ডেস্ক নিউজ ||
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) মঙ্গলবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্থায়ী শান্তি চুক্তি হওয়ার পর গাজায় খাদ্য সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, তবে তা এখনও দৈনিক ২ হাজার টনের লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে রয়েছে। এর কারণ হলো, গাজায় বর্তমানে কেবল দুটি সীমান্ত ক্রসিং খোলা আছে এবং উত্তরাঞ্চলে, যেখানে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ চলছে, সেখানে কোনো ক্রসিং খোলা হয়নি।ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৭৫০ মেট্রিক টন খাদ্য গাজায় প্রবেশ করছে। তবে দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজার বিস্তীর্ণ অংশ ধ্বংস হওয়ায় এটির চাহিদার তুলনায় এটি খুবই কম। ডব্লিউএফপির মুখপাত্র আবির এতেফা জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এই পরিমাণে খাদ্য পৌঁছাতে গেলে এখনই প্রতিটি সীমান্ত ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।’তবে সকল ক্রসিং খোলা নেই। কেবল দক্ষিণের কোরেম শালোম এবং কেন্দ্রে কিসসুফিম ক্রসিং কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চুক্তি অনুযায়ী গাজায় ‘সম্পূর্ণ মানবিক সহায়তা’ পাঠানোর কথা থাকলেও, কেবল কিছু ক্রসিং ব্যবহার করা হচ্ছে।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার জানিয়েছেন, গাজা ও মিশরের সীমান্তে থাকা রাফাহ ক্রসিং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এটির পুনরায় খোলার শর্ত হলো হামাস নিহত বন্দিদের দেহ হস্তান্তর করবে।জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) মঙ্গলবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্থায়ী শান্তি চুক্তি হওয়ার পর গাজায় খাদ্য সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, তবে তা এখনও দৈনিক ২ হাজার টনের লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে রয়েছে। এর কারণ হলো, গাজায় বর্তমানে কেবল দুটি সীমান্ত ক্রসিং খোলা আছে এবং উত্তরাঞ্চলে, যেখানে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ চলছে, সেখানে কোনো ক্রসিং খোলা হয়নি।এ পর্যন্ত সরবরাহিত খাদ্য প্রায় ৫ লাখ মানুষকে দুই সপ্তাহ খাবারের যোগান দিতে সক্ষম। অনেক গাজাবাসী প্রাপ্ত খাদ্য সংরক্ষণ করছেন, কারণ তারা ভয় পাচ্ছেন, সরবরাহ আবার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবীর এতেফা বলেন, ‘তারা খাদ্যের কিছু অংশ খায়, কিছু সংরক্ষণ করে রাখে জরুরি প্রয়োজনের জন্য, কারণ তারা নিশ্চিত নয় স্থায়ী শান্তি কতদিন চলবে এবং পরবর্তী পরিস্থিতি কী হবে।’সূত্র: রয়টার্স
কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত