ডেস্ক নিউজ ||
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং তার বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।এর আগে রোববার (৩০ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ফজলুর রহমানকে শোকজ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আগামী ৮ ডিসেম্বর নিজের প্রাতিষ্ঠানিক নথি ও আইনজীবী সনদসহ ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, ফজলুর রহমান আলাদা আইনজীবী নিয়োগ করে ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন। সেই পিটিশনে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আদালতের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পিটিশনটি আগামী ৮ ডিসেম্বর শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।তিনি আরও জানান, ফজলুর রহমান পিটিশনে উল্লেখ করেছেন যে তিনি ভুলবশত ওই কথা বলেছেন এবং আদালতের কাছে মার্সি চেয়েছেন।রোববারের শুনানির শুরুতে ট্রাইব্যুনাল ফজলুর রহমানের পরিচয় জানতে চাইলে প্রসিকিউটররা তার রাজনৈতিক পরিচয় ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচয় তুলে ধরেন।প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম জানিয়েছেন, ফজলুর রহমান দাবি করেছেন যে তিনি ৪৪ বছর ধরে আইন পেশায় আছেন; তবে তদন্তে দেখা গেছে, তিনি আসলে ১৯৯২ সাল থেকে প্র্যাকটিস করছেন, অর্থাৎ প্রায় ৩৩ বছর।এ সময় ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন তোলে, তিনি আদৌ নিয়মিত আইনচর্চা করেন কি না। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আইনের সমালোচনা করা যাবে, রায়ের সমালোচনা করা যাবে, বিচারকের সমালোচনা করা যাবে। কিন্তু ‘রায় মানি না’ এ কথা শুধু আদালত অবমাননা নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতাও।এরপরই আদালত তাকে শোকজ নোটিশ দিয়ে প্রয়োজনীয় নথি-সনদসহ হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত