিবার থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত।সরকারি তিতুমীর কলেজ ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে অংশ নিতে পারবে দেশের যেকোনো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ক্লাবটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সংযোগ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।আগামী ১০ থেকে ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বাছাই পর্ব। ফেস্টিভ্যাল ঘিরে ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি।ফেস্টিভ্যালে থাকছে ছয়টি একক প্রতিযোগিতা এবং একটি দলীয় ইভেন্ট। একক ইভেন্টগুলো হলো- পাবলিক স্পিকিং, ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি, স্পেলিং বি, ভিজ্যুয়াল ন্যারেশন, উপস্থিত বক্তৃতা, গ্রামার ও ভোকাবুলারি প্রতিযোগিতা। দলীয় ইভেন্ট হিসেবে থাকবে ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা।আয়োজকরা জানান, প্রতিটি একক ইভেন্টে রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং দলীয় ইভেন্টে প্রতি দলের জন্য ফি ৫০০ টাকা। রেজিস্ট্রেশন করা যাবে অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত তথ্য ও রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশনা পেতে ক্লাবের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করতে পারবেন।ফেস্টিভ্যালের চূড়ান্ত পর্ব শেষে ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজকরা আশা করছেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য হবে একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা এবং ভাষাগত দক্ষতা বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।শুভ্র/আফরিনা 
৩০ জুন ২০২৫
ওয়েব স্টোরি

ওয়েব স্টোরি

নির্বাচন

নির্বাচন

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

জাতীয় সংসদের সাধারণ বা উপনির্বাচনে যদি বলপ্রয়োগ বা জবর-দখলের কারণে নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা হারায়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্র বা পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে। এ ধরনের বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এ যুক্ত করে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে কমিশন। সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মোট ৩৫ সুপারিশের মধ্যে ২৫টির সঙ্গে একমত এবং বাকি ১০টির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছে ইসি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সুপারিশ কার্যকরের জন্য সরকারের আইন ও সংসদ বিভাগে এই প্রস্তাব পাঠায় ইসি। একমত হওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, সংসদ নির্বাচন শেষে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।যদি প্রার্থী তার হলফনামায় কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, তাহলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও তিনি পদে থাকার জন্য অযোগ্য হবেন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে যদি ইসির কাছে কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা সরকারের কোনো বিভাগ কর্তব্যে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। একইভাবে, নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত যে কোনো কর্মকর্তা বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রদান বা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা বা প্রতিরোধ করলে বা প্রচেষ্টা চালালে এবং ভোটারকে প্রভাবিত করলে তাকে প্রত্যাহার ও নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারবে ইসি। অন্যদিকে, দ্বিমত পোষণ করা আলোচিত ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভোটের পর যদি কেউ কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, তাহলে ইসিকে সংসদীয় কমিটির সামনে জবাবদিহি করতে হবে’—এই সুপারিশে তারা ভিন্নমত পোষণ করছে। এছাড়া, ভোটের ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু ভোটের স্বপক্ষে সার্টিফাই করা এবং স্বাধীন কমিশন গঠন করে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস করার প্রস্তাবও রয়েছে। এ ধরনের কমপক্ষে ১০টি ইস্যুর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে ইসি। কারণগুলো হচ্ছে সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব হওয়া, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া এবং আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থেকে ইসির কার্যক্রমকে সীমিত করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দীন ও তাদের দ্বিমত পোষণ করার ওই তিনটি কারণকে  নিশ্চিত করেন। এদিকে, বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের বা ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথি, চাকরির বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ করা হবে। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংস্কার কমিশনের তিন কার্যদিবসের পরিবর্তে ইসি ১০ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। প্রস্তাবে জেলার রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসাররা লিখিত নোর্টিসে ওই জেলার সব সরকারি বা বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রধানকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুত করার জন্য একটি তালিকা পাঠাবেন।এর সঙ্গে ইসি নতুন কিছু শব্দ যুক্ত করে সেখানে একই জেলার একাধিক রিটার্নিং অফিসার থাকলে তার আলোচনার ভিত্তিতে স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করে। সুপারিশে বলা হয়, নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা বা সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রে কোনো প্রকার তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা তথ্য দেননি তা প্রার্থীকেই সার্টিফাই করতে হবে।মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কমিশনে আপিল করবেন এবং আপিলে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর নির্বাচনের বিষয়ে আদালত নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিস ও শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনো আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে না।ইসির অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে ভোটকেন্দ্রে বা এর আশেপাশে নির্ধারিত চৌহদ্দির ভেতরে অন্য কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি অযথা ঘোরাফেরা করতে পারবে না। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে এলাকা থেকে অপসারণ কিংবা আটক করতে পারবেন। কমিশন তাতে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলেছে, কমিশন নির্বাচনি ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এক বা একাধিক নির্বাচনি আসনের জন্য ‘নির্বাচনি ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন করবে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের ক্ষেত্রে আইন বা বিধিমালা লঙ্ঘন করছে, তাহলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৯ মে ২০২৫
ক্রিকেট

