ডেস্ক নিউজ || আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গুজব ও গিবতকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রবাসীদের মোবাইল ফোন আনা এবং দেশে অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন গুজব ও বিভ্রান্তি দূর করেছেন।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে উপদেষ্টা এসব বিষয় পরিষ্কার করেন।আসিফ নজরুল লিখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা আমার সম্পর্কে মিথ্যাচার নতুন কিছু নয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু মানুষ এখন প্রচার করছে, মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবাসীদের প্রতি অন্যায় ও বৈষম্য করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য নিচে তুলে ধরছি।সরকার একটার বেশি মোবাইল সেট বিদেশ থেকে নিয়ে আসলে ট্যাক্স দিতে হবে এ তথ্য মিথ্যা জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমলে প্রবাসী কর্মীরা নিজের ব্যবহৃত ফোনসেটের সঙ্গে মাত্র একটা নতুন সেট আনতে পারতো। প্রবাসীদের সুবিধা বাড়ানোর জন্য বর্তমান সরকার আরও বেশি (২ টা নতুন) ফোনসেট আনার অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ প্রবাসী কর্মীরা নিজের ব্যবহৃত সেটের সঙ্গে ২টা নতুন সেট আনতে পারছে। ২টার বেশি আনলে অতিরিক্তটার জন্য শুধু ট্যাক্স দিতে হবে। এনবিআর ব্যাগেজ রুল পরিবর্তন করে এই আইনটা করেছে প্রবাসীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। তবে এই সুবিধা বিএমইটি (প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়) থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে যাওয়া প্রবাসীদের জন্য। অন্যদের জন্য আগের নিয়মই প্রযোজ্য থাকছে।প্রবাসীদের ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এ তথ্যটিও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা লিখেন, শুধু প্রবাসীদের জন্য এ ধরনের কোনো আইন করা হয়নি। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে যে কেউ নতুন মোবাইল ফোনসেট ব্যবহার শুরু করলে ৬০ দিনের মধ্যে সেটের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য। মানে হচ্ছে এটি দেশে থাকা মানুষ বা দেশে আসা প্রবাসী সবার জন্য প্রযোজ্য। অবৈধ সেট ব্যবহার করে দেশে ও প্রবাসে অপহরণ, হুমকি, চাঁদাবাজি, জুয়া এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য এই আইন করা হয়েছে। কাউকে হয়রানিতে ফেলার জন্য না; বরং হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য এই আইন করা হয়েছে।প্রবাসীদের গুজবকারী ও গিবতকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা স্ট্যাটাসে বলেন, মিথ্যা গুজব ছড়ানো ও গিবত করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনেক বড় পাপ। গুজব কোন জায়গায় গেছে দেখেন: কেউ কেউ এই অবিশ্বাস্য তথ্য প্রচার করছে প্রবাসীরা নাকি দেশে ৬০ দিন থাকতে পারবেন! এসব জঘন্য মিথ্যাচারকে প্রতিরোধ করুন।