ডেস্ক নিউজ ||
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী একটি অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাহিনীর অবদান আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও প্রশংসনীয় করেছে। পাশাপাশি, সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপদের সময় বাহিনীটির ভূমিকা জাতির আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।আগামীকাল (২১ নভেম্বর) নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেয়া এক শুভেচ্ছাবার্তায় এ কথা লেখেন তিনি।তারেক রহমান লেখেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এজন্য প্রতি বছর ২১ নভেম্বর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়। সাহসিকতা, শৌর্য, সংকল্পবদ্ধ শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরী সশস্ত্র বাহিনী জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। একাত্তরের রনাঙ্গণে বাহিনীর সাহসী ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জল অধ্যায়। এই দিবসে উপলক্ষে তিন বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাশপাশি বাহিনীর সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনিই বাহিনীকে সুশিক্ষিত ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেন। সেই সময় থেকেই বাহিনীটি তিনটি সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর আধুনিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়, যা বিশ্বের যেকোনও আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। একইভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও বাহিনীকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। ভবিষ্যতেও আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।সবশেষে তিনি লেখেন, মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেয়া বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত