রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণ প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে, এমনটি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেইভাবে আমরা আমাদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।গণতন্ত্র উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা যে, সরকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে সবাইকে নিয়ে এই সফরটি করা হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।তিনি বলেন, বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।বিএনপি মহাসচিবের ভাষায়, প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এতে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।’যুক্তরাষ্ট্র সফরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা কোনো ব্যাপার না, আমরা এগুলো বড় মনে করি না। এটা অতীতে বাংলাদেশেও ঘটেছে, আওয়ামী লীগের একটা কালচার।’
০৪ অক্টোবর ২০২৫

শহীদুল আলমের উদ্যোগ বিবেকের এক গর্জন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরে অংশ নেওয়া দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের পদক্ষেপকে ‘সংহতির প্রতীক ও বিবেকের গর্জন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।শুক্রবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।পোস্টে তারেক রহমান বলেন, গাজামুখী নৌবহরে অংশ নেওয়া শহীদুল আলমের উদ্যোগ কেবল সংহতির প্রতীক নয়, বিবেকের এক গর্জন। বাংলাদেশের পতাকা বহন করে তিনি বিশ্বকে স্মরণ করিয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণ কখনও নিপীড়ন ও অবিচারের কাছে মাথা নত করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।তিনি আরও বলেন, বিএনপি সর্বদা শহীদুল আলম এবং ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকবে।
০৪ অক্টোবর ২০২৫

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটক করায় নিন্দা বাংলাদেশের

বাংলাদেশ সরকার গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া মানবিক সহায়তাকারী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের ঘটনায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজ আটকের ঘটনাকে আইন লঙ্ঘনের গুরুতর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ঢাকা।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।অবিলম্বে ইসরায়েলকে নিঃশর্তভাবে আটক সব মানবিক সহায়তা কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলছে, অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ ও মানবিক অবরোধ তুলে নিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা নিয়ে আসা নৌবহরটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বৈশ্বিক সংহতির প্রতীক। ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বেসামরিক জনগণের জন্য অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এই চরম দুর্দশা ও ভোগান্তির সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে অবিচল সংহতি বজায় রাখার কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বুধবার থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করতে শুরু করে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত মত মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলার ৪৫টি জাহাজের প্রায় সবগুলোই আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই মানবাধিকার কর্মীরা ইসরায়েলের আরোপিত গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিলেন।
০৩ অক্টোবর ২০২৫
কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগেনর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গ্রেফতার

কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগেনর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ভাটারা থানা পুলিশ কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম অপূর্ব পাল।এর আগে, শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কোরআন অবমাননার কিছু ভিডিও পোস্ট করা হয়। এরপরই তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার শাস্তি দাবি করতে থাকেন বিভিন্ন মানুষ। একপর্যায়ে রাতে একদল ছাত্র-জনতা ওই শিক্ষার্থীর বাসার নিচে গিয়ে শাস্তির দাবিতে দাবিতে বিক্ষোভ করে।
২ ঘন্টা আগে
জাতীয়

জাতীয়

জার্মান ঐক্য দিবসে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

জার্মান ঐক্য দিবসে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা

জার্মান ঐক্য দিবসে ফেডারেল রিপাবলিক জার্মানির সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসকে দেওয়া একটি চিঠির মাধ্যমে জার্মান ঐক্য দিবসে শুভেচ্ছা জানান তিনি।চিঠিতে লেখা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার পক্ষ থেকে জার্মান ঐক্য দিবসের এই আনন্দময় উপলক্ষ্যে আমি আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ফেডারেল রিপাবলিক জার্মানির সরকার ও বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।এই ঐতিহাসিক দিনটি শুধুমাত্র জার্মানির একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঐক্যকে চিহ্নিত করে না, বরং এটি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকারকে তুলে ধরার জন্য একটি শক্তিশালী স্মারক হিসেবে কাজ করে।চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফেডারেল রিপাবলিক জার্মানির সঙ্গে তার সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যা গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারে গভীরভাবে নিহিত রয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এই স্থায়ী সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সুসংহত হবে। উভয় দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে। এই সুযোগে, আমি আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। জার্মানির জনগণের জন্য স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির শুভকামনা জানাচ্ছি।
০৪ অক্টোবর ২০২৫
আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। হামাস দাবি করছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা কমানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েল তার আগ্রাসন থামাচ্ছে না।রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।শনিবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি এই প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি জানায়, “নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান কমানোর বিষয়ে যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহুর সরকারের দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে এই রক্তক্ষয়ী হামলা।”হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আরব ও ইসলামি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালন করে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ত্রাণ সহায়তা জোরদার করে এবং দুই বছর ধরে চলা “নিধনযজ্ঞ” ও গণঅনাহার বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ায়।গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী শনিবার ৯৩টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে ৭০ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে “অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে” আহ্বান জানান। কারণ হামাস তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন হামাস “টেকসই শান্তির জন্য প্রস্তুত।”এছাড়া শনিবার মিসর ঘোষণা করেছে, সোমবার সেখানে ইসরায়েলি ও হামাস প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে এবং সেখানে ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।এর আগে ট্রাম্প গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এতে যুদ্ধবিরতি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং সংঘাত বন্ধের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৫৩ মিনিট আগে
ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস

ইউজিসি’র খণ্ডকালীন সদস্যপদ পেলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম

ইউজিসি’র খণ্ডকালীন সদস্যপদ পেলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-এর খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউজিসির সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে উপাচার্যকে এই মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়।বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১০)-এর (৪)(১)(সি) ও (৪)(৪) ধারার বিধান অনুযায়ী কমিশনের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০২৫ সালের ৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য এই মনোনয়ন কার্যকর হবে।একই পত্রে ইউজিসি কমিশন কর্তৃপক্ষ উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অভিনন্দন জানিয়ে কমিশনের কার্যক্রমে তাঁর মূল্যবান পরামর্শ ও সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেছে।অন্যদিকে উপাচার্য বলেন, “ইউজিসি কর্তৃপক্ষ আমাকে খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনীত করায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউজিসির খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গর্ব প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই মনোনয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
১৮ ঘন্টা আগে
ওয়েব স্টোরি

ওয়েব স্টোরি

নির্বাচন

নির্বাচন

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

কেন্দ্র দখল হলে পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে ইসি

জাতীয় সংসদের সাধারণ বা উপনির্বাচনে যদি বলপ্রয়োগ বা জবর-দখলের কারণে নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা হারায়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটকেন্দ্র বা পুরো নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে। এ ধরনের বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এ যুক্ত করে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। এমনকি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে কমিশন। সঙ্গে সংস্কার কমিশনের মোট ৩৫ সুপারিশের মধ্যে ২৫টির সঙ্গে একমত এবং বাকি ১০টির সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছে ইসি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সুপারিশ কার্যকরের জন্য সরকারের আইন ও সংসদ বিভাগে এই প্রস্তাব পাঠায় ইসি। একমত হওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, সংসদ নির্বাচন শেষে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে ইসির অনুমতি ছাড়া বদলি করা যাবে না।যদি প্রার্থী তার হলফনামায় কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, তাহলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও তিনি পদে থাকার জন্য অযোগ্য হবেন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে যদি ইসির কাছে কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী বা সরকারের কোনো বিভাগ কর্তব্যে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। একইভাবে, নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত যে কোনো কর্মকর্তা বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত অন্য যে কোনো ব্যক্তি, বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্যকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট প্রদান বা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা বা প্রতিরোধ করলে বা প্রচেষ্টা চালালে এবং ভোটারকে প্রভাবিত করলে তাকে প্রত্যাহার ও নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারবে ইসি। অন্যদিকে, দ্বিমত পোষণ করা আলোচিত ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভোটের পর যদি কেউ কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, তাহলে ইসিকে সংসদীয় কমিটির সামনে জবাবদিহি করতে হবে’—এই সুপারিশে তারা ভিন্নমত পোষণ করছে। এছাড়া, ভোটের ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু ভোটের স্বপক্ষে সার্টিফাই করা এবং স্বাধীন কমিশন গঠন করে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস করার প্রস্তাবও রয়েছে। এ ধরনের কমপক্ষে ১০টি ইস্যুর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে ইসি। কারণগুলো হচ্ছে সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব হওয়া, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া এবং আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থেকে ইসির কার্যক্রমকে সীমিত করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দীন ও তাদের দ্বিমত পোষণ করার ওই তিনটি কারণকে  নিশ্চিত করেন। এদিকে, বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের বা ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত নথি, চাকরির বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ করা হবে। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংস্কার কমিশনের তিন কার্যদিবসের পরিবর্তে ইসি ১০ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। প্রস্তাবে জেলার রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসাররা লিখিত নোর্টিসে ওই জেলার সব সরকারি বা বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রধানকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুত করার জন্য একটি তালিকা পাঠাবেন।এর সঙ্গে ইসি নতুন কিছু শব্দ যুক্ত করে সেখানে একই জেলার একাধিক রিটার্নিং অফিসার থাকলে তার আলোচনার ভিত্তিতে স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করে। সুপারিশে বলা হয়, নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা বা সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রে কোনো প্রকার তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা তথ্য দেননি তা প্রার্থীকেই সার্টিফাই করতে হবে।মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হন, তাহলে তিনি নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে কমিশনে আপিল করবেন এবং আপিলে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর নির্বাচনের বিষয়ে আদালত নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিস ও শুনানির সুযোগ না দিয়ে অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনো আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারবে না।ইসির অনুমোদিত ব্যক্তির বাইরে ভোটকেন্দ্রে বা এর আশেপাশে নির্ধারিত চৌহদ্দির ভেতরে অন্য কোনো ব্যক্তি, কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি অযথা ঘোরাফেরা করতে পারবে না। কেউ নিয়ম ভাঙলে তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে এলাকা থেকে অপসারণ কিংবা আটক করতে পারবেন। কমিশন তাতে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলেছে, কমিশন নির্বাচনি ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এক বা একাধিক নির্বাচনি আসনের জন্য ‘নির্বাচনি ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন করবে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয়ের ক্ষেত্রে আইন বা বিধিমালা লঙ্ঘন করছে, তাহলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ক্রিকেট

ক্রিকেট

মুক্তার আলী: “শান্ত কি সবকিছু করে? নির্বাচকদের দায়িত্ব কোথায়?

মুক্তার আলী: “শান্ত কি সবকিছু করে? নির্বাচকদের দায়িত্ব কোথায়?

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি রাজশাহী বিভাগের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে, এবারের দলে সুযোগ পাননি পেস অলরাউন্ডার মুক্তার আলী।এই পরিস্থিতিতে, রাজশাহী দলের নির্বাচক হান্নান সরকার মুক্তারকে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। তবে, মুক্তার আলীর প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র ও প্রশ্নবোধক। তিনি বলেন, “শান্তই কি সবকিছু? ও কি টিমের সবকিছু করে? খেলার জন্য ওর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এমন দিন চলে এসেছে ভাই? তার সাথে কেন কথা বলতে হবে? আপনারা তো নির্বাচক, আপনাদের তো একটা দায়িত্ব আছে।”মুক্তার আলী ১৯৮৯ সালের ১০ অক্টোবর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে বরিশাল বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। জাতীয় ক্রিকেট লিগে তার সর্বাধিক ১৬৮ রানের ইনিংস ও ৫ উইকেটের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অভিষেক হলেও, পরবর্তীতে তাকে জাতীয় দলে আর দেখা যায়নি। বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স এখনও প্রশংসনীয়।রাজশাহী দলের নির্বাচক হান্নান সরকার মুক্তারকে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিলেও, মুক্তার তার প্রতিক্রিয়ায় দলের নির্বাচকদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।মুক্তার আলীর এই প্রতিক্রিয়া রাজশাহীর ক্রিকেটের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক ও নির্বাচক প্রক্রিয়ার প্রতি প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এটি নির্দেশ করছে যে, রাজশাহীর ক্রিকেট দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এবং অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ বিরাজ করছে, যা শুধুমাত্র দলীয় মনোবল নয় বরং ভবিষ্যতে দলের পারফরম্যান্সেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্থানীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং নির্বাচকদের আরও দায়িত্বশীল এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, যেন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের সুযোগ সঠিকভাবে নিশ্চিত করা যায় এবং রাজশাহীর ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলামীক

ইসলামীক

জান্নাত পাওয়ার সহজ আমল

জান্নাত পাওয়ার সহজ আমল

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কেন ওহি আসা বন্ধ হয়েছিল

কেন ওহি আসা বন্ধ হয়েছিল

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ পবিত্র আশুরা

আজ পবিত্র আশুরা

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সারাদেশ

সারাদেশ

ক্লাসরুম ছেড়ে শিক্ষকরা নামছেন রাজপথে

ক্লাসরুম ছেড়ে শিক্ষকরা নামছেন রাজপথে

একটি জাতি গঠনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষাই জাতির মূল ভিত্তি। এই ভিত্তি গড়ার দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষকরা। তারা মেধা বিকাশের পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ার পথ দেখান। এজন্য শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। আজকের দিনটি তাদের জন্য বিশেষ।আজ (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোর সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশে এই দিনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে থাকে। শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা এবং সমাজে তাদের অবদান স্মরণে দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।এদিকে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। কয়েকবছর ধরে সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হচ্ছে।১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ সভায় ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন শুরু হয়। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।বাংলাদেশে শিক্ষকদের নিম্ন বেতন, পদে পদে বঞ্চনা, পেনশন নিয়ে হয়রানি এবং সামাজিক মর্যাদার সংকটের কারণে তারা ক্লাসরুম ছেড়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন। এই বঞ্চনার ফলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা তলানিতে পৌঁছাচ্ছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষকদের মান-মর্যাদা না বাড়িয়ে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর কোনো সরকারই শিক্ষা ও শিক্ষকদের জন্য সেভাবে ভাবেনি। যে কারণে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় দৈন্যদশাও কাটেনি। এমন বাস্তবতার মধ্যদিয়েই দেশে আজ রোববার (৫ অক্টোবর) পালিত হবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শিক্ষকতা পেশা: মিলিত প্রচেষ্টার দীপ্তি’।দেশে হাজারও শিক্ষক রয়েছেন, যারা এখনো বেতন ছাড়াই শিক্ষকতা করছেন। মাদরাসাগুলোতে নামমাত্র যে বেতন দেওয়া হয়, তা দিয়ে সংসারও চলে না। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা এক অর্থে সরকারিকরণ হলেও আমাদের এসব শিক্ষকদের বেতন দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন।মাধ্যমিকের ৯৩ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের বাইরে রয়েছে। এমন বাস্তবতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা চাকরি জীবন শেষের ৪-৫ বছরও নিজের জমানো পেনশনের অর্থ পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। দেশের বেসরকারিপর্যায়ে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে শিক্ষকদের বেতন প্রাথমিক শিক্ষকদের চেয়েও কম। আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিমাত্রায় রাজনীতি, গবেষণা বিমুখতা কার্যত উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলছে।প্রাথমিকেই শিশুর শিক্ষার ভিত তৈরি হয়। কিন্তু যারা সেই ভিত রচনা করেন, সেই শিক্ষকরা এখনো তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। বেতন গ্রেড ১৩তম। অন্যদিকে মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস একজন ড্রাইভারের গ্রেড ১২তম। সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের মূল বেতন ১১ হাজার টাকা এবং বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ সর্বসাকূল্যে পান সাড়ে ১৯ হাজার টাকার মতো।বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। এ দেশের প্রাথমিকের শিক্ষকদের গড় বেতন ১৭০ ডলার ২ সেন্ট, যা দেশের মাথাপিছু গড় মাসিক আয়ের তুলনায় প্রায় ৬২ ডলার কম।প্রাথমিকের শিক্ষকরা বলছেন, প্রায় সব শিক্ষক ঋণে জর্জরিত। কারণ এই বেতনে একজন শিক্ষক পরিবারের ভরণপোষণ ঠিকমতো করতে পারেন না। সবচেয়ে বেশি বেতন পান দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের শিক্ষকরা। দেশটির প্রাথমিকের শিক্ষকদের মাসিক গড় বেতন প্রায় ৯৫৩ ডলার ১৩ সেন্ট, যা বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ গুণ। এমনকি পাকিস্তানেও শিক্ষকদের গড় বেতন ২০৬ ডলার ৭ সেন্ট, শ্রীলংকায় ২৫০ ডলার ৪৪ সেন্ট। ভারতে রাজ্য ও বিষয়ভেদে শিক্ষকদের বেতনের ভিন্নতা রয়েছে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেতন কাঠামো নিয়ে তথ্য সংরক্ষণকারী সংস্থাগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভারতের শিক্ষকদের গড় মাসিক বেতন ২৮৪ ডলার ৬৪ সেন্ট। এছাড়া ভুটানে প্রাথমিকের শিক্ষকদের মাসিক গড় বেতন ৩৪১ ডলার ৭২ সেন্ট এবং নেপালে ৪৬৭ ডলার ৪৫ সেন্ট। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারেও শিক্ষকদের গড় বেতন ১৮৯ ডলার ২২ সেন্ট।সারা দেশে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। তারা নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় বিগত সময়ে বিভিন্ন দাবি তুলেছেন; কিন্তু সেগুলো পূরণ হয়নি। বেতন কাঠামো দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে প্রায়ই তারা সড়ক অবরোধ, অনশন ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন।প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষকতা একটি মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানজনক পেশা। শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় সম্মানের পাশাপাশি তাদের বেতনও উচ্চতর স্কেলে দেওয়া হয়। শিক্ষকেরা আর্থিক সুবিধা ছাড়াও রাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। সে হিসেবে আমাদের দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ও মর্যাদা এখনো সেইভাবে রাষ্ট্র দিতে পারেনি। এ জন্যই শিক্ষকেরা এখনো সমাজে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি।মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা চাকরিজীবনে প্রবেশ করছেন মাত্র ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে। এর সঙ্গে পান নামমাত্র বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা। অবসরের পর বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও মেলে না পেনশনের টাকা। শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার এ সংকট শিক্ষাব্যবস্থায় গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন। সরকারি একটি অংশ তাদের বেতনে যুক্ত হলেও বাড়িভাড়া হিসেবে নামমাত্র টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বর্তমানে একটি প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসক দেখানোর ভিজিট ১০০০-১৫০০ টাকা, সেখানে এসব শিক্ষকের বাড়ি ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে দেওয়া হয় মাত্র ৫০০ টাকা। যা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেও এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ করতে উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকরা নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করেন। শিক্ষকদের এ কষ্ট দেখার কেউ নেই। রাজনৈতিক সরকার হোক কিংবা অরাজনৈতিক সরকার; কেউ শিক্ষকদের মান-মার্যাদা বাড়ানোর দিকে নজর দেয় না। মুখে সবাই শিক্ষকতাকে মহান পেশা বললেও বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য বিষয়ে তা বাস্তবায়ন করা হয় না। শিক্ষক দিবসে আমাদের একটাই দাবি, দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। শিক্ষকদের যে চরম বৈষম্য নিয়ে সমাজে টিকে থাকতে হচ্ছে, তা নিরসন করতে হবে।’ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ। প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত ৯ সদস্যের পরামর্শক কমিটির প্রধান হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।ড. মনজুর আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর কোনো সরকারই শিক্ষার মানোন্নয়নে বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে এ সময়ে এসে তার কুফল আমাদের দেখতে হচ্ছে। শিক্ষা একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক ব্যর্থতার ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি হয়েছে। শিক্ষা, শিক্ষক, অভিভাবক, কর্তৃপক্ষ কেউ কারও প্রতি সন্তুষ্ট নয়। অন্তর্বর্তী সরকার একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করলেও আগামীতে কিছু কাজ বা আলাপ আলোচনা অন্তত চলতো। কিন্তু কোনো ধরনের উচ্চপর্যায়ের কমিটি না থাকায় ভবিষ্যত রাজনৈতিক সরকারও শিক্ষার উন্নয়নে ভালো কিছু করবে, তা এ সময়ে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মতামত

মতামত

রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের প্রতি ভাবনা: আমাদের পথচলার প্রয়োজনীয়তা

রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের প্রতি ভাবনা: আমাদের পথচলার প্রয়োজনীয়তা

রাষ্ট্র আসলে কার জন্য? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমরা দেখতে পাই, রাষ্ট্রের অস্তিত্বের মূল ভিত্তি হলো সাধারণ মানুষ। জনগণই রাষ্ট্রকে বাঁচিয়ে রাখে, আর জনগণের প্রয়োজন, নিরাপত্তা ও স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটানোই রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব।আজকের বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার, কর্মসংস্থান কিংবা নিরাপত্তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের প্রত্যাশা অনেক, কিন্তু প্রাপ্তি সব সময় সেই মানের হয় না। এখানেই রাষ্ট্রের করণীয় সবচেয়ে বেশি।রাষ্ট্রের উচিত মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, যেন কেউ ক্ষুধার কষ্টে, চিকিৎসার অভাবে বা অন্যায়ের শিকার হয়ে অসহায় না হয়। একইসঙ্গে ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে এমনভাবে শক্তিশালী করতে হবে, যাতে কোনো নাগরিক আইন ও প্রশাসনের কাছে ভরসা হারিয়ে না ফেলে।আমরা যদি রাষ্ট্রকে মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ছাতা হিসেবে কল্পনা করি, তবে সেই ছাতার নিচে প্রত্যেকে সমান মর্যাদা ও সুযোগ নিয়ে দাঁড়াতে পারবে। এজন্য দরকার স্বচ্ছ প্রশাসন, জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব এবং মানুষের প্রতি আন্তরিক দায়িত্ববোধ।আমার বিশ্বাস, একটি রাষ্ট্র তখনই প্রকৃত অর্থে শক্তিশালী হয়, যখন সাধারণ মানুষ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে, নিরাপদে বাঁচতে পারে এবং সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার অনুভব করতে পারে।রাষ্ট্রের প্রতি এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করলেই আমরা গড়ে তুলতে পারব একটি সুন্দর, নিরাপদ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ।
সম্পাদকীয়