ক্রিকেট

বিপিএলে আসছে নোয়াখালী রয়্যালস

বিপিএলে আসছে নোয়াখালী রয়্যালস

নোয়াখালীবাসীর স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পথে। তাদের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। প্রথমবারের মতো বিপিএলে তাদের জেলা অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। ‘নোয়াখালী রয়্যালস’ নামে তাদের দল দেখা যেতে পারে।বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শহরগুলোর একটি হলেও এখন পর্যন্ত নোয়াখালী থেকে বিপিএলে কোনো দল নেয়া হয়নি। তবে আগামী আসরে দেশসেরা এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগের অংশ হতে প্রস্তুত তারা।ইতোমধ্যে বিসিবির কাছে আবেদন জমা দিয়েছে ‘নোয়াখালী রয়্যালস’। গত ২৪ জুন ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারের অনুমতি চেয়ে বিসিবির কাছে আবেদন করে শায়ান’স গ্লোবাল নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।শায়ান’স গ্লোবাল বিসিবি সভাপতির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানিয়েছে, তারা ১১তম আসরের অংশ হতে চায় এবং বিপিএলে দল নেয়ার পাশাপাশি নোয়াখালী অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নয়নেও কাজ করতে আগ্রহী।তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি বিসিবি। তবে আজ সোমবার দুপুরে শুরু হওয়া বিসিবির সভায় বিপিএল নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেখানে নির্ধারণ হতে পারে নোয়াখালীর ভাগ্যও।শায়ান’স গ্লোবালের প্রতিনিধি বাদল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটা বোর্ড মিটিং আছে। সেই বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত আসবে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নেবে কিনা এবং নিলেও কী কী ডকুমেন্টস লাগবে ওনারা আমাদের জানাবে।’তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুত। যে ডকুমেন্টগুলো লাগে আমরা সেগুলো রেডি করে রেখে দিয়েছি। আমরা আশা করছি, ওনারা আমাদের আবেদন গ্রহণ করবে এবং নোয়াখালীর মানুষের স্বপ্ন পূরণ করবে।’উল্লেখ্য, বিপিএলের আসন্ন আসর মাঠে গড়ানোর কথা ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে। তার আগে অক্টোবরে হতে পারে প্লেয়ার্স ড্রাফট।
৩০ জুন ২০২৫
সারাদেশ

সারাদেশ

ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে গ্রামে নিয়ন্ত্রণ কেবল শহরে

ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে গ্রামে নিয়ন্ত্রণ কেবল শহরে

একসময় যাকে ‘শহুরে রোগ’ বলা হতো, সেই ডেঙ্গু এখন শহরের সীমানা ছাড়িয়ে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে গেছে। চলতি ২০২৫ সালে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ঢাকার বাইরের, অর্থাৎ গ্রাম ও মফস্বল এলাকায়। অথচ প্রতিরোধের পরিকল্পনা, জরিপ, ও নজরদারি— সবকিছুই সীমাবদ্ধ রাজধানী ও কিছু নগর এলাকায়।সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তার পাঁচগুণ বেড়েছে। তবে, এটি এবার গ্রামে বেশি আতঙ্ক ছড়ালেও প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এখনও মূলত নগরকেন্দ্রিক, বিশেষ করে ঢাকা শহর ঘিরে। ফলে একদিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্যদিকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে ডেঙ্গু রোগীর ভৌগোলিক বিস্তারে পরিবর্তন ঘটেছে। ২০২১ সালেও যেখানে ডেঙ্গু ছিল মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক— সেবার রোগীর ৮৩.০৭ শতাংশই রাজধানীতে ছিল। সেই চিত্র এখন সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। ২০২২ সালে ঢাকার রোগীর হার কমে দাঁড়ায় ৬২.৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ঢাকার বাইরের রোগী বেড়ে হয় ৩৭.১৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো রাজধানীর বাইরে রোগীর সংখ্যা ঢাকাকে ছাড়িয়ে যায়। সেবার ঢাকায় ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ, আর ঢাকার বাইরে ছিল ৬৬.১৫ শতাংশ।২০২৪ সালে এই পার্থক্য আরও বেড়ে দাঁড়ায় ঢাকায় ৩৯.৩০ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে ৬০.৭০ শতাংশ। চলতি বছরের (২০২৫ সাল) ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১০ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে আট হাজার ৬২ জন (৭৮.৩ শতাংশ) রোগী রাজধানী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে শনাক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শনাক্ত হন দুই হাজার ২৩০ জন (২১.৭ শতাংশ) রোগী।পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছরে ডেঙ্গু রোগী ঢাকার বাইরে পাঁচগুণ বেড়েছে। অথচ ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারি পরিকল্পনা ও মনোযোগ এখনও ঢাকাকেন্দ্রিক রয়ে গেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি গ্রামীণ বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেওয়া না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।বরিশালে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী, ঢাকাতেও উচ্চ ঝুঁকিস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের সর্বাধিক সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন বরিশাল বিভাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগের সিটি কর্পোরেশনের বাইরের এলাকাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৫৯১ জন রোগী, যা দেশের সব বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের সিটি কর্পোরেশনের বাইরের এলাকা থেকে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫২৬ জন। ঢাকা বিভাগের বাইরের অংশেও এক হাজার ৮ জন রোগী পাওয়া গেছে।রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনেও রোগীর সংখ্যা কম নয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এক হাজার ৪০৩ জন, আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৮৩১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। খুলনা বিভাগের বাইরে ৩৪৩ জন, রাজশাহীতে ৪০১ জন, ময়মনসিংহে ১৩৬ জন, সিলেটে ৩০ জন এবং রংপুর বিভাগে মাত্র ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২৪ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে যথাক্রমে ১৫৭, ১১৮, ৭৪, ১০৭, ১৪১, ১৩৬ ও ১৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে একই সময়ে ৫৮, ৪৩, ৮, ১১, ৪০, ৫৫ ও ৫৭ জনের ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। রাজশাহীতে গত সপ্তাহে ৪৪, ২৯, ১৮, ৬, ৩৩ ও ৫৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৮, ১৬, ৬, ৪১ ও ২১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫, ২, ৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। সিলেট বিভাগে ১, ৩, ২ ও ৩ জনের ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।এছাড়া গত এক সপ্তাহে ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) যথাক্রমে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৩৫, ৪৩, ৩০, ১২, ১৮, ৪৮ ও ৬১ জনের। সেইসঙ্গে এই সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৫০, ৪৫, ৩২, ৬, ৪০, ২৮ ও ৪৫ জনের এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে যথাক্রমে ৪২, ২৬, ২৪, ১৫, ৮, ৩২ ও ৪২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।বরগুনার গ্রামাঞ্চলের ৬৫ ভাগ বাড়িতেই এডিসের লার্ভাচলতি বছর ঢাকার বাইরে তিন সিটি কর্পোরেশন এলাকা এবং ছয় জেলায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপস্থিতি জানতে জরিপ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। জরিপে একটি মাত্র জেলা বরগুনার গ্রামাঞ্চলেও এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অন্য জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায়ও জরিপ হয়।  বরগুনা জেলার জরিপে পৌর এলাকায় ৩১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলের ৭৬ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর বাইরে  মাগুরার পৌর এলাকায় ৩৫.৫৬ শতাংশ, ঝিনাইদহে ৩২.৯৬ শতাংশ, পটুয়াখালীতে ১৮.১৫ শতাংশ, পিরোজপুরে ১৪.৪৪ শতাংশ এবং কুষ্টিয়ার পৌর এলাকার ৭.২৯ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়।লার্ভা পাওয়ার শতকরা হার বা হাউজ ইনডেক্স ১০-এর বেশি হলে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বিবেচনা করা হয়।ঢাকার বাইরে ‘মশার নিয়ন্ত্রণ নেই’ বললেই চলেসংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ধারণা করা হয়, আগামী ৩০-৪০ বছর ডেঙ্গু হতে থাকবে। কারণ, ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সীমিত আকারে কিছু উদ্যোগ রয়েছে। ঢাকার বাইরে মশার নিয়ন্ত্রণ বা অন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ নেই বললেই চলে। এর মধ্যে আবার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিধি না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।’ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে। এরপর গত ২৫ বছরে আমরা ঢাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আরও যে কত বছর লাগবে সেটাও জানা নেই। ঢাকার বাইরে পাঁচগুণ মানুষ বসবাস করেন। সুতরাং, মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রোগটি আগামী ৩০ বছর থাকবে, এটা খুব সহজে অনুমান করা যায়।শহর ছেড়ে কেন গ্রামে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গুশহর ছেড়ে কেন গ্রামে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এডিস ইজিপ্টি ও অ্যালবোপিকটাস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। ইজিপ্টি শহর এবং অ্যালবোপিকটাস গ্রামাঞ্চলের মশা। অ্যালবোপিকটাস মশা বন-জঙ্গল, বাঁশের ঝাড়, গাছের বাকলের মতো স্থানে থাকে।এ মশা আগে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। এখন তারাও ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে। আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীকে কামড় দিয়ে তারাও ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে নগরে ডেঙ্গু ছড়ানো ইজিপ্টি মশা যে কোনোভাবে গ্রামাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এখন দুই প্রজাতির মশাই সমান তালে ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করছে। এছাড়া বিরূপ পরিবেশেও টিকে থাকার (অভিযোজন) সক্ষমতা তৈরি করছে এসব মশা।ড. গোলাম ছারোয়ারের মতে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সঠিক ‘কন্টাক ট্রেসিং’ (রোগী ও তার অবস্থান শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা) অতি জরুরি। কিন্তু এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে মশা নির্মূলের উদ্যোগ নেই। সে কারণে অন্য কোনো অঞ্চল থেকে আক্রান্ত হয়ে এলেও রোগী যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন, সেই জায়গার তালিকা করা হচ্ছে। এতে আক্রান্ত মশাকে আড়াল করে তাদের বংশবিস্তারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।সুপেয় পানির সংকটই আসল কারণআইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন জানান, সুপেয় পানির সংকটের কারণে বরগুনা জেলায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার প্রচলন আছে। আর এডিস মশার লার্ভা তৈরি হয় জমিয়ে রাখা পরিষ্কার পানিতে। এসব পানির আধারই হলো এডিসের বিস্তারের বড় ক্ষেত্র। বাড়িতে রাখা প্লাস্টিকের ড্রামের পানি ঢেকে রাখা হয় কাপড় দিয়ে। এটার চর্চা গ্রামে বেশি। এসব কাপড়ে ব্যাপক মাত্রায় লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ঢাকার বাইরে বরগুনার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। এ পরিস্থিতি যে শুধু বরগুনার গ্রামে, তা এখন বলা যায় না। দেশের অন্যত্রও যদি জরিপ করা হয়, তবে এমন বা এর কাছাকাছি চিত্র পাওয়া যেতে পারে।
২৯ মে ২০২৫
নির্বাচন

নির্বাচন

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

জাতীয় সংসদের সাধারণ বা উপনির্বাচনে যদি বলপ্রয়োগ বা জবর-দখলের কারণে নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা হারায়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্র বা পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে। এ ধরনের বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এ যুক্ত করে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে কমিশন। সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মোট ৩৫ সুপারিশের মধ্যে ২৫টির সঙ্গে একমত এবং বাকি ১০টির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছে ইসি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সুপারিশ কার্যকরের জন্য সরকারের আইন ও সংসদ বিভাগে এই প্রস্তাব পাঠায় ইসি। একমত হওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, সংসদ নির্বাচন শেষে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।যদি প্রার্থী তার হলফনামায় কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, তাহলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও তিনি পদে থাকার জন্য অযোগ্য হবেন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে যদি ইসির কাছে কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা সরকারের কোনো বিভাগ কর্তব্যে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। একইভাবে, নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত যে কোনো কর্মকর্তা বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রদান বা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা বা প্রতিরোধ করলে বা প্রচেষ্টা চালালে এবং ভোটারকে প্রভাবিত করলে তাকে প্রত্যাহার ও নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারবে ইসি। অন্যদিকে, দ্বিমত পোষণ করা আলোচিত ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভোটের পর যদি কেউ কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, তাহলে ইসিকে সংসদীয় কমিটির সামনে জবাবদিহি করতে হবে’—এই সুপারিশে তারা ভিন্নমত পোষণ করছে। এছাড়া, ভোটের ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু ভোটের স্বপক্ষে সার্টিফাই করা এবং স্বাধীন কমিশন গঠন করে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস করার প্রস্তাবও রয়েছে। এ ধরনের কমপক্ষে ১০টি ইস্যুর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে ইসি। কারণগুলো হচ্ছে সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব হওয়া, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া এবং আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থেকে ইসির কার্যক্রমকে সীমিত করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দীন ও তাদের দ্বিমত পোষণ করার ওই তিনটি কারণকে  নিশ্চিত করেন। এদিকে, বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের বা ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথি, চাকরির বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ করা হবে। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংস্কার কমিশনের তিন কার্যদিবসের পরিবর্তে ইসি ১০ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। প্রস্তাবে জেলার রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসাররা লিখিত নোর্টিসে ওই জেলার সব সরকারি বা বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রধানকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুত করার জন্য একটি তালিকা পাঠাবেন।এর সঙ্গে ইসি নতুন কিছু শব্দ যুক্ত করে সেখানে একই জেলার একাধিক রিটার্নিং অফিসার থাকলে তার আলোচনার ভিত্তিতে স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করে। সুপারিশে বলা হয়, নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা বা সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রে কোনো প্রকার তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা তথ্য দেননি তা প্রার্থীকেই সার্টিফাই করতে হবে।মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কমিশনে আপিল করবেন এবং আপিলে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর নির্বাচনের বিষয়ে আদালত নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিস ও শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনো আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে না।ইসির অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে ভোটকেন্দ্রে বা এর আশেপাশে নির্ধারিত চৌহদ্দির ভেতরে অন্য কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি অযথা ঘোরাফেরা করতে পারবে না। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে এলাকা থেকে অপসারণ কিংবা আটক করতে পারবেন। কমিশন তাতে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলেছে, কমিশন নির্বাচনি ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এক বা একাধিক নির্বাচনি আসনের জন্য ‘নির্বাচনি ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন করবে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের ক্ষেত্রে আইন বা বিধিমালা লঙ্ঘন করছে, তাহলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাসেদুল ইসলাম